ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ তথা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উদ্যোক্তা ও প্রবক্তা হিসেবে সুপরিচিত বাংলাদেশি আমেরিকান আজিজ আহমদ বলেছেন, আইসিটিভিত্তিক টেকসই ভবিষ্যতের কথাটাই আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এসডিজি ল্যাব ডায়ালগ ২০২৩ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের একটি কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের উপদেষ্টা ও ইউএনএসজিআইআই-এর প্রতিষ্ঠাতা রোনাল্ড সাটজ-এর আমন্ত্রণে বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের আইসিটি উদ্যোক্তাদের অংশগ্রহণে গত ১৫ থেকে ১৮ জানুয়ারি এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে জেনেভায় জাতিসংঘের বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে বহু-অংশীজনের একটি অ্যালায়েন্স এই এসডিজি ল্যাব।
২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে বিশ্বের ১৯৩টি দেশ যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় স্বাক্ষর করে, তারই বাস্তবায়নের নানাদিক নিয়ে আলোচনা হয় এই কর্মসূচিতে।
এখানে আজিজ আহমদ তার প্রতিষ্ঠিত আইসিটি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান কোডার্স ট্রাস্টের কাজ ও সাফল্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। উচ্চ সম্ভাবনাময় যুবশ্রেণিকে কিভাবে দক্ষতাভিত্তিক কর্মশক্তিতে রূপান্তর করতে কোডার্স ট্রাস্টের নেয়া উদ্যোগগুলো এতে উপস্থাপন করেন তিনি।

তিনি বলেন, আইসিটিতে দক্ষতার উন্নয়ন এবং উন্নততর দক্ষতা অর্জনই জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মৌলিক ভূমিকা রাখতে পারবে।
সুবিধাবঞ্চিত, অবহেলিত ও প্রান্তিক পর্যায়ের এ পর্যন্ত ৬০ হাজার যুব নারী-পুরুষকে আইটি দক্ষতায় প্রশিক্ষিত করে বৈশ্বিক কর্মবাজারের উপযোগী করে তুলেছে কোডার্স ট্রাস্ট। ডাভোসের এই আন্তর্জাতিক ফোরামে বিষয়টি ব্যাপক প্রশংসিত হয়, জানান আজিজ আহমদ।
কোডার্স ট্রাস্টের সঙ্গে এসডিজি ল্যাব আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে দক্ষতা উন্নয়নের এই অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আজিজ আহমদ বলেন, এসডিজি ল্যাব ২০২৩-এ অংশগ্রহণকারীরা আগ্রহের সাথে কোডার্স ট্রাস্টের কাজগুলোর কথা শুনেছেন। দারিদ্র বিমোচনে বিশ্ব পর্যায়ে ডিজিটালে দক্ষ কর্মশক্তি বাড়ানোই সবচেয়ে উপযোগী পদ্ধতি। সেকাজটিই করে যাচ্ছে কোডার্স ট্রাস্ট। যে যাত্রাপথ অতিদ্রুত শেষ হবার নয়, বলেন তিনি।