ঠিকানার কবিতাগুচ্ছ

মুক্তির হাতছানি

গোলাম রহমান

জীবন এখানে শেওলায় ধরা গতি হারিয়েছে পথ
শোষকের দল নির্মমভাবে বিকল করেছে রথ।
হাহাকার আর কান্নার রোল দুখী মানুষের ঘরে
মানুষ পশুতে চলছে লড়াই তামাম দুনিয়া জুড়ে।
অমানুষ এথা সব মানুষেরে বানিয়েছে সেবাদাস
মুখের গ্রাস শুধু কাড়ে নাই ছিনিয়ে নিয়েছে বাস।
পথে মাঠে ঘাটে ক্ষুধাতুর কাঁদে ক্ষুধায় অন্ন চায়
ঘরের ছাউনি খসে পড়েছে কোথা পাবে আজ ঠাঁই।
নিষ্পাপ শিশু কেঁদে কেঁদে সারা, চায় এক ফোঁটা দুধ
উপোসীর স্তন শুকিয়ে গিয়েছে নেই তার এই বোধ।
কিশোর বালক ভেবে ভেবে মরে এ কেমন রীতিনীতি
মানুষে মানুষে এত হানাহানি নেই কোন প্রেম-প্রীতি।
গুদামে গুদামে চালের বস্তা, তবু উপোসের পালা
শত চিৎকারে চেতন আসেনা শোষক এথায় কালা।

দোকানে দোকানে হরেক রকম ওষুধের ছড়াছড়ি
মরণ ব্যাধিতে জোটেনা ওষুধ পায়না একটি বড়ি।
শীতের ঠেলায় কাঁপে থরথর দরিদ্র জনগণ
এ দৈন্য হেরি টলেনা একটু মুনাফাখোরের মন।
কেন এই ভূমে শুধু ভেদাভেদ বঞ্চনা গঞ্জনা
আইনের প্যাচে কেবলই বাড়ে গরিবের লাঞ্ছনা।
চপল কিশোর তারুণ্য পায় বয়স বাড়ার গুণে
বৈষম্য হেরি প্রশ্নের ঝড় বাসা বাঁধে যুব মনে।
হাতের মুষ্ঠি সুকঠিন হয় খুঁজে ফিরে প্রতিকার
অগ্নি শপথে বলীয়ান হয়ে পেতে চায় অধিকার।
বাঁচার চেতনা শিরায় শিরায় তুলে নব কলতান
শোষিতের হাতে মারণের লাঠি কন্ঠে সজীব গান।
কাস্তে হাতুড়ি সজল হয়েছে ভাঙ্গার আহ্বানে
চারদিক হতে আসছে মিছিল যোগ দিবে উত্থানে।
সহজ সরল কোন পথ নেই তাই বাঁকা পথ ধরে
অসম যুদ্ধে তাজা বুক হতে অনেক রক্ত ঝরে।
তবু পথ চলে ছিনিয়ে আনতে বিজয় মাল্যখানি
সারাটা জীবন মানবে না আর ক্ষত্রিয় রাহাজানি।
অরুণাচলের বুক চিরে আসে মুক্তির হাতছানি
এগিয়ে চলার পথে পথে জাগে ঊষার অভয় বাণী।
আটলান্টা।

প্রবাস জীবন

রিফাত মুরসালিন

যা ছিল সব পিছে ফেলে
শুধু সাহস নিয়ে বুক জুড়ে
চোখ বন্ধ করে ডানা মেলে
উড়ে এসেছি আজ বহু দূরে।

সোনার দেশের বাসিন্দা আমি
স্বপ্নতেই দৈনিক লেনাদেনা
এক টুকরো স্বপ্ন কতই না দামি
আর কত ত্যাগ? নিজেই নিজের অচেনা।

নীল আকাশ ছুঁতে গিয়ে মিললো সাদা শূন্যতা
কিভাবে কোথায় হারালো সব সময়
জীবনে কি মিলবে আকাক্সিক্ষত পূর্ণতা
অনিশ্চিত আগামীর দিকে আগাতে লাগে ভয়!

