দূতাবাসগুলোকে অভিবাসীবান্ধব হতে হবে

হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ : বৈশ্বিক শ্রমবাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত ক‚টনৈতিক মিশনগুলোর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও অপরিসীম। নতুন শ্রমবাজারের সন্ধান, নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্মীস্বার্থ রক্ষায় নেগোসিয়েশন, উপযুক্ত বেতন-ভাতা নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়, অবৈধ নিয়োগদাতাদের কালো তালিকাভুক্তকরণ, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর চাহিদাপত্র অনুযায়ী নিয়োগদাতা সম্পর্কে খোঁজ নেওয়া, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিসহ প্রবাসে অবস্থানরত অভিবাসীদের সার্বিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা মিশনগুলোর কাজের প্রধান অংশ। আবার জনশক্তির বাজার সম্প্রসারণ, নতুন নতুন শ্রমবাজারে প্রবেশ ও ট্র্যাডিশনাল শ্রমবাজার ধরে রাখার ক্ষেত্রেও দূতাবাসগুলোর দায়দায়িত্ব অনেক।

কিন্তু দূতাবাসগুলোর সেবার অপর্যাপ্ততা ও সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রবাসীদের অভিযোগ প্রায় সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। সৌদি আরব, ইরাক, কুয়েত, আরব আমিরাত, জর্ডান, লেবানন, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে অবস্থানরত ভুক্তভোগী শ্রমিকরা অভিযোগ করে আসছে, দূতাবাসগুলোর সেবা প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের আইনি সেবা ও সহযোগিতা প্রদানের ক্ষেত্রে আমাদের দূতাবাসগুলো এখনও অন্য দেশের মতো মানবিক হতে পারেনি। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত নারী শ্রমিকদের সুরক্ষায় দায়িত্বশীলতার অভাবের অভিযোগও বারবার উত্থাপিত হচ্ছে। আমরা এখন প্রায়ই দেখতে পাচ্ছি, সৌদি আরব, জর্ডান, লেবানন থেকে নারী কর্মীরা কর্মক্ষেত্রে নানা বঞ্চনার শিকার হয়ে নিঃস্ব-রিক্ত হয়ে দেশে ফিরে আসছেন। তারা বারবারই দূতাবাসগুলোসহ প্রেরিত রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, অমানবিকতার অভিযোগ করছেন। যদিও এসব নারীকর্মীকে নির্যাতন ও হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য আমাদের দূতাবাসগুলো বিভিন্ন দেশে সেফহোম স্থাপনের পাশাপাশি একই সঙ্গে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে হটলাইন স্থাপন করেছে; যার মাধ্যমে একজন নির্যাতিত নারীকর্মী সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসের সহযোগিতা গ্রহণ করতে পারেন।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআরসি বছরখানেক আগে তাদের বার্ষিক রিপোর্টে এ বিষয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছিল। সেই পর্যবেক্ষণে তারা বলেছে, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি শ্রমিকদের যে অধিকার বঞ্চনার ঘটনা ঘটছে, তা মোকাবেলায় দূতাবাসগুলোর সহযোগিতা সীমিত। একই সঙ্গে এ-ও বলেছিল যে, দূতাবাসের যারা সেবা দিচ্ছেন তাদের আরও দক্ষ ও প্রশিক্ষিত হতে হবে। বিভিন্ন দেশের কারাগারে বন্দীদের কথাই ধরা যাক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে সে সময়কার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, বিশ্বের ৩৮টি দেশের বিভিন্ন কারাগারে মোট ৯ হাজার ৬৪০ জন বন্দী অবস্থায় আছেন। কারাগারে বন্দীদের বেশির ভাগই কর্মের সন্ধানে গিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে। বন্দী পরিবারগুলো মনে করে, দূতাবাসগুলোর প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে তাদের স্বজনরা সহজেই দেশে ফিরে আসতে পারবে। তবে এটাও সঠিক, আমাদের কিছু কিছু কর্মী বিভিন্ন দেশে অবস্থানকালে সেদেশের নিয়মনীতি না মানা, অননুমোদিতভাবে কর্মস্থল পরিবর্তন, চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ফিরে না আসায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হয়।

অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় গত চার বছরে সবচেয়ে বেশি নারী শ্রমিক কাজের সন্ধানে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গেছে। নারী শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি কাজ করে সৌদি আরব, লেবানন, জর্ডান, ওমান ও আরব আমিরাতে। সৌদি আরবে এ পর্যন্ত প্রায় তিন লাখ নারী শ্রমিক কাজ করার জন্য পাড়ি জমিয়েছে। প্রচুর নারীকর্মী বিদেশে তাদের শ্রম বিক্রি করে নিজ পরিবারে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। সামাজিকভাবে তারা সামনে এগিয়ে এসেছে। কিন্তু অনেক ঘটনাই নারী শ্রমিকদের কাজের সন্ধানে বিদেশ যাওয়াটা দুরূহ করে তুলছে। নানা প্রতিক‚লতার কারণে মধ্যপ্রাচ্যে নারীকর্মী প্রেরণ বর্তমানে একটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই দুরূহতা কাটাতে হলে কনস্যুলার বা মিশন অফিসগুলোকে আরও দক্ষতা ও যোগ্যতা দেখাতে হবে। কর্মক্ষেত্রে যে নারীরা (যারা সমস্যার শিকার) বিপদাপন্ন অবশ্যই দূতাবাসগুলোকে তাদের প্রতি আরও বেশি সহানুভূতির হাত বাড়াতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, প্রতিটি শ্রমিকই বিদেশ যায় বেশি আয়ের প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু অনিরাপদ অভিবাসন তাদের স্বপ্নকে দ্রæতই চুরমার করে নিঃস্ব করে দেয়। প্রকৃত বেতন নিয়ে কর্মীদের অভিযোগ রয়েছে বরাবরই। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে আমাদের প্রবাসী কর্মীদের বেতন নির্ধারণ করা দরকার। একই সঙ্গে প্রশিক্ষিত ও দক্ষ কর্মী প্রেরণেও আমাদের জোর দিতে হবে। অভিবাসন ক‚টনীতি জোরদার করে নিয়ন্ত্রিত অভিবাসন ব্যয় এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা হলে এই খাতের সুশাসন নিয়ে গর্ব করা যাবে।

অন্য দিকে বলতে হয়, কর্মী প্রেরণে বিএমইটি তথা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক অহেতুক প্রতিবন্ধকতার অভিযোগও রয়েছে। আবার কিছু কিছু দূতাবাসে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর কর্মী প্রেরণের চাহিদাপত্র জমা দেওয়ার পরও সত্যায়ন পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়। অনেক সময় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে চাহিদাপত্রের সত্যয়ন প্রদানে অনৈতিক সুবিধা প্রদানের অভিযোগও পাওয়া যায়। এতে শ্রমিক প্রেরণ মন্থর হয়ে পড়ে। যার ফলে এসব বাজার ভারত, শ্রীলংকা, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন কর্মী প্রেরণকারী দেশের হাতে চলে যাচ্ছে। তবে এ-ও সত্য, বাংলাদেশের কিছু রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মীদের কর্মঘণ্টা, বেতন ও থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা কোনোটাই তাদের বিবেচনায় আনে না।

জনশক্তি প্রেরণে আমাদের অনেক সাফল্য দৃশ্যমান। যে সফলতার জন্য আমাদের পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার দাবি রাখে। এই সরকারের পরপর দুবারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এমপি বরাবরই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণে কর্মী প্রেরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছেন। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো দায়িত্ব পাওয়া নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও পুরনো শ্রমবাজার পুনঃপ্রবেশ এবং নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধানে তৎপর রয়েছেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর আমিরাত সফর উপলক্ষে সেখানে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী আমিরাতে অবস্থানকালে সেখানে বাংলাদেশি কর্মী প্রেরণের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে। আশা করা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে খুব দ্রুতই বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণের কার্যক্রম শুরু হবে। এ ছাড়াও বন্ধ থাকা মালয়েশিয়া শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারেও জোর তৎপরতা চলছে। ইরাকে কর্মী যাওয়া শুরু হয়েছে। লিবিয়ায় কর্মী প্রেরণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিন্তা-ভাবনা করছে। ২০১৭ সালে আমরা সোয়া ১০ লাখ এবং ২০১৮ সালে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। চলতি বছর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১২ লাথ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা প্রয়োজন।

আমাদের অভ্যন্তরীণ শ্রমবাজার অবশ্যই সীমিত। প্রতি বছর গড়ে ২০ লাখ মানুষ শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে। কিন্তু বিপুল এই শ্রমশক্তির কর্মসংস্থান কোথায়? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিতে শ্রমশক্তির বিরাট অংশ যুক্ত হতে পারলেও বাদবাকিদের জন্য তেমন সুব্যবস্থা নেই। সে ক্ষেত্রে আমাদের বড় একটি ভরসার জায়গা বৈদেশিক কর্মসংস্থান। দেখা যাচ্ছে, তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ শিল্প ইত্যাদি খাতের মতো বড় কোনো অর্থনৈতিক বিনিয়োগ ছাড়াই অভিবাসন খাত থেকে প্রতি বছর ১৩-১৪ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন করছে, যা আমাদের জিডিপিতে ৭২৪ শতাংশ অবদান রাখছে। একই সঙ্গে আশা করছি, আমাদের বড় শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে খুব দ্রæতই কর্মী প্রেরণের পথ উন্মুক্ত হবে। চলতি বছর প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অন্তত ১২ লাখ কর্মী বিদেশ পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা প্রয়োজন।

এ দিকে শেখ হাসিনার নতুন মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ইমরান আহমেদ এমপি। দীর্ঘ ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। রাজনীতিতে তিনি সজ্জন, মার্জিত ব্যক্তি হিসেবে সুপরিচিত। বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ৮৬ সালে সিলেটের জৈন্তা-গোয়াইনঘাট-কোম্পানীগঞ্জ থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। ইমরান আহমেদ একজন বিনয়ী সফল রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। সর্বোপরি সুশিক্ষিত এক আধুনিক চিন্তার সংস্কৃতিবান মানুষ, যার পারিবারিক ঐতিহ্য ও মর্যাদা দীর্ঘকালের। প্রথমবারের মতো প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি প্রবাসীদের কল্যাণে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার ঘোষণা দিয়েছেন। মন্ত্রিত্ব লাভের পর নিজ এলাকা গোয়াইনঘাট থানার ওসির পাঠানো উপঢৌকন ফেরত দিয়ে তিনি সততার এক মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। জনশক্তি বাজার সম্প্রসারণে এবং এই খাতে সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য ইতোমধ্যে তিনি বেশ কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই খাতের সেবা একেবারে উপজেলা পর্যন্ত নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। একই সঙ্গে অভিবাসন প্রক্রিয়াকে আরও নিরাপদ, সুশৃঙ্খল করা হবে। দুই থেকে তিন স্তরের যে মধ্যস্বত্বভোগীর অনুপ্রবেশ রয়েছে, তা কমিয়ে বাজার সম্প্রসারণে বায়রার সহযোগিতা নেওয়া হবে।

এ কথা সত্য যে, লেবার সেন্ডিং কান্ট্রি হিসেবে শুধু প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় কিংবা বিএমইটি অথবা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একার পক্ষে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। দূতাবাসগুলোকে আরও আন্তরিকতার সঙ্গে কর্মীদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনায় কাজ করতে হবে। বায়রার সব সদস্যকে মানবিক মূল্যবোধের মধ্য দিয়ে বিদেশে নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হবে। তাই প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী অতীত ভুলে সামনে অভিবাসীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য বারবার যে তাগিদ দিচ্ছেন, তার ফলপ্রসূ বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট সবার প্রত্যাশা। সবশেষে বলতে চাই, দূতাবাসগুলোকে হতে হবে আরও শ্রমিকবান্ধব এবং কর্মী প্রেরণের প্রাণকেন্দ্র। একই সঙ্গে দূতাবাসগুলোকে আরও অভিবাসীবান্ধব হতে হবে। প্রয়োজনে দূতাবাসগুলোকে ২৪ ঘণ্টা প্রবাসীদের সেবা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। তাহলেই আরও নিরাপদে অধিক কর্মী প্রেরণে আমরা সক্ষমতা অর্জন করতে পারব, যা আমাদের টেকসই উন্নয়নকে এগিয়ে নেবে।

লেখক : শ্রম অভিবাসন বিশ্লেষক ও চেয়ারম্যান, ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি