তুমি বললে থেমে যায়

জেবুন্নেছা জোৎস্না :

তুমি বললে, কল দাও-আর অমনি থেমে যায়
সাবওয়ের প্ল্যাটফর্মে ভাইব্রোফোনের জ্যাজ সংগীত,
যাবতীয় ক্রিং-প্যাঁক জ্যাইলোফোন রিং টোন,
হিরো আলমের রবীন্দ্র, মাহফুজ সাহেবের সান্ধ্য সংগীত।
অনন্ত জলিল বুকপকেটে চেপে ধরেন হৃৎপিণ্ডের ধুকপুকানি,
থামে না শুধু তৈলাক্ত কবির অযথাই ঘর্মাক্ত বকবকানি!

তবে থমকে যায় দুটি পাতার একটি কুঁড়ির দেশে
লচমীর শীর্ণ হাতে তোলা যৎসামান্য লোকমাখানি!
থেমে যায় ঝিঁঝিদের একটানা চপল কোরাস,
বাতাসের তরঙ্গে ভাসে না হাসনাহেনার বাস,
আকাশের কার্নিশে টলমল মেঘেদের দুঃখ জমাট-
সংসদে হবে না আজ বেহুদা সংলাপ-সংগীত!

তোমার কল আসতে পারে তাই,
দোকানি আজ মেশাবে না খাদ্যে ভেজাল
শিক্ষক যাবে না বাড়তি আয়ে কোচিং সেন্টারে
ডাক্তার হবে না মোটেও কসাই; উত্তেজনার আগে
ধর্ষক ভেবে নেবে স্বঅঙ্গের নিরাপত্তা সজ্ঞানে!

তোমার কণ্ঠ গর্জন হয়ে বর্জন করুক দেশপ্রেমী ভক্ষককে
বৃষ্টি হয়ে ঝরুক অনাচারের প্রতিবাদে রক্তাক্ত রাজপথে।

একটি কলের অপেক্ষায় নির্জনতা নেমেছে পৃথিবীতে!
নিঃসঙ্গ নীরবতায়, আমি একটু ঘুমিয়ে নিই তাহলে?