দেশের লোকে ডাকে আমায় বিদেশি
এখানে লোকে ভাবে আমি ভিন্ন
পরিচয় জানে না নিজের প্রতিবেশি
কোথায় আজ আমি-শিকড় থেকে ছিন্ন।

মাথায় আগামীর চিন্তা, পকেটে পিছনের স্মৃতি
স্বপ্ন দখলের প্রতিযোগিতায় আজ পরাজিত
এই ব্যস্ত শহরে থেমে আছে জীবনের গতি
কিছু কিছু গল্প রয়ে যায় এভাবে অলিখিত

বন্ধ জানালার ফাঁক দিয়ে দেখি খোলা আকাশ
সাদামাটা জীবন, ভালোমন্দ কাটে দিন
এভাবেই দেখতে দেখতে দিন হয়ে যায় বারো মাস
আশা একদিন বংশধরের ভবিষ্যত হবে সীমাহীন।

বৃষ্টির মাঝে জানালায় এক জল ফোঁটার
গড়িয়ে পড়া, ক্ষণিকেই এক সমাপ্তি
তারই মতো হয়তো আমার জীবনের গল্পটার
শেষ হঠাৎ, বিনা রঙিন কোনো প্রাপ্তি!

দিবাস্বপ্নে মগ্ন, আগাতে গিয়েও অচল
দিনরাত্রি সুখের সাধনা আর উপাসনা
আশা আস্থা ছাড়া তো মানবজাতি দুর্বল
সুখের ঘূর্ণিঝড়ে বয়ে যাবো একদিন, এটাই প্রার্থনা।
-নিউইয়র্ক।

রমজান বলে গেছে

নূরুন্নেছা চৌধুরী রুনী

রমজান বলে গেছে, হে মানব শোন
বছরের এই মাস ভুলো না কখনও।
ট্রেনিংয়ের এই মাস বলে গেছে, ভাই,
যে শিক্ষা দিয়ে গেছি ফি বছর চাই।
মারামারি, হানাহানি, মাদক সেবন,
খোদার আদেশ বাণী করো না লঙ্ঘন।
পাপের বেসাতি দিয়ে চালিয়ো না দেশ,
বদৌলতে পাবে শুধু নিরঙ্কুশ ক্লেশ।
রমজান বলে গেছে, শোন হে মানব,
খুন, হত্যা, ধর্ষণে হয়ো না দানব!
তোমার আস্ফালন যদি হয় ত্রিশ দিন
খোদার অমোঘ বিধান ‘পলকে বিলীন’!
রমজান বলে গেছে, সুসংবাদ শোন,
যারাই ধর্মের পথে, ভয় নেই কোন!

ওই পথে একবার

শামস আল মমীন

আরো একদল হেঁটে গেছে এই পথ।
যে যায় ফেরে না।
এতো দূরে যাওয়া কেন? বলি,
কাছে থাক
কাঁচ ঘরে শুয়ে শুয়ে পার করে দিক
আরেক জীবন। মাঝে মাঝে
গুচ্ছ গুচ্ছ ফুল বলে যায়, বর্ষশেষ…

চিরচেনা ওরা। ধুলা কাদা মুছে দিলে
মানুষে মানুষে ব্যবধান কতদূর।
ওরা সিদ্ধআত্মা। সাত পাপে খ্যাত। কেউ
বুঝি অনুতাপ করে ক্ষমা করো হে বালক, চঞ্চল বালিকা,
ঘাসফুল, অনাহারী মুখ?

