দিন বদলের সাথে বদলে গেছে ওজনপার্ক

ঠিকানা রিপোর্ট : এক সময় পশ্চিম আকাশে সূর্য অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে নির্জন, ভীতিপ্রদ পরিবেশ সৃষ্টি হতো। তখন অন্ধকার নেমে আসার সাথে সাথে কোলাহল বেড়ে যেত। রাতে কাজ শেষে একাকী ঘরে ফিরতে গা ছমছম করতো। দ্বিধা সংকোচ ও ভীতি কাজ করতো। এখন গভীর রাতে সে সংকোচ জমে না। প্রতিটি রাস্তার উভয় পাশে বাংলাদেশিদের ঘরের সম্মুখে, রাস্তার কর্নারে, লাইট পোস্টের নিচে জটলা থাকে। গৃহস্থালীর আবশ্যকীয় জিনিসপত্রের জন্য সপ্তাহে ছুটির দিনে সওদা করতে হতো। বর্তমানে ছুটির দিন হউক অথবা কাজের দিন হউক। যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করার সুযোগ রয়েছে। এক সময় অনেকে ইস্ট নিউইয়র্ক এলাকা বলে ভয় পেতো। এলাকায় আসতে দ্বিধা সংকোচ দেখা দিতো। সেই ভয়ের স্থান এখন মানুষের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অনেকে অন্য এলাকা থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ গ্রহণ করছে। এলাকায় জৌলুস, পরিচিতি, বসতি, ব্যবসা, সব কিছুর প্রসার হয়েছে মসজিদ আল আমানকে ঘিরে।
প্রাক কথা : এক সময় ওজনপার্ক এলাকাকে সেন্টারভাইল একটি চার্চের নামে সেন্ট্রাল ভাইল বলা হতো। ১৮৭০ সালে আর্থিক মন্দার কারণে এ এলাকায় প্রথমে ফ্রেন্স, জার্মানি ও আইরিশরা বসবাস করতো। উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে বিশ শতকের প্রথমে ইটালিয়ানরা বসবাস আরম্ভ করে। ১৮৮২ সালে সেন্টার ভাইল নামের পরিবর্তে ওজন পার্ক নাম রাখা হয়। তথ্যমতে উডহ্যাভেন বুলেভার্ড (ড়িড়ফ যধাবহ ইখাফ), রিচমন্ডহীল, হাওয়ার্ড বীচ ঝড়ঁঃয পড়হফ +ইখাফ, ১০৮ স্ট্রিট পর্যন্ত এলাকাকে ওজন পার্ক বলা হয়। বর্তমানে যে এলাকা অর্থাৎ আল আমান মসজিদ, এল্ডার্ট লেন, ড্রিউস্ট্রিট, (পশ্চিম পার্শ্ব) গ্রান্ড এভিনিউ, ব্রুকলীন (সিটিলাইন বলে খ্যাত) বা ইস্ট নিউইয়র্ক এলাকা বলা হয়। সাধারণভাবে সিটি লাইন ও ওজন পার্ক এলাকাকে সম্মিলিত একনামে ওজন পার্ক বলে এখন সবাই চিনে।
বসবাস : ১৯৪৮ সাল থেকে ওজন পার্ক তথা সিটি লাইনে বাংলাদেশিদের বসবাস। জানা যায়, দেউল গ্রামের আব্দুল খালেক ময়না মিয়া প্রথম বাড়ি ক্রয় করেন। এবং আজির উদ্দিন বর্তমানে আটলান্টায় বসবাসরত আজির উদ্দিন করবেল স্ট্রিটে (বর্তমানে মিজানুর রহমান ওয়ে) প্রথম বাড়ি ক্রয় করেন।
ব্যবসা : প্রথম ব্যবসার গোড়াপত্তন করেন বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসারী পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামছুল আবদীনের পিতা হাজী আবদুস সাত্তার আবদীন লাঞ্চিনের নামে (ঘর নং ১২১৯ লিবার্টি এভিনিউ)। ৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম গ্রোসারি আল আমিন গ্রোসারি। ২৪ ঘণ্টার গ্রোসারির মধ্যে ওজন পার্ক সুপার মার্কেট, মতিন সুপার মার্কেট, মান্নান গ্রোসারি ও প্রিমিয়াম স্টোর। প্রথম ট্রাভেলস গ্লোবাল ট্রাভেলস। বর্তমানে গ্লোবাল মাল্টি সার্ভিস। এছাড়া ঝঃধহফধৎফ বীঢ়ৎবংং, সোনালী ব্যাংক, জলঢুপ মানি ট্রান্সকায়, প্লাসিড এক্সপ্রেস, রিয়া এসএন ভিডিও স্টোর। স্কাইলাইন ট্রেভেলস। দেশে অর্থ প্রেরণ করে থাকে সিটি লাইনে আল বারাকা ট্রাভেলস, মাক্কী মাল্টি সার্ভিস, বেকডেইজ, কমিনিউটি সার্ভিস দিয়ে আসছে।
ফার্সেসির মধ্যে আন নূর ফার্মেসি, মেড এইড (সবফ অরফ) এমিয়েবল, ওজন পার্ক, আমানিয়া, সিলেট, রাইট কেয়ার, আলহাক্কু।
কাপড়ের দোকানের মধ্যে প্রথম নাহিদ ফ্রেব্রিক্স। পরবর্তীতে বাসন্তিকা, গ্ল্যামার মুক্তা ফ্যাশন, জেরিন বুটিক। এসব শাড়ির দোকানে শুধু শাড়ি নয়, পাজামা, পাঞ্জামি, বাচ্চাদের কাপড়, টুপি, লেহেঙ্গা, গয়নাও বিক্রি হয়।
ক্লিনিক : ওজন পার্ক মেডিকেল ক্লিনিক, সেইফ মেডিকেল কেয়ার, ডা. সিদ্দিক, ক্লিনিক, বাচ্চাদের জন্য নাহার ক্লিনিক, কোয়ালিটি কেয়ার।
পার্টি হল : আল মদিনা পার্টি হল, এভিনিউ হল, ফিউশন পার্টি হল।
খাবারের দোকান : বিসমিল্লাহ কাবাব অ্যান্ড কারী, মতিন স্পাইস অ্যান্ড সুইট, মামোস (আফগানী কুজিন), ইন্ডিয়ান হালাল চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ফুড গার্ডেন, আল মদিনা ঋৎরবফ-চরুধ স্টোর, ফুলকলি।
ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ বিক্রয় ও মেরামতের জন্য মহসিন ডিজিটাল, আকিল ও আদিল ইলেক্ট্রনিক, ইনফিনিটি মাল্টি সার্ভিস।
ভেরাইটি স্টোরের মধ্যে অঞঘ ঠধৎরঃু স্টোর, সোলো, ৯৯প ংঃড়ৎব, আইডিয়েল ডিসকাউন্ট স্টোর
মসজিদসমূহের মধ্যে বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদ আল আমান। এ মসজিদের সাথে হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মক্তব, আকবার স্কুল, সামার প্রোগ্রাম, উইকেন্ড প্রোগ্রাম যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ফুলতলী জামে মসজিদ, আল ফোরআন জামে মসজিদ। এসব মসজিদে সামার প্রোগ্রাম রয়েছে।
পরিশিষ্ট : দিন বদলের সাথে সাথে ব্যবসারও পরিবর্তন এসেছে। ওজন পার্ক সুপার মার্কেট একমাত্র ২৪ ঘণ্টা খোলা ব্যতীত পূর্বে আর কোনো স্টোর ২৪ ঘণ্টা খোলা ছিল না।
আজ থেকে প্রায় ২ বছর পূর্বে পরবর্তীতে শাহজালাল গ্রোসারি রিহফড়ি ব্যবসা আরম্ভ করে। গত জানুয়ারি মাসে চজঊগঊটগ ঝঁঢ়বৎ সধৎশবঃ এখানে তাদের ব্যবসা আরম্ভ করে ২৪ ঘণ্টা। এর ধারাবাহিকতায় মান্নান গ্রোসারি এখন সারারাত খোলা থাকে।
ব্যবসা পরিবর্তন : ৭৭ স্ট্রিটে আস সালাম বন্ধ হয়ে এখন চায়নিজ বেংকুইট হল দাওয়াত রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে ফুলকলি, চঙখখ-খওঘক পেরুভিয়ান রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে ফুড গার্ডেন এর পূর্বে ঋৎরবহফং ঢ়বংঃধবহঃ বন্ধ হয়ে এখন চায়নিজ ব্যাংকুইট হল। এর পূর্বে অন্তত দশটি দোকান বন্ধ অথবা হাত বদল না হলে মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। (২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ঠিকানায় বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।)
বক্ষমান প্রতিবেদনের প্রারম্ভে আল আমান মসজিদের কথা উল্লেখ রয়েছে। ’৭০-এর দশকে স্থাপিত মসজিদ আল আমানের প্রারম্ভে ৫০/৬০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তেন। বর্তমানে মসজিদের ১ম, ২য়, ৩য় ও বেসমেন্টসহ একসাথে ৫/৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এখন মসজিদকে ঘিরে এলাকায় বসবাসের গ-ি অনেক বিস্তৃত। দিনরাত এমন সময় নেই যে, একজন বাংলাদেশির দেখা পাওয়া যাবে না এই এলাকায়। একসময়ের ভীতিকর এলাকা আজ ভীতিহীন। কম বসতিপূর্ণ এলাকা লোকে লোকারণ্য। এলাকায় যে হারে বসতি বাড়ছে, সেদিন হয় তো দূরে নয়- একদিন বাংলা টাউন অথবা বাংলাদেশি জনপদ নাম ধারণ করবে। এলাকায় এখন পূর্বের ভীতিকর থেকে সুখকর ও অন্ধকার দূর হয়ে আলোর পরশে সকল ভীতি পালিয়েছে।

(শেষের পাতার পর) নিচে জটলা থাকে। গৃহস্থালীর আবশ্যকীয় জিনিসপত্রের জন্য সপ্তাহে ছুটির দিনে সওদা করতে হতো। বর্তমানে ছুটির দিন হউক অথবা কাজের দিন হউক। যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় সামগ্রী ক্রয় করার সুযোগ রয়েছে। এক সময় অনেকে ইস্ট নিউইয়র্ক এলাকা বলে ভয় পেতো। এলাকায় আসতে দ্বিধা সংকোচ দেখা দিতো। সেই ভয়ের স্থান এখন মানুষের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। অনেকে অন্য এলাকা থেকে এসে স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগ গ্রহণ করছে। এলাকায় জৌলুস, পরিচিতি, বসতি, ব্যবসা, সব কিছুর প্রসার হয়েছে মসজিদ আল আমানকে ঘিরে।
প্রাক কথা : এক সময় ওজনপার্ক এলাকাকে সেন্টারভাইল একটি চার্চের নামে সেন্ট্রাল ভাইল বলা হতো। ১৮৭০ সালে আর্থিক মন্দার কারণে এ এলাকায় প্রথমে ফ্রেন্স, জার্মানি ও আইরিশরা বসবাস করতো। উনিশ শতকের শেষ পর্যায়ে বিশ শতকের প্রথমে ইটালিয়ানরা বসবাস আরম্ভ করে। ১৮৮২ সালে সেন্টার ভাইল নামের পরিবর্তে ওজন পার্ক নাম রাখা হয়। তথ্যমতে উডহ্যাভেন বুলেভার্ড রিচমন্ডহীল, হাওয়ার্ড বীচ (ঐড়ধিৎফ ইবধপয) ঝড়ঁঃয পড়হফ +ইখাফ, ১০৮ স্ট্রিট পর্যন্ত এলাকাকে ওজন পার্ক বলা হয়। বর্তমানে যে এলাকা অর্থাৎ আল আমান মসজিদ, এল্ডার্ট লেন, ড্রিউস্ট্রিট, (পশ্চিম পার্শ্ব) গ্রান্ড এভিনিউ, ব্রুকলীন (সিটিলাইন বলে খ্যাত) বা ইস্ট নিউইয়র্ক এলাকা বলা হয়। সাধারণভাবে সিটি লাইন ও ওজন পার্ক এলাকাকে সম্মিলিত একনামে ওজন পার্ক বলে এখন সবাই চিনে।
বসবাস : ১৯৪৮ সাল থেকে ওজন পার্ক তথা সিটি লাইনে বাংলাদেশিদের বসবাস। জানা যায়, দেউল গ্রামের আব্দুল খালেক ময়না মিয়া প্রথম বাড়ি ক্রয় করেন। এবং আজির উদ্দিন বর্তমানে আটলান্টায় বসবাসরত আজির উদ্দিন করবেল স্ট্রিটে (বর্তমানে মিজানুর রহমান ওয়ে) প্রথম বাড়ি ক্রয় করেন।
ব্যবসা : প্রথম ব্যবসার গোড়াপত্তন করেন বিয়ানীবাজার উপজেলার খাসারী পাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শামছুল আবদীনের পিতা হাজী আবদুস সাত্তার আবদীন লাঞ্চিনের নামে (ঘর নং ১২১৯ লিবার্টি এভিনিউ)। ৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রথম গ্রোসারি আল আমিন গ্রোসারি। ২৪ ঘণ্টার গ্রোসারির মধ্যে ওজন পার্ক সুপার মার্কেট, মতিন সুপার মার্কেট, মান্নান গ্রোসারি ও প্রিমিয়াম স্টোর। প্রথম ট্রাভেলস গ্লোবাল ট্রাভেলস। বর্তমানে গ্লোবাল মাল্টি সার্ভিস। এছাড়া সোনালী ব্যাংক, জলঢুপ মানি ট্রান্সকায়, প্লাসিড এক্সপ্রেস, রিয়া এসএন ভিডিও স্টোর। স্কাইলাইন ট্রেভেলস। দেশে অর্থ প্রেরণ করে থাকে সিটি লাইনে আল বারাকা ট্রাভেলস, মাক্কী মাল্টি সার্ভিস, বেকডেইজ, কমিনিউটি সার্ভিস দিয়ে আসছে।
ফার্সেসির মধ্যে আন নূর ফার্মেসি, মেড এইড (সবফ অরফ) এমিয়েবল, ওজন পার্ক, আমানিয়া, সিলেট, রাইট কেয়ার, আলহাক্কু।
কাপড়ের দোকানের মধ্যে প্রথম নাহিদ ফ্রেব্রিক্স। পরবর্তীতে বাসন্তিকা, গ্ল্যামার মুক্তা ফ্যাশন, জেরিন বুটিক। এসব শাড়ির দোকানে শুধু শাড়ি নয়, পাজামা, পাঞ্জামি, বাচ্চাদের কাপড়, টুপি, লেহেঙ্গা, গয়নাও বিক্রি হয়।
ক্লিনিক : ওজন পার্ক মেডিকেল ক্লিনিক, সেইফ মেডিকেল কেয়ার, ডা. সিদ্দিক, ক্লিনিক, বাচ্চাদের জন্য নাহার ক্লিনিক, কোয়ালিটি কেয়ার।
পার্টি হল : আল মদিনা পার্টি হল, এভিনিউ হল, ফিউশন পার্টি হল।
