ঠিকানা রিপোর্ট : হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সেক্রেটারি ক্রাস্টহেন নিয়েলসেন ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত উদ্ভট চিন্তার স্কেপগোটে পরিণত হয়েছেন। আর এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে তার চিফ অব স্টাফ জন কেলীর উত্তপ্ত সম্পর্কের সৃষ্টি হয়েছে। জন কেলী, ক্রাস্টহেন নিয়েলসেনের খুবই ঘনিষ্ঠ জন। জন কেলী বিশ্বাস করেন যে, ট্রাম্প ক্রাস্টহেনকে যে সমালোচনা করেছেন তা অবাঞ্ছিত এবং অসঙ্গত।
নিয়েলসেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি হিসেবে যখন প্রথম মনোনয়ন পান তখন থেকেই ট্রাম্পের তার সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তার মনোনয়নের এক সপ্তাহ পর ওভাল অফিসে এক উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর ট্রাম্প হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব পদ থেকে ক্রাস্টহেন নেইলসনের নাম প্রতাহার করে নিতে চেয়েছিলেন। ট্রাম্প কয়েকজন ফক্স নিউজ এ্যাঙ্করকে বেছে নেয়ার কথা ভাবছিলেন। তার মধ্যে ছিলেন এ্যান কোস্টার। আর তার কথা ছিল সীমান্তের বিষয়ে নেইলসন বড্ড নমনীয়। ওয়াশিংটন পোস্ট প্রথম রিপোর্ট করে যে, ট্রাম্প দাবি করেন যে, তিনি জানতেন না নেইলসন একসময়ের জর্জ ডব্লিউ বুশের হয়ে কাজ করেছেন। আর বুশকে ট্রাম্প মনে করেন, অনেক ডেমক্রেটদের চাইতেও খারাপ।
সরাসরি এ সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে এমন একজন বলেন, ওভাল অফিসে এক রাতে কেলী দাঁড়িয়ে পড়েন। রেগে মেগে রুম থেকে তিনি বেরিয়ে যান। কেলী যখন বেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আমার উচিত এখন চলে যাওয়া’। কেলী নেইলসনকে সমর্থন করেন। এবং তিনি চাকরিটা লাভ করেন। এবং এটা মনে হয়নি যে, কোনো প্রকার সংকটে আছে।
তখন থেকে নেইলসন কোনো ক্ষমাহীন ভূমিকা পালন করেননি। তিনি সবসময় প্রেসিডেন্টের বেআইনি ইমিগ্রেশন আইন প্রয়োগ আইডিয়া বাদ দিতে সহায়ক ভূমিকা নেন। সাম্প্রতিক সময়ে অ্যাকটিভ সামরিক বাহিনী বর্ডারে পাঠানোর প্রেসিডেন্টের এক অসঙ্গত পরামর্শও তিনি সংশোধন করেন। প্রেসিডেন্ট শুধু ন্যাশনাল গার্ডের কথা বলেননি। বলেছিলেন একটি ডিউটি মিলিটারির কথা সীমান্তে পাঠানোর জন্য। এক সিনিয়র অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সোর্স বলেন, প্রেসিডেন্টের অনেক অবৈধ পরামর্শ আসছে হোয়াইট হাউজের বাইরে থেকে। ফক্স নিউজের অনেক লোক এ পরামর্শ দেন। সূত্র বলে যে, নেইলসন প্রেসিডেন্টকে দেয়ালের ব্যাপারে সম্পূর্ণ সমর্থন করেন। এবং ফাঁক-ফোঁকর বন্ধের সমর্থন দেন। কিন্তু বারবার তাকে ‘মিস নো’ এর ভূমিকা পালন করে অনেক ক্ষেত্রে ‘নো’ বলতে হয়। ট্রাম্পকে অবৈধ আইডিয়া দেয়া হচ্ছে যা টেলিভিশনে মানায়। কিন্তু সেসবের কার্যকরী ভূমিকা দ্ব্যর্থবোধক। কেলী ট্রাম্পের দৃষ্টি নেইলসন থেকে ফিরিয়ে কংগ্রেসের দিকে নিবদ্ধ করতে চান বলে ওয়াকিবহাল মহল জানিয়েছে।
তার ফল হচ্ছে ট্রাম্প নেইলসনকে সমালোচনা করেন এবং তাকে ও কংগ্রেসকে দোষারোপ করেন দক্ষিণে সীমান্ত দিয়ে লোক প্রবেশের হার বাড়ার জন্য। এমন কোনো কারণ নেই যে, নেইলসন আরও বেশি অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট প্রবেশের জন্য কিছু করেছেন। মেক্সিকোর সহিংসতা সম্ভবত এ জন্য দায়ী।
প্রশাসন যুক্তি দেয় যে, কংগ্রেসের কর্মহীনতাই দায়ী ট্রাম্পের প্রাথমিক কার্যকারিতার পর নতুন করে কালোবাজারি ও অন্যরা সাহস পাওয়ার পেছনে। কিন্তু ট্রাম্প মনে করেন কেলী যখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি চালাচ্ছিল তখন অবৈধ ইমিগ্র্যান্ট প্রবেশ কমে গিয়েছিল। এখন প্রশাসন নতুন করে এই ব্যর্থতা ও দক্ষিণ সীমান্তে অনুপ্রবেশ রোধে ফাঁক-ফোঁকর বন্ধে আইন প্রণয়ন করবে।