ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটি প্রশ্নে বিতর্ক!

ঠিকানা ডেস্ক : ২০০৭ সালে বেভারলী হিলসে সাবেক অ্যাপ্রেন্টিস কনটেস্ট্যান্ট (প্রতিদ্বন্দ্বী) সামার ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটি প্রশ্নে বিতর্ক! জারভসের অসম্মতিতে ট্রাম্প তাকে বারম্বার চুমু খেয়েছিল এবং জড়িয়ে ধরে সংবেদনশীল অঙ্গে হস্ত সঞ্চালন করেছিল- ২০১৬ সালে জারভস উক্ত অভিযোগ আনয়ন করেছিল। উক্ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প জারভসকে ডাহা মিথ্যাবাদী বলায় জারভস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানীর মামলা রুজু করেছিল। তখন ট্রাম্পের আইনজীবীগণ ট্রাম্প প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটির (প্রেসিডেন্ট পদবীর সুবাদে অব্যাহতি পাওয়ার) উপযোগী দাবি করায় নিম্ন আদালতের বিচারক দাবিটি নাকচ করে দেন এবং ট্রাম্প প্রেসিডেন্সিয়াল ইমিউনিটির উপযোগী নন বলে রুলিং দিয়েছিলেন। নিম্ন আদালতের প্রদত্ত রুলিংয়ের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের আইনজীবীগণ আপীল করেন।
উক্ত আপীল শুনানীর দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে মিড-লেভেল ( মাঝারি-স্তরের) অ্যাপীলেট ডিভিশনের ৫ জন জাজের সমন্বয়ে গঠিত স্টেট আপীল জাজদের একটি প্যানেলের উপর।
শুনানীতে প্র্যাকটিক্যাল মেনারস (বাস্তব আচরণ) সম্পর্কে স্টেট সুপ্রিম কোর্ট অ্যাপীলেট ডিভিসন জাস্টিস পিটার টম এবং এঞ্জেলা মাজারেলি কিছু হাইপথেটিক্যাল বা তাত্ত্বিক প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্নগুলোর মধ্যে রয়েছে: একজন প্রেসিডেন্টকে কি সিটির স্মল কোর্টে নেয়া যায়? বা কোন আদেশ অমান্য করা হলে আদালত অমান্যের দায়ে কমান্ডার ইন চীফকে স্টেট জাজ কি কারাদন্ড দিতে পারেন? জাস্টিস এঞ্জেলা মাজারেলি জারভসের আইনজীবী মারিয়ান ওয়াংকে জিজ্ঞেস করেন, আপনি কি বলছেন যে আমরা প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিতে কিংবা কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিতে পারি? উত্তরে ওয়াং বলেন, তার বিশ্বাস মামলাটি তত দূর গড়াবেনা।
লক্ষ্যণীয়, যতদিন ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ততদিন পর্যন্ত জারভসের মামলাটি খারিজ করে দেয়ার জন্য ট্রাম্পের আইনজীবীগণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে কোর্ট সেশনে ট্রাম্পের লিগ্যাল টিমের মৌলিক যুুক্তিতর্কের উপর আলোকসম্পাত করা হয়। যুক্তিতর্কটি ছিল- অফিসিয়াল ডিউটীজ (দাপ্তরিক কর্মকান্ডের) বাইরে একজন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের আচরণের জন্য তার বিরুদ্ধে স্টেট কোর্টে মামলা রুজু করা যায়না।
ট্রাম্পের আইনজীবী মার্ক কাসোউইটজ বলেন যে আদালত অমান্যের প্রশ্নটি তার পয়েন্টের প্রমাণে সাহায্য করবে। জারভস এটর্নী মারিয়ান ওয়াং বলেন, নন-অফিসিয়াল (দপ্তর বহির্ভূত) আচরণের ক্ষেত্রে স্টেট কোর্টে মামলা রুজু বেলায় সংবিধান প্রেসিডেন্টের জন্য গালাসিল করে দেয়নি।