দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি বাংলাদেশ ভারত দ্বারা চালিত হবে : কেলি কেইডারলিং

ওয়াশিংটন ডিসি : বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি, শিল্পী এবং কর্মকর্তাবৃন্দ।

ঠিকানা রিপোর্ট : সমৃদ্ধ দক্ষিণ এশিয়া নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশ ও ভারত পারস্পরিক সমর্থন ও সহযোগিতার ধারায় একসাথে কাজ করে যাবে। গত ৬ ডিসেম্বরের মৈত্রী দিবসের অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. সহিদুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ যে ব্যাপক আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে, তাও তুলে ধরেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে জানানো হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যাম্বাসেডর কেলি কেইডারলিং বলেছেন, তার দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের সাথে অংশীদারিত্বকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করে এবং দু’টি দেশই মূলত দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি চালাবে।
তিনি গত ৬ ডিসেম্বর ‘মৈত্রী দিবস’ (বন্ধুত্ব দিবস) উদযাপনের জন্য ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে আয়োজিত একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মার্কিন সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রদূত কেইডারলিং আরো বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থায়ী বন্ধুত্ব পর্যবেক্ষণ করে এবং পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এ অঞ্চলে শক্তি ও স্থিতিশীলতার উৎস হিসেবে রয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের সম্মতি অনুসারে ১৮টি বিদেশী রাজধানীতে ঐতিহাসিক ‘মৈত্রী দিবস’-এর যৌথ স্মরণের অংশ হিসেবে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের সিনিয়র ডিরেক্টর মিস সুমনা গুহ, ইউএস ফরেন সার্ভিস অ্যাম্বাসেডরের ডিরেক্টর জেনারেল (মনোনীত) মার্সিয়া বার্নিকাট এবং ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘এক মিনিট নীরবতা’ পালনের মধ্য দিয়ে সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। স্বাগত বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম. সহিদুল ইসলাম স্বাধীনতার লড়াইয়ে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ ও সংঘবদ্ধ করার জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত তারাজিৎ সিং সান্ধু এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ভারত ও বাংলাদেশ আজ ব্যাপক সম্পর্ক ভাগ করে, যা মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে দু’দেশের মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের উৎস। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব’ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদ্দয়ে তাঁর নিরলস প্রচেষ্টার কথা স্মরণ করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর ছিল বাংলাদেশি ও ভারতীয় শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ৫০ বছরের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে আমন্ত্রিত অতিথিদের ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি ও ভারতীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।