ট্রাম্পের পাশে মেলানিয়া : থলে কেটে নিত্যনতুন বিড়াল বেরোচ্ছে

ঠিকানা ডেস্ক: নিজস্ব বুদ্ধিমত্তা ও নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে ডোনাল্ড ট্রাম্প নিঃস্ব অবস্থা থেকে রাশি রাশি অর্থের মালিক হওয়ার পর ২০১৬ সালে সাবেক ফার্স্ট লেডী, সিনেটর, হোম সেক্রেটারী এবং জাঁদরেল রাজনীতিক হিলারীকে পরাস্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে থলে কেটে বিড়াল ক্রমশ বেরিয়ে আসতে থাকে এবং নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপসহ নারী কেলেঙ্কারির বেড়াজালে জড়াতে থাকেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। স্পেশাল কাউন্সেল মুলারের ফেডারেল তদন্তের মুখে প্রশাসনের অনেক রাঘব-বোয়ালকে বরখাস্ত করেও ট্রাম্প যেন হালে পানি পাচ্ছেন না।

সবশেষে ট্রাম্পের শীর্ষ আইনজীবী জন ডাউডের পদত্যাগ সামগ্রিক পরিস্থিতিকে অধিকতর লেজে-গোবরে করে ফেলছে। এমনতর চরম দুর্যোগঘন মুহূর্তে ফার্স্ট লেডী মেলানিয়ার সাথে ট্রাম্পের দাম্পত্য সম্পর্কে কোন ধরনের চিড় ধরতে যাচ্ছে কি-না তা নিয়ে আমেরিকানদের তীব্র কৌত’হল সৃষ্টি হয়। অথচ বাস্তবে দেখা যাচ্ছে যে স্বামীর পাশে মেলানিয়া রয়েছেন হিমালয়ের মত অটল-অচল।

ভাগ্যবান ট্রাম্প : ট্রাম্পের বর্তমান মুহূর্তে ফার্স্ট লেডী মেলানিয়া স্বামীর পাশে সর্বশক্তি নিয়ে অটল পাহাড়ের মতই দাঁড়িয়ে আছেন বলে জানা যায়। সর্বশেষ ম্যারিন ওয়ান হেলিকপ্টারের জন্য হোয়াইট হাউজের লনে ট্রাম্প দম্পতিকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। স্ত্রী কোমর পেচিয়ে ট্রাম্প দম্পতি হাঁটার সময় মেলানিয়া সামান্য হোঁচট খেলে ট্রাম্প তাকে অধিকতর উষ্ণ আলিঙ্গনে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন।

আষাঢ়ে গল্পের জটলা : ট্রাম্প যুগলের বিয়েকে কেন্দ্র করেও নানা আষাঢ় গল্প শোনা যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ওহাইও বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথিতযশা অধ্যাপক কেথারিন জেলিসন বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে- আমেরিকার প্রেসিডেন্টদের বিয়ের কাহিনী আদৌ কোন অলস গালগল্প নয়। আমেরিকার জনগণ প্রেসিডেন্টদের বিয়ে এবং তাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করেন। প্রেসিডেন্টদের ব্যক্তিগত জীবনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য । কারণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে এটি অপরিসীম প্রভাব বিস্তার করে। সাত সকালে শয্যাত্যাগ থেকে শুরু করে রাতে গভীর নিদ্রায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়া পর্যন্ত মানুষ প্রেসিডেন্টদের সবকিছু খোঁজখবর রাখেন।

জেলিসন বলেন, অনেক ফার্স্ট পরিবারের বিয়ে-শাদির ব্যাপারে আমেরিকানদের ব্যাপক সংশয়-সন্দেহ ছিল। জনগণ এ সকল বিয়ে বন্ধনকে শোভনীয় দৃষ্টিতে গ্রহণ করেন নি। ফলে তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে আমেরিকানরা সর্বদা নানা কিছু আঁচ-অনুমান করতেন। জেলিসন আরও বলেন, অনেক আমেরিকানই জানতেন যে সাবেক ফার্স্ট লেডী এলীনর এবং ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট জীবনের বৃহত্তর অংশ আলাদাভাবে বসবাস করেছেন। প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির দাম্পত্য জীবন সম্পর্কেও নানা মুখরোচক কাহিনী সমাজে প্রচলিত ছিল। ১৯৯০ এর দশকে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন এবং হিলারীর দাম্পত্য জীবনেও বড় ধরনের ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়েছিল। হোয়াইট হাউজে অবস্থান করা সত্ত্বেও তারা বহু রাত আলাদা বিছানায় কাটিয়েছিলেন বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হয়েছিল।