খাবারের দোকান : বিসমিল্লাহ কাবাব অ্যান্ড কারী, মতিন স্পাইস অ্যান্ড সুইট, মামোস (আফগানী কুজিন), ইন্ডিয়ান হালাল চায়নিজ রেস্টুরেন্ট ফুড গার্ডেন, আল মদিনা ঋৎরবফ-চরুধ স্টোর, ফুলকলি।
ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রাংশ বিক্রয় ও মেরামতের জন্য মহসিন ডিজিটাল, আকিল ও আদিল ইলেক্ট্রনিক, ইনফিনিটি মাল্টি সার্ভিস।
ভেরাইটি স্টোরের মধ্যে, আইডিয়েল ডিসকাউন্ট স্টোর মসজিদসমূহের মধ্যে বৃহৎ ও প্রাচীন মসজিদ আল আমান। এ মসজিদের সাথে হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মক্তব, আকবার স্কুল, সামার প্রোগ্রাম, উইকেন্ড প্রোগ্রাম যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ফুলতলী জামে মসজিদ, আল ফোরআন জামে মসজিদ। এসব মসজিদে সামার প্রোগ্রাম রয়েছে।
পরিশিষ্ট : দিন বদলের সাথে সাথে ব্যবসারও পরিবর্তন এসেছে। ওজন পার্ক সুপার মার্কেট একমাত্র ২৪ ঘণ্টা খোলা ব্যতীত পূর্বে আর কোনো স্টোর ২৪ ঘণ্টা খোলা ছিল না।
আজ থেকে প্রায় ২ বছর পূর্বে পরবর্তীতে শাহজালাল গ্রোসারি রিহফড়ি ব্যবসা আরম্ভ করে। গত জানুয়ারি মাসে এখানে তাদের ব্যবসা আরম্ভ করে ২৪ ঘণ্টা। এর ধারাবাহিকতায় মান্নান গ্রোসারি এখন সারারাত খোলা থাকে।
ব্যবসা পরিবর্তন : ৭৭ স্ট্রিটে আস সালাম বন্ধ হয়ে এখন চায়নিজ বেংকুইট হল দাওয়াত রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে ফুলকলি, চঙখখ-খওঘক পেরুভিয়ান রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে ফুড গার্ডেন এর পূর্বে ঋৎরবহফং ঢ়বংঃধবহঃ বন্ধ হয়ে এখন চায়নিজ ব্যাংকুইট হল। এর পূর্বে অন্তত দশটি দোকান বন্ধ অথবা হাত বদল না হলে মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। (২০১৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক ঠিকানায় বিস্তারিত তথ্য রয়েছে।)
বক্ষমান প্রতিবেদনের প্রারম্ভে আল আমান মসজিদের কথা উল্লেখ রয়েছে। ’৭০-এর দশকে স্থাপিত মসজিদ আল আমানের প্রারম্ভে ৫০/৬০ জন মুসল্লি নামাজ পড়তেন। বর্তমানে মসজিদের ১ম, ২য়, ৩য় ও বেসমেন্টসহ একসাথে ৫/৬ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এখন মসজিদকে ঘিরে এলাকায় বসবাসের গ-ি অনেক বিস্তৃত। দিনরাত এমন সময় নেই যে, একজন বাংলাদেশির দেখা পাওয়া যাবে না এই এলাকায়। একসময়ের ভীতিকর এলাকা আজ ভীতিহীন। কম বসতিপূর্ণ এলাকা লোকে লোকারণ্য। এলাকায় যে হারে বসতি বাড়ছে, সেদিন হয় তো দূরে নয়- একদিন বাংলা টাউন অথবা বাংলাদেশি জনপদ নাম ধারণ করবে। এলাকায় এখন পূর্বের ভীতিকর থেকে সুখকর ও অন্ধকার দূর হয়ে আলোর পরশে সকল ভীতি পালিয়েছে।