এন এস এম মঈনুল হাসান সজল :
আজ গ্রীষ্মে দু’চোখে কুয়াশার ভোর।
ঘন মেঘ জমে কণ্ঠনালি ক্রমশ নিষ্ক্রিয়।
কোনো শীতলতায় অঝোরে ঘেমে চলি স্তব্ধতায়।
বৃষ্টিজলের বিষক্রিয়ায় কুঁকড়ে সর্বাঙ্গ।
নিজের বিরুদ্ধে সংগ্রাম,
নিজের বিরুদ্ধে চাওয়া স্বাধীনতা,
মনের কোণে উঁকি মারে-
মৃত্যু এক টুকরো সুখ।
মৃত্যু এক টুকরো স্বাধীনতা।
অবাঞ্ছিত যুদ্ধ পরিত্রাণে সে এক বেঁচে যাওয়া।
চাওয়া আর পাওয়া।
তারচেয়ে আরও বেশি-আরও অনেক বেশি।
স্বার্থই পরমার্থ।
অতৃপ্ত আকাক্সক্ষার মায়া।
রাবনের ঘৃণায় যখন আপন ভূকম্পিত।
সামাজিক অনুধাবন-
রাম দেবের প্রাপ্তিতে জীবন সম্ভ্রান্ত।
নিঃসঙ্গ ঈশ্বরে সুখ অর্জনে আমাদের সংবর্ধনা।
শত যন্ত্রণা উগরে শীর্ষ অর্জন আরাধনা।
ধর্ম-কর্ম স্বর্গ জয়ের উপাদান, কখনো সামগ্রী।
ইহলোক হোক কিংবা পরলোক-
দেবতার চোখ অনুরূপ চায় সুখ-শান্তি।
একই গ্রহ একই অক্ষরেখা একই দ্রাঘিমা।
একই অভিকর্ষ একই মহাকর্ষ একই চন্দ্রিমা।
তবুও অদেখা অচেনা অবোঝা, যেন এক বিড়ম্বনা।
ভিন্ন ভিন্ন পাত্রে গচ্ছিত অভিন্ন অতৃপ্ত রসনা।
চাঁদের আলোয় খুঁজে বেড়ানো নীহারিকা।
অথির তিমিরের ঘন নীলিমায় আদি বাসনা।
মানস তুমি ভেবেছ কি-এ কোন তাড়না।