মেলানিয়া ও ট্রাম্প: যাহোক, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিয়ে বহির্ভুত অভিসার ও পর নারীর সাথে যৌনমিলনের একের পর এক অভিযোগ উঠলেও অদ্যাবদি মেলানিয়ার পক্ষ থেকে কোন নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া মিডিয়ার দৃষ্টিতে আসেনি। বরং মেলানিয়া পূর্বাপর অটল পাহাড়ের মতই ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি নিজের দায়িত্ব অব্যাহতভাবে সম্পাদন করে চলেছেন। ২৬ মার্চ নিউ হেম্পশায়ারে আফিমযুক্ত মাদকের সঙ্কট উত্তরণে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে মেলানিয়াকে দেখা গেছে জনতার সাথে ট্রাম্পকে পরিচয় করিয়ে দিতে। মঙ্গল বার হোয়াই হাউজে টেক চীফ এক্সিকিউটিভদের স্বাগত জানিয়েছিলেন মেলানিয়া। এদিকে মেলানিয়া বিয়ের ব্যাপারে তার দপ্তর সকল ধরনের মন্তব্য থেকে বিরত রয়েছে বলে জানা গেছে। টাম্পের দীর্ঘকালী বন্ধু এবং ম্যানহাটানের লব্ধপ্রতিষ্ঠ ব্যবসায়ী পায়োলো জামপলি বলেন, মেলানিয়া পোড় খাওয়া মহিলা

জন ডাউডের পদত্যাগ : ২৩ মার্চ জানা যায় স্পেশাল কাউন্সেল রাশিয়া ইনভেস্টিগেশনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শীর্ষ আইনজীবী জন ডাউড পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্পের ভাষায় নিছক উইচ হান্ট ( ডাইনি অনুসন্ধান) নামক তদন্তের মুখে ডাকসাইটে আইনজীবী ডাউডের পদত্যাগকে অনেকেই ট্রাম্পের লিগ্যাল টীমের জন্য বড় ধরনের বিপর্যয় হিসেবে দেখছেন।

ট্রাম্পের আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রাণপুরুষ ডাউডের পদত্যঠস প্রাইমারী নেগোশিয়েটর ( মৌলিক সমঝোতাকারক) এবং লিগ্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট ( আইনী নীতিনির্ধারক)দের রিমোভস (অপসারিত করেছে)। ট্রাম্প লিগ্যাল টীমে সাবেক ইউএস এটর্নী জেনারেল যোসেফ ডিজেনোভারের অন্তর্ভুক্তির কয়েক দিনের মাথায় ডাউডের পদত্যাগ নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ইমেইল তদন্ত থেকে হিলারী ক্লিন্টনকে অব্যাহতি এবং বায়বীয় ( ননএক্সিটেন্স) অপরাধে ট্রাম্পকে জড়ানোর প্রচেষ্টায় ডিজেনোভার এফবিআই কর্মকর্তাদের ব্রাজেন প্লটে ( নির্লজ্জ ষড়যন্ত্রে) জড়িত থাকায় অভিযুক্ত করেছেন।

এক ইমেইল বার্তায় ডাউড বলেন, আমি প্রেসিডেন্টকে ভালবাসি এবং তার মঙ্গল কামনা করি। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ট্রাম্প তার লিগ্যাল এডভাইস (আইনানুগ পরামর্শ) অবজ্ঞা করার প্রকাশিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ডাউড আরও জানান যে ২২ মার্চ তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন। জানা যায়, প্রেসিডেন্টের একটি সাক্ষাতকারের স্কোপ অ্যান্ড টার্মস ( সুযোগ এবং শর্তাবলীর) ব্যাপারে মুলারের সাথে ডাউডসহ ট্রাম্পের এটর্নীগণ নেগোশিয়েশট ( সমঝোতা) করছিলেন। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন যে তিনি মুলারের সাথে কথা বলতে আগ্রহী। তবে ডাউড অত্যধিক শঙ্কিত ছিলেন এবং প্রশ্নের জন্য ট্রাম্পের সহজলভ্যতার ব্যাপারে আইনজীবীগণ প্রকাশ্যে কোন প্রতিশ্রুতি দেননি। এখনও মুলার টীমের সাথে কথা বলতে চান কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ট্রাম্প হাঁ সূচক উত্তর দেন বলে জানা যায়।

