ঠিকানা অনলাইন : জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামান এই আদেশ দেন।
গত ১ নভেম্বর তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন একই আদালত। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এ পরোয়ানা জারি করা হয়। একই সঙ্গে ৫ জানুয়ারি গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত পরোয়ানা তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়।
সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে পুলিশ জানায়, নিজ নিজ ঠিকানায় আসামিদের পাওয়া যায়নি। এরপর আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দেন। আগামী ১৯ জানুয়ারির মধ্যে ক্রোক পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়।
এই তথ্য জানান আদালতে দুদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম।
চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
রিট খারিজ করে দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট একই সঙ্গে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রায় পাওয়ার ১০ দিনের মধ্যে মামলার রেকর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠাতে বলা হয়।
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর পরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
ঠিকানা/এনআই