প্রণবকান্তি দেব : সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততোই বিস্তৃত হচ্ছে নানামুখী সমীকরণ। বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও এখনো আলোচনায় তিনি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা ছুটছেন তার কাছেই। অনেকেই বলছেন, কী যাদু আরিফে! গত ২৮
মে রোববার সকালে হঠাৎ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর বাসায় যান আওয়ামী লীগপ্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সমর্থকরা এ সাক্ষাৎকে ‘সৌজন্য’ বললেও সচেতনমহল বিষয়টিকে অন্যভাবে দেখছেন। অনেকেই এ ঘটনাকে ‘আরিফের পক্ষের ভোট’ নিজের পক্ষে নেয়ার কৌশল হিসেবে দেখছেন। এছাড়া একইদিনে আরিফের বাসায় যান জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল। ফলে আলোচনা আরও জমে ওঠে। অনেকেই আরিফ বলয়ের ভোটকে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসেবে বিবেচনা করছেন। এর ফলে ঘুরেফিরে ‘আরিফ’ই আছেন সিসিক নির্বাচনের আলোচনায়। তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও তাঁর কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের ভোট কোথায় যাবে- সেটিই এখন আলোচনার বিষয়। মেয়র পদে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাইছেন ‘আরিফের ভোট’-কে নিজেদের বাক্সে নিতে। সে লক্ষ্যেই তাদের ছুটে যাওয়া বলে ধারণা করছেন অনেকেই।
এদিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয়ের পর সিলেটে চলছে নানামুখী হিসাব-নিকাশ। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করা নিয়ে নেতা-কর্মীদের কথায়ও মিলছে শঙ্কার সুর। অনেকেই বলছেন, সাবধান ও সতর্ক না হলে গাজীপুর ফলাফলের প্রতিফলন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে সিলেটেও। ৩৩ বছর আগে সিলেট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়ফুর রহমান ওরফে ছক্কা ছয়ফুর কীভাবে আওয়ামী লীগ নেতা ইফতেখার হোসেন শামীমকে পরাজিত করেছিলেন সে ঘটনা নিয়েও আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে, গাজীপুরের ফলাফল দেখে সিলেটে উৎফুল্ল জাতীয় পার্টি। দলের প্রার্থী শিল্পপতি নজরুল ইসলাম বাবুলকে নিয়ে ক্যারিশমা দেখানোর চেষ্টা করছে দলটি। কেউ কেউ তাঁর ছক্কা ছয়ফুরের মতো সমর্থন পাওয়ারও প্রত্যাশা করছেন। নির্বাচনে জাপার বাবুলকে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবেও মনে করা হচ্ছে।
আগামী ২১ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ধীরে ধীরে জমে ওঠছে উৎসব। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা শুরু করেছেন প্রচারণা। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ঘরে বসে নেই। সভা-সমাবেশ, গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।