প্রায় ১ বছর ধরে মুলার দলের তদন্ত কার্যক্রমে ডাউডের প্রস্থান প্রসেকিউটর এবং ট্রাম্পের আইনজীবীদের মধ্যকার সহযোগিতা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। হোয়াইট হাউজ এবং প্রেসিডেন্টের অভ্যন্তরিণ সার্কেলের তদন্ত কার্যক্রমের প্রায় শেষ পর্যায়ে এই পদত্যাগের ফলে নতুন কোন সমস্যা জট বাধতে পারে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন।

জানা যায়, সপ্তাহান্ত ধরে তদন্তের ইতি টানার জন্য ডাউড লিখিত বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রথমে হোয়াইট হাউজ এবং পরে ডাউড বক্তব্যের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। ডাউড বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের লিগ্যাল টীম মুলারকে বরখাস্ত করতে চান নি। তবে মুলারের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রকাশ্যে বিষোদগার করেছেন। গত সপ্তাহে বেশ কয়েকটি টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন যে তদন্ত কার্যক্রম কখনো শুরু হওয়ার কথা ছিলনা। তিনি বলেছিলেন এটির ভিত্তি ছিল ফ্রডুলেন্ট অ্যাক্টিভিটিজ ( জালিয়াতি ভিত্তিক কর্মকান্ড)। তিনি আরও বলেছিলেন- ১৩ জন কঠোর ডেমক্র্যাট, কয়েকজন ভ্রষ্ট হিলারী সমর্থক দ্বারা তদন্তকার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারী সারাহ হুকাবী বলেছেন, তদন্ত প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ট্রাম্পের হতাশা টুইট বার্তাগুলোতে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হোয়াইট হাউজ মুলারকে বরখাস্তের কথা ভাবেনি। ট্রাম্পের অপর আইনজীবী জে সেকুলো ডাউডের পদত্যাগ নিশ্চিত করেছেন।
সেক্সের পর ম্যাকডুগালকে অর্থ দিতে চেয়েছিল ট্রাম্প: আমেরিকার ঘোলাটে রাজনৈতিক ময়দানে নতুন করে বোমা ফাটালেন সাবেক প্লেবয় মডেল কারেন ম্যাকডুগাল। ২২ মার্চ সিএনএন এর এন্ডারসন কুপারকে এক বিশেষ সাক্ষাতকাওে উর্বশী ম্যাকডুগাল বলেন, ২০০৬ সালে যৌন মিলনের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে অর্থ পরিশোধ করতে চেয়েছিল।

অপরূপা সুন্দরী ম্যাকডুগাল আরও বলেন, বিশেষ অন্তরঙ্গ মুহূর্তের পর ট্রাম্প আমাকে অর্থ দিতে চাইলে আমি তার প্রতি তাকালেম এবং বললেম যে আমি সে ধরনের মেয়ে নই। ট্রাম্প অর্থ হস্তান্তর করতে চেয়েছিলেন কি-না এন্ডারসন জিজ্ঞেস করলে ম্যাকডুগাল হাঁ সূচক উত্তর দেন।

