ঠিকানা রিপোর্ট : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পাওয়া এবং চতুর্থ মেয়াদে শেখ হাসিনা সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বিশ্বজুড়ে থাকা বাংলাদেশের ৭৭টি মিশনে জরুরি চিঠি পাঠিয়েছেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। ড. এ কে মোমেনের চিঠি পেয়েছেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটও। নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়েজুননেসা ঠিকানাকে জানান আমরা চিঠি পেয়েছি এবং সেই অনুযায়ী ঢাকার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, মূলত: আমরা এখনো ২৪ ঘন্টার সার্ভিস দিয়ে থাকি।
তিনি বলেন, কোন প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেলে যত রাতই হোকনা কেন তার কোন ট্রার্ভেল ডকুমেন্ট দরকার হলে আমরা তা দিয়ে থাকি। সেই অনুযায়ী কন্স্যুলেটে ২৪ ঘন্টার সার্ভিস রয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রী মহোদয় যেহেতু নির্দেশ দিয়েছেন সেহেতু ২৪ ঘন্টার কন্স্যুলেট সার্ভিস আমাদের চালু করতে হবে। ২৪ ঘন্টার রেগুলার কন্স্যুলেটে চালু করতে হলে আমাদের লোকবল প্রয়োজন। সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা ঢাকার সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি। কাজগুলো শেষ হলেই ২৪ ঘন্টার সার্ভিস চালু হবে।
প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রাক্তন স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন বাংলায় লেখা দুই পৃষ্ঠার চিঠিতে কূটনৈতিক মিশনের প্রধানদের আগামীর চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রস্তুতির নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে তিনি চিঠি পাওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে স্ব স্ব মিশনের কর্মপরিকল্পনা পাঠানোর তাগিদ দেন। চিঠিতে বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জকেই ফোকাস করা হয়।
সার্বক্ষণিক কন্স্যুলার সেবা নিশ্চিতের নির্দেশ: চিঠিতে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রাধান্য দিয়ে স্বাগতিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের পাশাপাশি অভিবাসী বাংলাদেশিদেরকে স্বদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। স্বাগতিক দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর যোগাযোগ কার্যকর সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করতে হবে। বিদেশে অবস্থানরত বিভিন্ন প্রজন্মের বাংলাদেশি অভিবাসীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ উপযোগটুকু আদায়ে কৌশলি হওয়া দরকার।
মন্ত্রী নির্দেশে উল্লেখ করেন, শুধু বাংলা বা ইংরেজি ভাষায় সীমাবদ্ধ না থেকে বিভিন্ন ভাষায় বাংলাদেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাফল্যকে উপস্থাপন করা সম্ভব বলে আমি মনে করি। আগামী বছরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হবে এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হবে। এগুলো বিবেচনায় রেখে রাষ্ট্রীয় দিবসসমূহ প্রথাগতভাবে পালনের পাশাপাশি উদ্ভাবনীমূলক এবং আরো বেশি অংশগ্রহণমূলক করে তোলার পরিকল্পনা করতে হবে।