ওরা বোঝে-করুণ মিনতি,
বন্ধুর মুমূর্ষু হাসি? আমি

শুধু ওই পথে একবার
কি ঘোরে নিজেকে দেখে চমকে উঠেছিলাম।

দ্বিধান্বিত হারাম-হালাল

মামুন জামিল

চেহারায় তাঁর আধ্যাত্মিক এক অন্যরকম স্নিগ্ধভাব
ওয়াজ করেন, খুতবা পড়েন জুম্মাবারে ইমাম সা’ব ।
ব্যাখ্যা করেন হারাম-হালাল, জীবন চলার শুদ্ধ দিক
বর্ণনা দেন পাপ-পুণ্যের ,বুঝিয়ে বলেন ঠিক-বেঠিক।
আরবী শেখান, মিলাদ পড়ান দ্বীনের কাজে অন্তপ্রাণ
দু’হাত ভরে হাদিয়া আসে, তিনি যে এক বুজুর্গান !
“ডীপফ্রিজে” টাকা রাখেন, ব্যাংকে দিলে হয় যে সুদ
সেই আদর্শেই জমান টাকা ইসলামই তাঁর মূল্যবোধ !
“ফুডস্টাম্প’ দিয়ে বাজার করেন ইচ্ছে স্বাধীন যখন যা
হালাল সকল খাদ্য খোঁজেন ডিম, দুধ কি মাখনটা !
আপন হাতে জবাই করা “পোল্ট্রি ফার্মের চিকেন খান

দশটা নিলে একটা ফ্রী দেখে দারুণ তৃপ্তি পান !
“ইনকাম” তাঁর হয়না মোটেই প্রমাণ করে ‘রিটার্ন” পান
“ট্যাক্স রিটার্নের পয়সা দিয়ে দেশে বেড়ান, হজ্বে যান ।
ইহুদী আর নাছারার এই দেশটা দেখে কষ্ট পান !
গণিমতের মাল ভেবে কি চোখ বুজে তাই সবই খান ?
আয় রোজগারের মাঝে থেকেও এসব সুযোগ নেন যখন
কোনটা হারাম? কোনটা হালাল? দ্বিধায় পড়ি ঠিক তখন ।।
-নিউইয়র্ক।

ঈদের ছড়া

আব্দুল আজিজ

ঈদি ও ঈদান্ন
ঈদের দিনে কি পরব
কি খাব কি খাব না-
এই নিয়ে সবার মনে
কত শত ভাবনা।

কেউ পরবে জামা-জুতো
হাল-ফ্যাশানের ভাই-
কারো গায়ে থাকবে ছেঁড়া
পুরান জামাটাই।

কেউ খাবে কোর্মা-পোলাও
কত রকম রান্না-
কারো পাতে রবে না ফেন
ঝরবে চোখে কান্না।

আস সবে দাঁড়াই পাশে
করি মোদের ধন্য-
বাড়তি অন্ন-বস্ত্রটা
দেই দুখির জন্য।
-নিউইয়র্ক।

ভেতরে জলের টান

হোসাইন কবির

ভেতরে জলের টান
কে যায়? ডুবে যায়!
তুমুল আত্ম-অভিমানে!

আহা আমাদের অতীত!
স্মৃতির কবাটে
পড়েছে ধুলোবালির খিল!

এসো সখা হাত ধরি
ডুবে যাই আজো একবার
বিস্মৃত অতীত অবয়বে।

অন্ধ বন্ধ দরজাকবাটে
মাটিচাপা দিয়ে
ফের প্রখর সূর্যালো বান ডেকে যাবে
বুঝিবা পড়ন্ত বিকেলে।

