ঠিকানা রিপোর্ট : যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমক্র্যাটদের বড় ধরনের জয়লাভের ক্ষেত্রে বাংলাদেশী-আমেরিকানসহ অভিবাসী সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। সে আলোকে এখন থেকেই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হবার উদাত্ত আহবান জানানো হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ানদের এক প্রীতি-সম্মেলনে। গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে বেলাজিনো পার্টি হলের এ সমাবেশে বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী-আমেরিকান জয় চৌধুরী। জয় চৌধুরী সমবেত সকলকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ৬ নভেম্বরের নির্বাচনেও যদি রিপাবলিকানরা কংগ্রেসের উভয় কক্ষের সংখ্যাগরিষ্ঠতা অটুট রাখতে সক্ষম হয়, তাহলে প্রেসিডেন্ট আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে। তখন ইমিগ্র্যান্ট এবং মুসলিম কম্যুনিটি আরো বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে পারে।
বাংলাদেশী-আমেরিকান ডেমক্র্যাট খোরশেদ খন্দকার বলেন, ভুলের পুনরাবৃত্তি করা চলবে না। রিপাবলিকানদের ধরাশায়ী করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলম্যান কস্টা কন্সট্যান্টটিনাইডস বলেন, আমেরিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য আজ হুমকির মুখে। ট্রাম্পের পাগলামির শিকার হচ্ছে সহজ-সরল মানুষেরা। গোটাবিশ্বে আমেরিকার নেতৃত্ব আজ প্রশ্নবিদ্ধ।
অঙ্গরাজ্যের এ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিন বলেন, ‘৬ নভেম্বরের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। মহাপরীক্ষা হবে এই নির্বাচনে। আমেরিকার নেতৃত্ব অক্ষুন্ন রাখার প্রশ্নেও এ নির্বাচনের ঐতিহাসিক ভিত্তি প্রবল। সহজ কথায়, রিপাবলিকানদের ধরাশায়ী করতে হবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে। অনৈক্যের সকল ধারা দূরে সরিয়ে রেখে কংগ্রেসে বিপুল বিজয় দিতে হবে।
অভিবাসী সমাজের মধ্যেকার সব ধরনের বিভক্তির অবসানের সংকল্পে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশী-আমেরিকান বিজনেস এসোসিয়েশনের কনভেনর আমজাদ হোসেন এবং মেম্বার সেক্রেটারি ফাহাদ সোলায়মান, কমিউনিটি লিডার মোর্শেদ আলম, তৈয়বুর রহমান হারুন, প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাদিক, সবিতা দাস, নেপালি কন্সাল জেনারেল নারায়ন মোনামি, ভারতীয় কন্সাল পিযুষ পাটেল, ফারুক হোসেন মজুমদার, আলমগীর খান আলম প্রমুখ।