ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে টোল দিতে হবে

গ্রামবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-মাওয়া চার লেন মহাসড়কে টোল আরোপ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুর মতো এ মহাসড়ক ব্যবহার করলে টোল দিতে হবে। সম্প্রতি ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা চার লেন প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বিষয়টি উঠে আসে। এতে করে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক হবে দেশের প্রথম টোলযুক্ত সড়ক বা মহাসড়ক। এ দিকে, চার লেনের এই মহাসড়ক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক। ২০১৬ সালে সংসদীয় কমিটিতে জমা দেওয়া সওজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন প্রকল্পে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। ২০১৫ সালে শুরু হওয়া জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে এলেঙ্গা চার লেনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেনে কিলোমিটারপ্রতি গড় ব্যয় ১৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ চার লেন প্রকল্পে এই ব্যয় ২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এতে আরও বলা হয়, ইউরোপে চার লেনের নতুন মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়ছে ২৮ কোটি টাকা। পাশের দেশ ভারতে এ ব্যয় ১০ কোটি টাকা। আর চীনে তা গড়ে ১৩ কোটি টাকা। অথচ ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হবে ১৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এ কারণে বলা যায়, ঢাকা-মাওয়া চার লেন মহাসড়কটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মহাসড়ক। ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয় ২০১৬ সালের মে মাসে। সে সময় এর ব্যয় ছিল ৬ হাজার ২৫২ কোটি ২৮ লাখ টাকা। যদিও অনুমোদনের ৬ মাসের মধ্যেই তা আরও ৬০০ কোটি টাকা বাড়ানো হয়। সর্বশেষ এ ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার ৮৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় বেড়ে দাঁড়াবে ১৮৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, আগে যা ছিল ১২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ মার্চ প্রকল্পটির স্টিয়ারিং কমিটির সভা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) অনুষ্ঠিত হয়। এতে বলা হয়, প্রস্তাবিত মহাসড়কটিতে দুটি টোল প্লাজার সংস্থান রাখা হয়েছে। অন্য দিকে নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর টোল প্লাজা রয়েছে। সময় সাশ্রয়ের নিমিত্তে একটি সমন্বিত টোল প্লাজা করা যায় কি না, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মতামত নিবিড় পরিবীক্ষণ প্রতিবেদনে থাকা প্রয়োজন। এ ছাড়া কার্ড পাঞ্চ বা ইলেকট্রনিক টোল কালেকশন সুবিধার মাধ্যমে টোল আদায়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না, সে বিষয়ে মতামত প্রদান করতে হবে। টোল সড়ক হওয়ায় এটির দুই পাশ উন্মুক্ত থাকবে না। তাই বৈঠকে বলা হয়, মহাসড়কটির দুই পাশের জনগণকে একপাশ থেকে অন্য পাশে যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ রাখা দরকার।