নিজস্ব
আমিনুর রশীদ পিন্টু
এই সব নদীর ধারে
পালতোলা নৌকোর পাশে
অনেক হেলেঞ্চা আর
ঝরাপাতার শিশির মেখে
শুয়ে আছে জোছনার মেঘ
যদিও আঁধার নামে
কামিনীর ডালে যদিও
ঝিল্লির গানে মাধবীলতা দোলে
যদিও শিউলীবনে খেলে যায়
কাঁঠালিচাঁপার উদাস উদাস গন্ধ
তবুও
মটরশুটির মাঠে, দোয়েল
আর ময়নার পাখায় উড়ে
উড়ে আসে শরতের মেঘ।
হেমন্তের গোধূলী বাতাস দুলে
দুলে যায় শিমুলের ডালে।
এইসব শোকার্ত ঘ্রাণ
এইসব কামরাঙ্গা আর বাতাবী
লেবুর গন্ধে প্রাণে আনে সুবাস
উদাস পানশীর মত ভেসে
বেড়ায় শাল-পিয়ালের বনে
এখন শ্যামলী উঠোনে বিশ্বাসী
মাটি বুনে যায় নক্ষত্রের শপথ
এই সবুজের দ্রাঘিমা আমার
এই মেঘের অবিশ্রান্ত বর্ষণ আমার।
নিউজার্সী।
দুঃসময়
মামুন জামিল
এখন আর বেরুবার সখ নেই,
তামা রঙ হয়ে গেছে চামড়া।
সবুজের গৃহে আজ সুখ নেই,
জলপাই গাছে ধরে আমড়া।
বালি হাঁস ভীতু ডুব সাঁতারে
তেলচিটে পালক আর পাখনা!
পেঙ্গুইন উদাসীন খাবারে,
চাতকীর চোখে মেঘ ঢাকনা।
তেল জল মিশে হলো একাকার,
শিশিরের বুকে লাগে খরতাপ!
বাগানের ফুলগুলো কদাকার,
মালিনীর দেহে নাই উত্তাপ !
-নিউইয়র্ক।
রাজপথ
গিনি
আজ রাজপথে নেমে দেখি হৈ হুল্লোড়,
হাঁকা হাঁকি, চেঁচামেচি মিথ্যার বল্লর।
দুখি মানুষের ভিড়ে,
নম নম ভেল্কি বাজরে ঘিরে।
নোংরা নর্দমার সাথেই
সুউচ্চ প্রাসাদ,
সুন্দরের মেকি হাসি হাসে।
লজ্জায় পালায় কোকিলের দল।
চলাচল বন্ধ হয় সুহৃদ জনের,
উচ্ছিষ্টের কাড়াকাড়ি করে নেড়ির দল,
অভুক্ত, অনাহারের, কাঙ্গালের ঢল।
ডাকাত গোষ্ঠীর পোশাকি লাঠিয়াল,
চালায় হামলা যখন তখন,
সাধারণ কত পা হাঁড়ায়, হাত থেতলায়,
না মানলে যায় জীবন এখন।
সমাজপতিরা লিখে ছিল যা
দেওয়াল পত্রিকা ভরে,
গেয়ে ছিল, কেঁদেছিল প্রাণ খুলে,
মঞ্চে দাঁড়ায়ে আহ্বানে বার বার,
কত কি যে দিয়ে ছিল বাণী আর,
মিলনের হাত বাড়ায়ে নিয়ে ছিল বিরোধী হাত তার।
সে সব ইতিহাস গিয়েছে যাদুঘরে,
গর্তে হারিয়েছে রাজপথ ,
ভালোবাসাহীন জনতার অনাদরে!
