তুরস্কের একটি আদালত ১০৪ সাবেক সেনা সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করেছে। তবে সাধারণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের চেয়ে তাদের সাজা আরও বেশি কঠিন হবে বলে জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অপরাধে ওই সেনা সদস্যদের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।
এর আগে এক ঘোষণায় তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেছিলেন, তিনি অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় জড়িতদের জন্য দেশে আবারও মুত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনবেন। দেশটিতে ২০০৪ সাল থেকে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ১৫ জুলাই প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে সামরিক অভ্যত্থানের চেষ্টা করা হয়। তবে সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপে তা ব্যর্থ হয়ে যায়। ওই ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে কমপক্ষে ২৬০ জন নিহত এবং আরো ২ হাজার ২শ মানুষ আহত হয়।
ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের পর অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে তুর্কি সরকার। অভ্যুত্থানের পরপরই দেড় লাখের বেশি সরকারি কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয় এবং আরো প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আটক করা হয়।
ব্যর্থ অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইজমিরের একটি আদালতে বিচারের মুখোমুখি হন ২৮০ সাবেক সেনা সদস্য। ১০৪ সাবেক সেনা সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আরও ৫২ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক খবরে বলা হয়েছে, ১০৪ সাবেক সেনা সদস্যের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্টকে হত্যা চেষ্টার ষড়যন্ত্রে সহায়তার অভিযোগে ২১ জনের ২০ বছরের এবং একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়ার কারণে ৩১ জনের সাত এবং ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।