ঠিকানা অনলাইন : রাজধানী ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডের সায়েন্সল্যাবে একটি তিনতলা ভবন আংশিক ধসে পড়েছে। এর আগে ভবনটিতে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের শব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ধানমন্ডি পপুলারের চিকিৎসক মুরসালিন জানান, মৃত অবস্থায় তিনজনকে হাসপাতালে আনা হয়। বিস্ফোরণের সময়ই তারা মারা যান। তাদের মরদেহ মর্গে রাখা আছে। এছাড়া ৩০ থেকে ৪০ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে দুর্ঘটনায় পাঁচজন দগ্ধসহ আহত বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভবনটির নিচতলায় হোটেল, দোতলায় সেলুন ও প্যান্টের দোকান রয়েছে। তৃতীয় তলায় ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থাকতে পারে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেনি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এসি অথবা সিলিন্ডার থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস সদর দফতরের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় সময় সকাল ১০টা ৫২ মিনিটে প্রিয়াঙ্গন শপিং সেন্টারের পাশে বিস্ফোরণে ৩ তলা একটি ভবনের একাংশ ধসে পড়ে এবং তাতে আগুন ধরে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট কাজ করে আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে বিস্ফোরণের কারণ জানাতে পারেননি তিনিও।
এরই মধ্যে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও নিউমার্কেট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
ঘটনার পরপরই আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় কাজ শুরু করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবনটিতে ১০টা ৫২ মিনিটে দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে কয়েক মিনিটের মাথায় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে পলাশী, ধানমন্ডি টহল এবং সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনসহ মোট চারটি ইউনিট কাজ করে। কিছুক্ষণের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটি-কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ জানান, শিরিন ম্যানশন নামে এই ভবনটির তিন তলায় ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অফিস রয়েছে। তবে কী কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে তা এখনও জানা যায়নি। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা আসছেন, তারা আসলে তদন্তের পর জানা যাবে কী কারণে এই বিস্ফোরণটি ঘটেছে।
ঠিকানা/এসআর