ঠিকানা রিপোর্ট : ২৩ জানুয়ারি সোমবার থেকে ট্যাক্স রিটার্ন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে, চলবে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, ট্যাক্স ফাইল যারা করতে চাইছেন, তাদের উচিত সিপিএ অথবা এনরোল এজেন্ট বা সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিয়ে ফাইল জমা করা, যাতে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। তাদের মতে, ইনকামের ডব্লিউ-২ অথবা ১০৯৯ বা আয়ের অন্য কোনো রেকর্ড, যেটি আইআরএসের কাছে আগেই জমা হয়েছে কিন্তু রিটার্ন দাখিল করার সময় কেউ তা উল্লেখ না করলে পরবর্তী সময়ে জটিলতা তৈরি হতে পারে। ফাইল অডিটেও পড়তে পারে। তাই সতর্কতার সঙ্গে ফাইল জমা দিতে হবে।
সূত্র জানায়, এবার ট্যাক্স ফাইল অনেকটাই আগের মতো অর্থাৎ ২০১৯ সালের ফাইলের মতোই হবে। কারণ করোনাকালীন ২০২০ ও ২০২১ সালে ট্যাক্স ফাইল কিছুটা ভিন্ন হয়েছিল। সরকার বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিল, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের গ্র্যান্ট ও লোনও ছিল। এ ছাড়া চাইল্ড ট্যাক্স ক্রেডিটসহ বিভিন্ন খাতে অর্থ বেশি ছিল। এখন অনেক কিছু কমছে আবার কিছু কিছু বাড়ছে। ফলে যারা ফাইল করবেন, তাদেরকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করার পরই ফাইল করতে হবে। যাদেরকে ট্যাক্স দিতে হবে, তারা ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ফেডারেল, স্টেট ও সিটির সব কর পরিশোধ করবেন। তবে যারা রিফান্ড পাবেন, তারা দুই রকমভাবে রিফান্ড নিতে পারে। মেইলের মাধ্যমে অথবা ডাইরেক্ট ডিপোজিটের মাধ্যমে। ডাইরেক্ট ডিপোজিটে সুবিধা বেশি।
এ ব্যাপারে একজন সিপিএ বলেন, আমরা সব সময় ডাইরেক্ট ডিপোজিট রিফান্ড পাওয়ার ক্ষেত্রে সাপোর্ট করি। কারণ ডাইরেক্ট ডিপোজিট হলে সুবিধা বেশি। যখনই আইআরএস রিফান্ড দেওয়া শুরু করবে, তখনই পেয়ে যাবে। এতে ঝামেলাও কম। মেইলে চেক পাওয়ার বিষয়টি নির্বাচন করা হলে পরে রিফান্ড পেতে সময় বেশি লাগতে পারে। মেইল মিস হলে সমস্যা হতে পারে। কারণ অনেকেই ঠিকানা পরিবর্তন করলে তা আপডেট না করলে বা নিয়মিত চিঠি চেক না করলে সময়মতো চিঠি পান না। ইদানীং মেইল মিস হওয়ারও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মেইল মিস হলে সময়মতো চেক হাতে না-ও পৌঁছাতে পারে। তাই মেইল মিস হওয়ার ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে ব্যাংক হিসাবে ডাইরেক্ট ডিপোজিট করাই ভালো। পাশাপাশি ডাইরেক্ট ডিপোজিটের জন্য যে ব্যাংক হিসাব ও রাউটিং নম্বর দেওয়া আছে, রিটার্ন দাখিল করার আগে তা চেক করে নেওয়া উচিত।