ঠিকানা অনলাইন : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার আর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। বর্তমানে তারাই ইতিহাসের চরম গণতান্ত্রিক সংকটে। ক্ষমতায় থেকেও প্রমাণ ছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একের পর এক মামলাও ঠুকছেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মার্কিন নাগরিকদের ভোট দেওয়ার পরও গণতন্ত্রের ওপর অনাস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে বহির্বিশ্বে তার প্রভাব বিস্তারের নৈতিক অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে।
ভোট গ্রহণ শেষে যখন গণনা চলছে, ঠিক সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের রাজপথে হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন পক্ষে ভাগ হয়ে মার্কিনরা আন্দোলন করছেন। কেউ ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলছেন, কেউবা ট্রাম্পের পদত্যাগ আর ডাকযোগের ভোটকেও সমানভাবে মূল্য দেওয়ার দাবিতে সোচ্চার।
এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র নিয়ে এমন সংকটময় সময় আগে কখনো পার করেনি। বিশ্বের ছোট-বড় দেশগুলোকে গণতন্ত্রের সবক দিতে মরিয়া এ দেশটি এখন নিজেই গভীর সংকটে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি লজ্জার। তাদের দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার একটা ব্যাপার আছে। একই সঙ্গে বহির্বিশ্বে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলেন সেখানে এক ধরনের নৈতিক সংকট তৈরি হবে।
ড. দেলোয়ার বলেন, ট্রাম্প যতই অভিযোগ করেন না, শেষ পর্যন্ত তা ধোপে টিকবে না। সিনেট রিপাবলিকানদের দখলে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে এক ধরনের সংকট তৈরি হবে। সেটি আসলে একটা দেশের সরকারের অংশ।
জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হলে, শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই পরিস্থিতি সামলে নেবেন। দীর্ঘদিন সিনেটর থাকায় বিষয়টি তার জন্য সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সমস্যা দেখা দেবে, রিপাবলিকান ট্রাম্পের মূল ভোটব্যাংক শ্বেতাঙ্গদের মন জয় নিয়েই।
ঠিকানা/এনআই