-অন্টারি, কানাডা।
শুভ নববর্ষ
দিল আফরোজ কাজী রহমান চাঁপা
বাংলা নতুন বছর ১৪২৫ সালের
বৃষ্টিস্নাত প্রথম মুগ্ধ প্রভাতে,
মনটা ভরেছে আমার বাঙালিদের
জন্য এক প্রাণঢালা শুভেচ্ছাতে।
নুতন বছরে মনকে প্রস্তুত করেছি আমি,
নুতন সমস্যা মোকাবেলাতে।
মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে,
এখনও মাঝে মাঝে জেগে উঠি
আমি এক কঠিন শপথে।
এখনও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠি আমি
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দীপ্ত প্রতিবাদে।
এখনও স্থির থাকি আমি
জীবনের কঠিন সমস্যাতে।
ইনশা আল্লাহ এখনও পারি আমি
জীবনের কঠিন সময়কে বদলে দিতে।
-গেইন্সভিল, ফ্লোরিডা
স্রোতস্বিনী
গোলাম রহমান
উত্তাল স্রোতস্বিনী হারিয়েছে খরধারা
প্রেমের অমরাবতীর বুকে স্তুপ স্তুপ বালি জমে
স্বব্ধ করেছে বিসর্পিল গতি
এখানে জাগে না আজ
তরঙ্গের কুলু কুলু ধ্বনি
রূপালী ইলিশেরা গুটিয়েছে পাততাড়ি
শ্রাবণের ধারাসনে শতদল মেলে না আঁখি
ঝিকিমিকি বাঁকাজলে জ্যোৎস্নারা করেনা খেলা
পালতোলা সাম্পান নিয়েছে বিদায়
দাঁড়িদের সারিগান হয়েছে উধাও
দাঁড়টানার ছলাৎ ছলাৎ ঐক্যসুরের ঘটা
অতীতের ঘটনা।
সন্ধ্যা পাটে নামতেই
নদীর বাঁকে বাঁকে
মাঝিদের বিশ্রামের আয়োজন
পাটাতনে গোল হয়ে বসা
তারপর
বেহুলা চাঁদসওদাগরের কিচ্ছাকাহিনী
অথবা সপ্ত সুরে পুঁথিপাট
নিছক কল্পনা আজ।
সুদৃঢ় সঙ্কল্প এবং নিঃস্বার্থ আকাঙ্খা থাকলেই
এসব মজা নদীর বুকের আবর্জনা সরিয়ে
নাব্য করা যায়।
উদ্দাম চেতনার স্পর্শ
স্্রোতহীন নদীর বুকে
আবার জীবনের স্পন্দন জাগাতে পারে।
পারে প্রাণের সঞ্জীবনী বইয়ে দিতে।
আটলান্টা।
কোটা আন্দোলন
দেওয়ান নাসের রাজা
মীর কাদেরের সম্পদ শুধু বাড়ে
যুবক খোঁজে চাকরি দ্বারে দ্বারে।
চাকরি যেন চন্দন গাছের পাতা
ক্বাবার শপথ সত্যি যে এ কথা।
চাকরি যদি সোনার হরিণ পাওয়া
দারিদ্রের কি শোভা পায় এ চাওয়া?
লক্ষ টাকায় অফিস করেন যারা
মনকাড়া বিদেশী বন্ধুরা।
স্বর্বহারা আন্দোলনে গেলে
অবশেষে কি বলতো পেলে?
যাবেন যদি আন্দোলনে স্যার
মধ্যরাতে হবেন বহিষ্কার।
প্রধানমন্ত্রী বললেন কোটা বাদ
কৃষি মন্ত্রীর বিকট আর্তনাদ।
ভিসি স্যারের বাসা আক্রমণ
পুলিশ করে নেতার নাম গোপন।
কোটা সংস্কার সবাই কেন চায়?
গরিব কবে কোটার সুফল পায়?
নিউইয়র্ক।
তুষার
শিল্পী এমিলিয়া রায়
তোমার প্রতীক্ষায় হে মোর মনমিতা তুষার
তুমি আসবে বলে
দেখো কেমন সাঁজে সেজেছি।
নগ্ন দেহে, কোনো বস্ত্র নেই
সম্পূর্ণ উলঙ্গ আমি।
যে বস্ত্রে ছিলেম আকাশ ছোঁয়া
নয়ন ভোলা ছবি আঁকা,
দেখো সে বস্ত্র খুলে ফেলেছি আজ।
তোমার আদরে তোমাকে জড়িয়ে ধরে,
বিবসা হব বলে।
এই আমি, এক জনমে নয়, শত জনমেও তোমার।
আমি আছি তোমার সান্নিধ্যের প্রত্যাশায়-
আমার মনের আকশে তুমি স্থায়ী মেঘ।
আসি আসি বলে হে বন্ধু এসেই গেলে!
আজ তুষার ঝরা হাঁড়কাঁপানো শীত এ দেহে
এসো বন্ধু তোমাকে জড়িয়ে ধরে তীব্রশীতে উষ্ণ হই।
আমার দেহপত্র দেখ ওই ধুলায় কেঁদে গড়াগড়ি খায়,
যে পত্র আমাকে ভালোবেসে জড়িয়ে রাখত সারাক্ষণ
দেখো তারা ধুলায় কাঁদে।
তাদের কাঁদিয়ে ছিলেম তোমার সান্নিধ্যের প্রত্যাশায়।
আমারই মত কত নগ্ন তরুশাখা সারিবেঁধে
তোমার আগমনের প্রতীক্ষায় ছিল।
দাও তুলা ছড়ায়ে দাও, সবার বক্ষে ভর করে দাঁড়াও
কি মনোহরা রূপ সারাবিশ্ব যেন সাজিলো।
এত মহানন্দের মাঝে কারা যে কাঁদে, ওরা সে মানব জাতি
তুমি এসেছ বলে তুষার ঢালা রাজপথে চালাচ্ছে মহাযুদ্ধ
শুধু বেঁচে থাকার জন্য।
-নিউইয়র্ক।
ভালোবাসা
সুরাইয়া হক
ভালোবাসা এখন বিশ্বব্যাপী
একটি খেলার নাম
আসল ভালোবাসার এখন
নেইকো কোন দাম।
ভালোবাসার আরেক নাম
শুধুই প্রতারণা,
আসল ভালোবাসা দেখেনা মুখ
করেও নানা আরাধনা।
এানুষই জানে ভালোবাসা নিয়ে
কেন এমন খেল
মিথ্যে ভালোবাসার দায়ে আবার
কতজন যায় জেল।
তবু মানুষ হয়না বিরত
এসব প্রতারণা থেকে
বহু মানুষ করে শুধু ভান
যেন দেখেও না দেখে
মিথ্যে ভালোবাসার জালে
কেন জড়ায় গা
কেন মিথ্যে ভালোবাসার শেওলায়
পিছলে পড়ে পা।
মিথ্যের এই ছিনিমিনি খেলায়
আর কতকাল কাটবে দিন
ভেবেও দেখেনা আসল ভালোবাসার
বাড়ছে যে শুধু ঋণ।
আসল ভালোবাসা অল্প হলেও
এ যেন স্বর্গ সমান
তাই মিথ্যেকে দূরে ঠেলে
গাই এখন ভালোবাসার গান।
নিউইয়র্ক।
পালা বদলের বৈশাখ
আরিফ চৌধুরী
বিষাদ শেষে সীমাহীন রৌদ্র ছায়ার মাতন, দিন-রাতের ভেতর
বিদীর্ণ দর্পণে পুরনো বছর কাটে অনুশোচনা আবর্তে,
নতুন উপলব্ধির কাছাকাছি নতুন উৎসবে ফুটেছে আজ
এ কোন ঊষার আলো ,আরণ্যক জোছনা রঙে সাজে
প্রকৃতির ছায়া পাতা ঝরার প্রান্ত ছুঁয়ে, শুদ্ধতম রঙ
ছড়ানো ভোর আসে মেঘের আড়ালে চাঁদ রাত হলে উঁকি দেয়
ছড়ায় আলো অন্ধকারে,
দিনের রৌদছায়া লেখে পুরনো হিসেবের কাসুন্দি,
বাদল ঝরা ভোরে আমের শাখে মুকুলের দোলা।
আশার পূর্ণতায় মনন ও আত্মিক ঐশ্বর্যে
নিরন্তর চেতনার অগ্নিতে জেগে থাকা।
তবুও বৈশাখের প্রথম প্রহরে বাতাসে দোল খায় কুষ্ণচূড়া