সাদাকালো ছবি
রঙ তুলিত সাজাই
হাতের পাশে শুয়ে থাকা নীরব আঁধারে।

শ্রেণীভেদে ঈদ

সাহেরা আফজা

ধনী: সিয়াম সাধনের মাস শুনেছি যে চিরকাল
রমজানের এই মাস
তবু ধনীগৃহে বাহুলত্যা ভুরিভোজের
মিটেনাতো আশ –!
শুনি দেখি ইফতার সেহেরির পার্টি যে সব
লেগেই থাকে শত.
করে বিদেশ মলে ঈদ বাজারের কেনাকাটা
পাল্লা দিয়ে কত — !
মধ্যবিত্ত: ওরা রোজার মাসে খাবি খাচ্ছে পকেট চেপে
বাজারের থলি হাতে
মুনাফা লোভীর চড়া দাম হাঁকানোর নোংরামিতে
বজ্র পড়েছে সাথে –!
ঈদ বাজারের সঙ্কুচিত কেনাকাটার ছোট সে এক
লিস্টি হাতে নিয়ে
নাজেহাল শহরের হাটে, পেরেশান ফুটপাতে, ক্লান্ত
চটির তলা ক্ষয়ে –!
দরিদ্র: আধপেট খেয়েও কভু নিত্য ওরা এই রমজানে
সিয়াম সাধন ব্রতে
কষ্টে-শিষ্টে মাসটা ওদের সব কালেই যায় কেটে
যায় কোনমতে –!
ঈদ বাজারের কেনাকাটার নেই সঙ্গতি, নেই বিলাস
নেই উচ্ছ্বাস, তাড়া
তবু জানি ওদের ঘরে, ওদের তরেও আসছে ঈদ
জাগিয়ে খুশির সাড়া- !
-পেনসিলভেনিয়া।

ঈদের দিনে

সুফিয়ান আহমদ চৌধুরী

ঈদের দিনে রাঙা বউ ঝুমুর পায়ে নাচে
দোয়েল পাখি মিষ্টি সুরে ডাকছে গাছে
সোনালি রোদ ঝলোমলো প্রিয় অই গাঁয়
ঈদের আনন্দে মনের সুখে সবে গান গায়।

রঙ-বেরঙের বেলুনে সাজে ঈদের দিন আজ
লাল নীল রঙিন কাগজে চারদিকে কী সাজ
কোরমা পোলাও ফিরণী পায়েস সবে খায়
ধুমধাম কোলাহলে ঈদের দিন যে চলে যায়।

ঈদের দিনে হিংসা দ্বেষ সকলে ভুলে যায়
ধনী দুখি ভেদাভেদ ভুলে বুকে বুক মিলায়
ঈদের দিনে প্রাণে প্রাণে আলোর বয় বান
দিকে দিকে হাওয়ায় ভাসে ঈদের দিনের গান।

ঈদের দিনে মনটা তাজা যায় দিন যায় ভালো
সবার মুখে ইলিক ঝিলিক রাঙা রঙিন আলো
ঈদের প্রীতি ঈদের দিনে কী যে সুখে ঘরে ঘরে
মহাখুশির দিনটা এলো আজ একটি বছর পরে।

ঈদের দিনে মিষ্টি দিনে খুশিতে মনটা রয় ভরে
নতুন জামার বাহার গায়ে কতোই সুখ যে করে
মজার খাবার ঘরে ঘরে মন থেকে দু:খ ভুলে যায়
সবখানে ঈদের দিনে আদর সোহাগ মায়া পায়।

চারদিকে অথই খুশির বান বয় ঈদ মোবারক ঈদ
রাত জেগে স্বপ্ন আঁকে খোকা খুকু নেই চোখে নিদ
ঈদের দিনে খুশবো আতর সোনার দেশে ঘ্রাণ
প্রেম প্রীতি আর ভালোবাসায় ভরে সবার প্রাণ।
-নিউইয়র্ক।

কেউ চেনে না

অসীম সাহা

এখন আমায় কেউ চেনে না!

শাবাজপুরের শরীফ মিয়া
লেবুতলার লতিফ আলী
পলাশপুরের করুণাময়ী
যে আমাকে বাঁচিয়ে ছিল
বুকের ওমে লুকিয়ে রেখে
একাত্তরে।

এখন আমার রাত কেটে যায়
ইস্টিশানের ছাদের নিচে,
পেটের খিদে দেয় পাড়ি দেয়
এবেলারটা ওবেলাতে।
কখনো বা যাই চলে যাই
বিয়ে বাড়ি অনাহুত
গলা ধাক্কা কম খাইনি
এইতো সেদিন, মেহেরুনের বিয়ের দিনে!

আমার গায়ে জল ছিটিয়ে মনতিরি সাব যায় ছুটে যায়
তার গাড়িতে ঝা-া ওড়ে লাল-সবুজের ডানা মেলে!
লোকটা নাকি দালাল ছিলো পাকিস্তানের একাত্তরে!

বাম হাত আমার উড়ে গেছে পাকশী সেতু অপারেশনে
মাথার ওপর হুলিয়া ঝোলে, বউ জানে না কোথায় আছি
মা দেখে না তার ছেলেটা ন’মাস হলো ফেরার আমি
আমি নাকি দেশদ্রোহী পঁচাত্তরের হত্যাকারীর বিচার চেয়ে।

এখন আমার কেউ চেনে না!
নিউইয়র্ক।

ক্রসফায়ার

মো. শাকিল হোসেন

মানুষ কি আর খেলনা-পুতুল
ইচ্ছা হলেই মারবি,
এই মানুষই বাংলা বলতো
কেউবা পড়তো আরবী ।

মানুষ কি আর পিঁপড়া-মাকড়
মারবি পায়ের তলায়,
এই মানুষটা হয়তো নাচতো
গান ধরতো গলায়।

মানুষ কি আর হাতের মোয়া
ইচ্ছা হলেই খাবি,
এই মানুষই হয়তো হতো
মহাকাব্যের কবি ।
মানুষকি তোর হয় দুলাভাই
কান মলবি জোরে,
এই মানুষই পড়তো কোরান
নামাজ শেষে ভোরে ।

মানুষ কি আর ছাগল-পাগল
লতা-পাতা দিবি খেতে,
এই মানুষই ধরতো কোদাল
মুষ্ঠিবদ্ধ হাতে ।

মানুষ কি তোর হয়রে শালা
মারবি চাপড় পিঠে,
এই মানুষই গড়তো দালান
সুড়কি – বালু – ইটে ।

মানুষ কি তোর চাকর-বাকর
ইচ্ছা হলেই ছাঁটাই,
উড়াতো সে শখের ঘুড়ি
ধরতো হাতে লাটাই ।

মাদক যে খায় সেও মানুষ
সেও কারোর বাবা,
ভাবে সন্তান জান্নাত তার
ওটাই তাদের কা’বা ।

মাদক যে খায় সুস্থ সে নয়
সেবা দরকার তার,
অসুস্থকে সুস্থ করলে
বেঁচে যায় পরিবার ।

শুধরে ডাকাত হয় যদি পীর
সুযোগটা হোক সবার,
দেশটা যে ভাই সব জনতার
নয় যে আমার বাবার।
ব্রঙ্কস, নিউইয়র্ক।

ঝিনুক পাত্র

গিনি

মনের ঝিনুক পাত্রে
রেখেছি তোর হ্রদয়।
সেখানে সাগর দোলা
আনে স্বপন ভোলা
ভরায় শুষ্ক তল তলায়ে।
মৎস্য কন্যার কেলি,
ডাগর আঁখি মেলি,
আনে মিলন স্বাদ,
প্রেম আহ্ললাদ।
কত শেওলার ঢেউ
জানিতে পারেনা কেউ,
আদরে পরশ বুলায়।
এ পাত্র সমুদ্র জল ডোবা,
প্রেমী ছাড়া চেনে কে বা?
নীরব সারগুলি
রয় নীরব
কে পারে যেতে বলি!
তবু আগলে থাকা,
মনে মনেই সুখ মাখা।
-অন্টারিও, কানাডা।

ঈদের দিন

সরদার এ জামান

মিলন মেলার সওগাত নিয়ে
এলো খুশির ঈদ
ঈদগাহে তাই যেতে হবে
এবার ভাঙে নিদ।
ঈদের তরে সকল ঘরে
বইছে খুশির বান
তাই তো শুনি সবার মুখে
ঈদ আনন্দের গান।
রফিক-সফিক, রুমা-সোমা
সবাই খুশি আজ
নিত্যনতুন পোশাক পরে
সাজরে তোরা সাজ।
বাদশাহ ফকির নেই ভেদাভেদ
বাজাও খুশির বীণ
কোর্মা পোলাও দুহাতে বিলাও
আজ যে ঈদের দিন।
-নিউইয়র্ক।