বিশ্বচরাচর ডেস্ক : চার দিকে পুড়ে যাওয়া ভিটেবাড়ির ছাই। ঠিক রোহিঙ্গাদের জীবনের কালো অধ্যায়ের মতো। পোড়া উঠোনের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে পরিবারের অবুঝ সদস্যও।
যেন বোঝার চেষ্টা করছে ভাগ্যের এই নির্মমতাকে। আর পুড়ে যাওয়া লোহার আসবাবপত্রের নিচে শেষ আশাটুকু হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারের কর্তা, গিন্নি।
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে গত ১৫ এপ্রিল ভোর ৩টা ৩৮ মিনিটে কালিন্দি কুঞ্জারিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে এ ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ২৩০ রোহিঙ্গা গৃহহীন হয়েছে বলে জানা যায়।
তবে কোনো প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। শিবিরের বেশির ভাগ ঘর প্লাস্টিকের তৈরি হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইঞ্জিন তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত। হঠাৎ আগুন লাগায় রোহিঙ্গা শিবিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
অসহায় রোহিঙ্গারা বলেন, আগুনে আমাদের সব সম্বল পুড়ে গেছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্ট না থাকায় জমানো সামান্য আর্থিক সম্বলটুকুও পুড়ে গেছে তাদের।
এখন পর্যন্ত ভারতের পূর্বাঞ্চল দিয়ে বিভিন্ন সময়ে দেশটিতে পালিয়ে এসেছে কমপক্ষে ৪০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা। দিল্লি, জম্মু, হায়দরাবাদ, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ ও রাজস্থানে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এএফপি।