গাছে পাখিরা, প্রকৃতির রূপকথা লিখে চলে মানুষ,
পালা বদলের স্বপ্নে রাঙানো সত্য ও বিশ্বাসে
পথের সন্ধ্যানে তবু প্রাণান্তকর ছুটে চলা মানুষের থামবে না।
সমুদ্রঘর
আতিক আজিজ
সারা দুপুর চোখ থেকে রঙের খোসা ওড়ে আমার চারপাশে
নিরন্তর ঘুম থেকে আর জেগে উঠবো না জেনে
ইংরেজি পত্রিকায় দারুণ সমুদ্র দেখি
দেখি, সমুদ্র জুড়ে শুয়ে বসে আছে এক স্বপ্নের ঘর।
সেখানে পুরোনো মেহগনি কাঠের বুদ্ধের মুখ,
ওইখানে যুবতীরা জামরুল হয়ে ওঠে-অতিথিদের ডেকে নিয়ে যায়।
জানালার কাঁচে সমুদ্রের বালুকণা জেগে থাকে
জেগে থাকে অপার্থিব অমলিন সমুদ্র-ঝোপ।
ওই স্বপ্নের ঘরে কোন একদিন তারে নিবো ডেকে।
ওইখানে হলুদ বালিয়াড়ি ভেঙে ভেসে যায় স্প্যানিশ যুবতী
অনাবৃত উরু থেকে চুইয়ে নামে বে-আব্রু খেয়াল।
ফাইবার নৌকায় মেতে ওঠে চমৎকার সব রঙিন হাওয়ার পাল
পৃথিবীর ধনী যুবকেরা নেচে নিংড়ে নিয়ে যায় সময়ের ডুমুরের ফুল
তাদের সময়ের কাছে আম-কাঁঠালের গন্ধ নাই
তাদের উজ্জ্বল চোখের কাছে ভাতের শব্দ নাই।
সবুজ ডোরাকাটা মাছেরা সমুদ্রের জলে
এই গহীন স্বপ্ন- ঘরের কাছাকাছি থাকে
দ্বীপের নারকেল গাছের নিচে হেসে ওঠে স্বপ্নিল
সবুজ-বোতলে ভরা-দুরন্ত আমোদ।
-নিউইয়র্ক।
বৈশাখী বধূ
মোহাম্মদ ফজলুল হক
মাঝ রাতে উঠে এল দুর্বার দুরন্ত ঝড়
কেঁপে কেঁপে উঠে বধূর চারচালা ঘর।
পুষ্ট সবুজ আম আর পাতায় ভরা গাছ
টিনে চালে বাজে তার ঝরার আওয়াজ।
চঞ্চলতা আনে তায় নতুন বধূর মনে প্রাণে
নিচু স্বরে সে কথা বলে সে খসমের কানে।
দুয়ার খুলে খসম তারে নিয়ে সাথে সাথে
ছুটে যায় গাছ তলে ঝরা আম কুড়াতে।
কোমর পেঁচিয়ে বেঁধে নেয় হলুদ শাড়ি
আম কুড়াতে শুরু করে বৌ তাড়াতাড়ি।
উন্মত্ত নাচে গাছ বৃষ্টি আর ঝড়ে
ভেজা বধূ আম কুড়াতে নুয়ে যে পড়ে।
কুড়াতে কুড়াতে আম চারপাশ ঘোরে
ওঠে বসে বার বার পা সঞ্চালন করে।
নাচ দেখে লজ্জায় মুখ রাখে ঢেকে
বিজলী হাসে মাঝে মাঝে আম কুড়ানো দেখে।
ম্যাসাচুসেটস।
বসন্ত ইল্যুশন
রওশন জাহান
ডানায় প্রদীপ জ্বেলে ঠায় বসে আছে পাখি সব
দক্ষিণের প্রজাতি, ভরসায় দিয়েছে উড়াল এপারে
সাঙ্গ বুঝি হলো শীত আমার, কম্পিত গ্রন্থন
আকাশ জুড়ে জানান দিলো ঝোঁক, বসন্ত ইল্যুশন।
অচিন হাওয়া জাপটে ধরে মেঘ বরাবর চোখ
গাছের গ্রীবা আঁধার হলো সূর্য আড়াল খেলায়
অঙ্গে অঙ্গে সঙ্গ খোঁজা সেতার মন্দ্র মন
দেয়াল কোটর জুড়ে বুনো ফুলেদের মৌন মিথুন
দিলাম তোমায় এ প্রহরের সবটুকু রঙ, রেখা
থামবো বলে যেই হেঁটেছি অন্যপথে
বললে তুমি ‘না’
ক্লান্ত পায়ে কেমনতর বলো, অমোঘ বিড়ম্বনা?
