ঠিকানা ডেস্ক : সম্প্রতি পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হয়েছে দুই কোরিয়া। এতে অধিকাংশ কৃতিত্ব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধারাবাহিক চাপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পথে হেঁটেছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। এছাড়া নিজ দেশের সব পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন কিম। তাই শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কারের উপযুক্ত দাবিদার তিনি। এমনটাই মনে করে নোবেল কমিটির কাছে পত্র পাঠিয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির ১৮ জন সিনেটর। ইন্ডিয়ানা প্রদেশের রিপাবলিকান সিনেটর লিউক মেসারের নেতৃত্বে ২ মে নরওয়ের নোবেল কমিটির কাছে পত্রটি পাঠানো হয়। যার নেতৃত্বে রয়েছেন ইন্ডিয়ানার রিপাবলিকান সদস্য লিউক মেসার। চিঠিতে যেভাবে ট্রাম্পের স্তুতি করেছেন লিউকরা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সমালোচকদের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়েই এমনটা করা হচ্ছে। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, কয়েক দশক থেকে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চলা যুদ্ধে ইতি টেনেছেন ট্রাম্প। এছাড়াও পিয়ংইয়ংয়ের একনায়ক কিমের পারমাণবিক অস্ত্র ভা-ারে লাগাম পরিয়েছেন তিনি। এই ঐতিহাসিক অবদান ও বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার জন্য ২০১৯ সালের নোবেল পুরস্কারের দাবিদার ট্রাম্প। আগেই ট্রাম্পের সমর্থনে মত দিয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট। তবে সেই পুরস্কারের দাবিদার আরও অনেকেই আছেন। এখন পর্যন্ত নোবেল কমিটির কাছে ৩৩০ জন দাবিদারের নাম জমা পড়েছে। চলতি বছরের শেষের দিকেই নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন নিয়ে এরই মধ্যে দেখা দিয়েছে বিতর্ক।
- বিজ্ঞাপন -