জামাল আস-সাবেত :
ক্রমাগত যান্ত্রিক যন্ত্রণায় মস্তিষ্ক ব্যবচ্ছেদ হয়
হর্ন বাজানো হোন্ডা কিংবা যানজটের কবলে পড়ে রোগীর মৃত্যু ঘটে;
ওদিকে অসভ্য সমাজ গলা ফাটিয়ে বক্তৃতা দ্যায়।
ধুলোবালির শহর ছেড়ে গাঁয়ের ঘরে ঢুকি
তবু অসভ্যরা পিছু ছাড়ে না।
কী ধ্বংসাত্মক শক্তির কবলে মানবজীবন-
আশাহত জীবন।
গবেষণা মুখ থুবড়ে পড়ে ডাস্টবিনে। শহুরের ময়লার স্তূপে ভোঁ ভোঁ করে মাছি
নষ্টরা নষ্টামি করে চোখের সামনে। পার্কের অলিগলিতে চাদর বিছিয়ে কনডমের ভিতর শুয়ে থাকে। নষ্টরা এভাবেই নষ্ট করে নতুন জীবন।
সমাজপতিরা গর্ত বানায় নারীর উর্বরতা বাড়াতে-বস্তুবাদী সংস্কারে।
বিবেকের ভিতর মদের বুদ্বুদ শব্দ। -এ সমাজ কেবলই নষ্টদের। সিন্ডিকেট সদস্য আর দুর্নীতিবাজ পুলিশের ভিতর দিয়ে বেগমপাড়ায় হানিমুন করে।
কুকুরছানারা শুয়ে আছে ফোমের ওমে। ওদিকে আশরাফুল মাখলুকাত পড়ে থাকে ময়লার ঘর আর রাস্তার মোড়ে। সমাজতন্ত্রের কী অপরূপ দৃষ্টান্ত!
চোখ মেলে জীবনানন্দের দ্যাশ দেখি। বনলতা দেখি আর পদ্মার পিলার দ্যাখে পেটের ক্ষুধা মিটাই।
ক্যাসেটের ফিতার ভিতর রেকর্ড গড়া ভাষণ শুনি।
এ দ্যাশ গলাবাজদের!