বৈশাখী ভোরে আনন্দধ্বনি
দীপ্তি ভূষণ বড়ুয়া
গীতবিতানে প্রজ্ঞা বিলিয়ে, পুরবী তানে কন্ঠ মিলিয়ে
ইমনে মধুর মন্ত্র বাজিয়ে মানসী হৃদয়ে অর্ঘ সাজিয়ে
সহসা জীর্ণ প্রাণে সঞ্চারি রোমাঞ্চ রিনিরিনি
তমসাকীর্ণ জীবন জাগালে ধ্বনি আনন্দধ্বনি।
বৈশাখী ভোরের সুবর্ণ আলো
বাংলার আকাশ স্বপ্নে রাঙালো
পুরানো পৃথিবীর নিদ্রা ভাঙালো মন্দ্রিল রিনিঝিনি
নতুন সূর্য প্রকৃতি কাঁপালো ধ্বনি আনন্দধ্বনি।
নিউইয়র্ক।
কাছের মানুষ দূরের মানুষ
দেবাশীষ দাশ
মানুষ আছে অনেক মানুষ
বন্ধু আছে আরও ।
সাপোর্টের বেলায় নেই কেউ
আত্মীয়-স্বজন সেও।
মানুষ আছে অনেক মানুষ
কাজের বেলায় নাই
যখন তোমার দরকার হবে
কাউকে খুঁজে না পাই।
মানুষ আছে অনেক মানুষ
সুসময়ে ভাই,
দুঃসময়ে সবাই দূরে
সতর্ক থেকো তাই।
মানুষ আছে অনেক মানুষ
কাছের ও দূরের
আসল মানুষ সদাই সাথে
থাকবে তোমার পাশে।
মিশিগান।
হৃদয়ের ব্যাকরণ
জেবুন্নেছা জ্যোৎস্না
অস্থির মন, বড় উচাটন;
আশা- নিরাশার ইকুইলিব্রিয়ামে
ভাসে সারাক্ষণ।
কি জানি কখন-
হয়েছে কথন;
ডিজিটাল প্রেম
নাই তাই ব্যাকরণ।
তপ্ত শ্বাস, খোঁজে উপনিবাস;
আড়ালেই সুখ
গোগ্রাসে নেয়া যায় যতটুক।
নিশাচর ডাহুক
চুরি করে ঘুম,
কেটে যায় রাত
মন যে ভাবুক।
দৃশ্যত হয় অদৃশ্য যতো
দিয়ে হাতছানি;
বৃথা রথে ছুটি পিছে
যদিও সে মায়াবিনী।
ভেবে ভেবে ঘোর
হয়ে যায় ভোর
আবেগের চিতায় দেই ঢেলে জল;
কি হবে ভেবে আর
স্বপ্নের মিছে শতদল।
-নিউইয়র্ক।