ম্যাকডুগালের দাবি অনুসারে তথাকথিত ফ্রডুলেন্ট অ্যান্ড ইলিগ্যাল এগ্রীমেন্ট ( জালিয়াতি এবং বেআইনী চুক্তিনামা) থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ম্যাকডুগাল ২১ মার্চ ক্যালিফোর্নিয়ায় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন । ২০০৬ সালের ট্রাইস্ট ( সাক্ষাতের জন্য পূর্ব নির্ধারিত স্থান ও সময়) সম্পর্কে নীরব থাকার শর্তে ম্যাকডুগালকে দেড় লাখ ডলার প্রদানকারী ন্যাশনাল এককোয়ারারে প্যারেন্ট কোম্পানীর সাথে ম্যাকডুগালের উল্লেখিত চুক্তিনামাটি সম্পাদিত হয়েছিল। মডেল দাবি করেন যে তার নীরবতা খরিদকারী আমেরিকান মিডিয়া ইনকএর চীফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু তা উপলব্ধি না করতে পেরে তিনি প্রতারিত হয়েছিলেন।
ম্যানহাটান জাজের সিদ্ধান্ত: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অবশ্যই ডিফামেশন ( মানহানিকর ) ক্ষতিপূরণ মামলার মুখোমুখি হতে হবে বলে সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন ম্যানহাটানের বিজ্ঞ জাস্টিস জেনিফার ছেকটার। কমান্ডার- ইন- চীফ ( সর্বাধিনায়ক) হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্য অ্যাপ্রেনটিস প্রতিদ্বন্দ্বীর মামলার দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার অধিকার রাখেন উক্ত দাবির পটভ’মিতে বিজ্ঞ বিচারক উক্ত সুচিন্তিত আদেশ প্রদান করেছেন বলে সম্প্রতি জানা যায়।

আদালতে সংবিধানের সুপ্রিমেসী ক্লজের ( সর্বাধুনিকায়কের অনুচ্ছেদের) উদ্ধৃতি দিয়ে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছিল যে স্টেট আদালতগুলোকে প্রেসিডেন্টগণ সিভিল লিটিগেশন ( সর্বসাধারণ সংশ্লিষ্ট মামলা-মোকদ্দমা) থেকে গালা-সীলদ্বারা সংরক্ষিত। যাহোক, বিজ্ঞ বিচারক ছেকটারের প্রদত্ত সিদ্ধান্তের ফলে ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সামার জেরভোসের আনীত ২০০৭ সালে তাকে জড়িয়ে ধরে নিজের স্পর্শকাতর অঙ্গ দিয়ে মহিলা মডেলকে চেপে ধরা বিষয়ক মহিলার এলিগেশনসকে ফিকশন ( অভিযোগগুলোকে সত্য বলে) ধরে নিয়ে মামলা চালিয়ে যাওয়ার আইনগত বৈধতা দিয়েছে।

শীর্ষ এটর্নী ওলসনের অস্বীকৃতি: জাতীয় পর্যায়ের অন্যতম শীর্ষ কনজারভেটিভ লিটিগেটর ( আইনজীবী) টেড ওলসন ২০১৬ সালের নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক ফেডারেল তদন্তকার্যক্রমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডিফেন্স ( বিবাদীর) টীমে যোগ দেয়া সংশ্লিষ্ট হোয়াইট হাউজের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। দ্বিতীয় বুশের কার্যকালে সলিসেটর জেনারেল হিসেবে দায়িত্বপালনকারী এবং বড় ধরনের মামলা পরিচালনায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিদ্যমান আইনজীবীদের চেয়ে ঢের বেশি অভিজ্ঞ টেড ওলসনের সাথে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে ২২ মার্চ জানা যায়। ওলসনের গিবসন, ডান অ্যান্ড ক্রাটচারের অংশীদার টেড বুট্রুয়াস জানায় যে ৭৭ বছর বয়স্ক ওল্ডসন উক্ত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন। স্পেশাল কাউন্সেল রবার্ট মুলারের ইনভেস্টিগেটরদের সম্ভাব্য প্রশ্নাবলীর মুখোমুখি হওয়ার জন্য ট্রাম্প প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা যায়।

স্টর্মী ড্যানিয়েলসের সর্বশেষ অভিযোগ: এদিকে সিবিএস চ্যানেলের ফ্ল্যাগশিপ প্রোগ্রাম সিক্সটী মিনিটসে প্রচারিত এক সাক্ষাতকালে পর্ণো তারকা ড্যানিয়েলস জানান যে নিজের এবং কন্যার নিরাপত্তা চিন্তা করেই তিনি ট্রাম্প সম্পর্কে সহজে মুখ খুলতে চাননি। এমন কি মুখ না খোলার শর্তে ২০১৬ সালে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার চুক্তির শর্তে সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন।

ড্যানিয়েলস আরও জানান, ২০১১ সালে ১৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে ট্রাম্পের সাথে যৌন সম্পর্কের বিষয়টি স্বীকার করে বাউয়ার পাবলিশিংকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন।