
রাজধানী ডেস্ক : রানওয়ে হয়ে নির্দিষ্ট আউটার হ্যাঙারে থেমেছে বিমানের চাকা। জ্বলে উঠেছে ভেতরের বাতি। যাত্রীরা সিট বেল্ট খুলে দাঁড়িয়ে পড়েছে। লাগেজ নিয়ে নেমে আসার জন্য তৈরি তারা। কিন্তু সামনের দিকে কেউ নড়ছে না। বেশ কিছুক্ষণ কেটে যাওয়ার পর অবশেষে পা চলতে শুরু করল। কিন্তু সামনের দিকে থাকা প্রায় সবাই হঠাৎ এক ঝটকায় মাথা নিচু করে ফেলল। কেউ নাচের ভঙ্গি করে এগিয়ে যাচ্ছিল। পেছনের দিকের যাত্রীরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যে দেখা গেল দমকা হাওয়ার মতো কুÐলী পাকিয়ে ধেয়ে আসছে মশার দঙ্গল।
গত ১০ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যা ৬টার কিছুটা পরে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসা বাংলাদেশ বিমানের একটি উড়োজাহাজ ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর যাত্রীরা মশার এমন ভয়ানক আক্রমণের কবলে পড়ে।
যাত্রীদের বিদায় অভ্যর্থনা জানাতে বিমানের দরজায় থাকা কর্মীরা জানান, দরজা খুললেই মশার ঝাঁক ধেয়ে এসে ঢুকে পড়ে ভেতরে। এ জন্যই কিছুটা সময় দেরি হয়েছে বিমানের দরজা খুলতে। বাসের দরজা খুলে দেওয়ার পরই তারা বিমানের দরজা খুলেছেন, যাতে যাত্রীরা দ্রæত বাসে ঢুকে পড়তে পারে।
কিন্তু বিমান থেকে নামার সময়ই কারো নাকে, কারো কানে, কারো মুখে মশা ঢুকে গেছে। এরপর যাত্রীরা হুড়মুড়িয়ে নিচে নেমে সিঁড়ির কাছেই দাঁড়ানো বাসে উঠতে উঠতেই চারদিক থেকে ঘিরে ধরে মশা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিমানবালা বলেন, প্রতিদিনই সন্ধ্যার আগমনী ফ্লাইটে এমন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়। বিশেষ করে যে বিমানগুলো মূল টার্মিনালের টানেলে যুক্ত হতে পারে না সেগুলোর ক্ষেত্রে এমনটা ঘটছে। বিমানের ভেতর ঢুকে পড়া মশার ঝাঁক বের করতেও বেগ পেতে হয়।
এরই মধ্যে মশার উৎপাত বন্ধ করতে নতুন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সিভিল এভিয়েশনকে সাত দিন সময় দিয়েছে। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সভায় গুরুত্বসহকারে উঠে এসেছে বিমানবন্দরে মশার উৎপাতের বিষয়টি।