পেনসিলভেনিয়া প্রতিনিধি : গত ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো মন্টগুমারী কাউন্টি বাংলাদেশি আমেরিকান কম্যুনিটির আয়োজনে ল্যান্সডেল মেননিয়েট চার্চে পেনসিলভেনিয়ার লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী ডঃ নীনা আহমেদের জন্য তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন কম্যুনিটি ব্যাক্তিত্ব মোহাম্মদ রাজ্জাক এবং অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা. জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ, ডা. ফাতেমা আহম্মেদ, ড. নীনার নির্বাচনী সমন্বয়কারী ডা. ইবরুল চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্ত্যব রাখেন সাংবাদিক মফিজুল ইসলাম।
ডা. ইবরুল চৌধুরী তার বক্তব্য বলেন, নীনা একজন বাংলাদেশী তাকে আপনাদের মাঝে বিশেষ করে এই অঞ্চলে নতুন করে পরিচয় করার কিছুই নেই, সে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছে অতি আপনজন। তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনে ড. নীনাকে আমরা জয়যুক্ত করাতে চাই। যে কারণে আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।
ডা. জিয়াউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, আজ যেভাবে বাংলাদেশি কম্যুনিটি বিশিষ্টজনরা দল মতের উর্ধে উঠে নীনার জন্য এগিয়ে এসেছে তাতে আমি আশাবাদী যে নীনা আগামি মে মাসের প্রাইমারিতে জয়যুক্ত হবে ইনশাল্লাহ ।
ড. নীনা তার জন্য ফান্ড রেইজ ডিনার আয়জন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমি সব সময়ে আপনাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকবো । আমি পেনসিলনিয়ার লেফটেন্যান্ট গর্ভনর পদে লড়ছি সেটা শুধু আমার নিজের জন্য নয়, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য, আমাদের সবার সঠিক অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি বলেন, আমি একজন বাংলাদেশী, আপনাদেরই সন্তান। আপনারাই আমার সাহস। এই পদে থেকেই আমি কম্যুনিটির জন্য লড়তে চাই। আমাকে দেখেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শিখবে এই দেশের মূলধারার রাজনীতির সাথে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে। তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে আমি সরকারের নানা পদে ছিলাম, ২৫ বছর ধরেই আমি অধিকার আদায়ের জন্য লড়ছি। বিশেষ করে অসহায় নারীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য সেবা, উচ্চ শিক্ষার ব্যয় সংকোচন, স্কুলে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ অবস্থানের জন্য। তাই আপনাদের কাছে আমি আসন্ন প্রাইমারি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসাবে ভোট কামনা করছি । আপনারা যদি ঠিক এই ভাবেই আমাকে সাহস দেন এবং পাশে থাকেন তাহলে এই জয় আমাদেরই হবে ইনশাল্লাহ। বক্তব্য শেষে নীনা আহমেদ বিভিন্ন জনের প্রশ্নের উত্তর দেন। অনুষ্ঠানে ল্যান্সডেল, হ্যাটফিল্ড, নরেছটাউন, কুপারসবার্গ, টাওয়ামেন্সিনের প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে অংশগ্রহণ করেন ।