দেশে দেশে উন্নয়ন মেলা

ঠিকানা রিপোর্ট: বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে তুলে ধরতে বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলার আয়োজন করা হয়। বিদেশে নিয়োজিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা এ সব আয়োজন করেন। এই আয়োজনে বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রদূতরা অংশগ্রহণ করেন। ইতিমধ্যেই ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, কানাড়া বাংলাদেশ দূতাবাস, লসএঞ্জেলেস বাংলাদেশ কন্স্যুলেট, নেদারল্যান্ড বাংলাদেশ দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসে এই মেলার আয়োজন করা হয়। জাতিসংঘ বাংলাদেশ মিশন এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের উদ্যোগে উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১১ অক্টোবর সন্ধ্যায়।
ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস
ওয়াশিংটন : ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে ওয়াশিংটন ডিসিতে গত ৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা-২০১৮’। মেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকা- তুলে ধরা হয়। এছাড়াও ভিডিওয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের ১০টি মেগা প্রজেক্টের কাজ প্রদর্শন করা হয়।

মেলায় যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি এক বিবৃতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বিস্তারিত তুলে ধরেন। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত বিভিন্ন দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ কূটনৈতিক, বিশ্ব ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, আইএফএফ প্রতিনিধি, বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তাসহ দেশি-বিদেশি অর্ধশতাধিক প্রতিনিধির উপস্থিতিতে আয়োজিত এই উন্নয়ন মেলায় বাংলাদেশ দূত দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বের ২৬তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। এইচএসবিসি এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এমন প্রাক্কলন দিয়েছে বলেও রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। তিনি ২০১৭ সালের সঙ্গে চলতি বছরের তুলনা করে বলেন, বিগত বছরে বাংলাদেশে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৭৫১ মার্কিন ডলার যা বর্তমানে ৭৮৬ বেড়েছে।
রপ্তানি বর্তমানে ৩৭৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রেমিটেন্স ১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ থেকে শুরু করে পদ্মা সেতু, পায়রা সমুদ্রবন্দর, কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বাস্তবায়িত হওয়া এবং বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশের বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বিস্তারিত ভিডিও ভার্সন দেখানো হয় উপস্থিত সুধী জনদের।
এ মেলায় আরো উপস্থিত ছিলেন ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাবেক মার্কিন দূত ড্যান মজিনা, নিশা দেশাই বিসওয়ালসহ স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক ও বর্তমান কূটনৈতিক, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

লস এঞ্জেলেস কন্স্যুলেট
লস এঞ্জেলেস থেকে তপন দেবনাথ : বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল লস এঞ্জেলেসের উদ্যোগে ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা ২০১৮ অনুষ্ঠিত হয়েছে গত ৬ অক্টোবর বিকালে কন্স্যুলেট মিলনায়তনে। কন্সাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন। এই সময় ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান ও কমিউনিটির অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলওয়াত করেন আনোয়ার হোসেন রানা। পবিত্র গীতা পাঠ করেন শীব নারায়ণ দাস। প্রজেক্টারে ব্রান্ডিং সঙ দেখানো হয়। বর্তমান সরকারের বিগত কয়েক বছরের অভূতপূর্ব উন্নয়নের চিত্র নিয়ে আলোচনা করেন ভাইস কন্সাল আল মামুন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ-যাবৎ প্রাপ্ত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পদকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করেন কন্সাল জেনারেল প্রিয়তোষ সাহা। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোস্তাইন দারা বিল্লাহ।
অনুষ্ঠানে শিশু কিশোররা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে। নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করে শিশুরা সকলের মন জয় করে। এরা হলো তানিশা আলী, ট্রিটিনা সাহা সিঁথি, সুদেব দাস, প্রভাতী দেবী, ঋদিতা মজুমদার, আলীশা কাইয়ানী, অর্নি প্রমুখ। শিশু কিশোরদের অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন কাজী মনোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন উপমা সাহা মজুমদার, কাজী হাসিব ও মিতালী কাজল। গুনি তিন শিল্পীই চমৎকার গান পরিবেশন করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। তবলায় সংগত করেন ড. সুকৃত মুখার্জি। উন্নয়ন মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভাইস কন্সাল (কমার্শিয়াল) আল মামুন। আগত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন কন্সাল জেনারেল পিয়তোষ সাহা। অতিথিদের নৈশভোজে আপ্যায়ন করা হয়।

কানাডাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন

কানাডা : বাংলাদেশ হাইকমিশন, অটোয়া, কানাডা ৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে রাত ৯:০০টা পর্যন্ত হাইকমিশনের সভাকক্ষে ৪র্র্থ বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলার আয়োজন করে। উৎসবমুখর এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, কূটনৈতিক মহলের প্রতিনিধি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবি, প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। মিশনের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানটি প্রমাণ্যচিত্র প্রদর্শন, আলোচনা অনুষ্ঠান, পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেকশন, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, নৈশভোজ ইত্যাদি আকর্ষণীয় পর্বে সাজানো ছিল। অনুষ্ঠানের সম্মানিত আলোচকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন হাইকমিশনের প্রথম সচিব মিজ অপর্ণা রাণী পাল।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সাম্প্রতিক সময়ে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের যুগান্তকারী এবং অনুসরণীয় অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে নির্মিত কতিপয় প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। তথ্যবহুল এ সকল প্রামান্যচিত্র উপস্থিত অতিথিদের মাঝে ব্যাপক সমাদৃত হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং বুদ্ধিজীবিগণ বক্তব্য রাখেন। অন্টারিও প্রদেশের ন্যাপিয়ান থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য চন্দ্রা আরিয়া, তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতির বিষয় তুলে ধরে বর্তমান সরকারকে অভিনন্দন জানান। তিনি বাংলাদেশের অগ্রগতিকে অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরনীয় বলে উল্লেখ করেন। বিশেষত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (গউএ) বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সফলতার কথা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অগ্রগতিরও প্রসংশা করেন। তিনি রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে এ ক্ষেত্রে কানাডা সরকারের সর্বাত্মক সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশীদের কর্মকান্ডের বর্ণনা করে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতির ধারা বেগবান করতে তাদের অবদানের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট স্টাডিজের অধ্যাপক নিপা ব্যানার্জি, তাঁর উপস্থাপনায় বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রযাত্রার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
স্থানীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জিলিয়ান ফ্রস্ট তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষকরে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের সহযোগীতার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ঐকান্তিক উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং এ ক্ষেত্রে কানাডা সরকারের সহযোগীতার কথা পূর্ণব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (গউএ) অর্জনে এবং টেকসই উন্নয়নের বিভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএ) অর্জনের অগ্রগতির জন্য অভিনন্দন জানান। এছাড়াও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের উন্নয়ন কর্মসূচীর পরিচালক জ্যানেট ডুরনো বাংলাদেশের সামাজিক সূচকের অগ্রগতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ ক্ষেত্রে কানাডা সরকারের সহযোগীতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ব্যক্ত করেন। কানাডার ঞৎধফব ঋধপরষরঃধঃরড়হ ঙভভরপব এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর স্টিভ টিফম্যান ক্ষুদ্র কুটির শিল্পের বিকাশ এবং এর মাধ্যমে নারীর ক্ষমাতায়নের সফলতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি এ সকল ক্ষেত্রে কানাডা সরকারের সহযোগীতার বিষয়ে আলোকপাত করেন। এর পরে কানাডার সাক্সাচুয়ান প্রদেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল রব নরিস বক্তব্য রাখেন। তিনি সাক্সাচুয়ান প্রদেশের সাথে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিশদ বিবরণ দেন এবং এ প্রদেশে বসবাসরত বাংলাদেশী প্রবাসীদের প্রশংসা করেন।

কানাডা নিবাসী শিক্ষাবিদ মঞ্জুর চৌধুরী বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। বর্তমান সরকারের ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচীর সাফলতার বর্ণনা করে তৃনমূল পর্যায়ে তার প্রসারের উপর আলোচনা করেন।

হাইকমিশনের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মিয়া মোঃ মাইনুল কবির একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেকসনের মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই সহ¯্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (গউএ) অর্জনের অনুকরণীয় সফলতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা (ঝউএ) অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির উপরে আলোকপাত করেন। প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মোঃ শাকিল মাহমুদ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রগতি এবং বাংলাদেশ-কানাডা দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্যের পরিসংখ্যানসহ বাংলাদেশে ব্যবসা, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের উপর নির্মিত পাওয়ার পয়েন্ট প্রজেকশনের প্রাণবন্ত উপস্থাপন করেন।

সভাপতির বক্তব্যে কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মিজানুর রহমান জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মানের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফলতা, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশ-কাডানার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিভিন্ন দিক ছাড়াও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বিশেষকরে রোহিঙ্গা সংকটে সরকার গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের বিশদ বর্ণনা দেন। তিনি এ অনুষ্ঠানকে সর্বিকভাবে সফল করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং বর্তমান সরকার গৃহীত ২০২১ ও ২০৪১ সালের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কানাডা সরকার ও কানাডায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
আলোচনা পর্বের পরে বাংলাদেশের সংস্কৃতিকে আগত অতিথিদের নিকট উপস্থাপনের লক্ষ্যে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সাংস্কৃতিক পর্বে হাইকমিশনের কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান ফারহানা আহমেদ চৌধুরী এবং কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশী শিল্পি ডালিয়া ইসলাম অংশগ্রহন করেন। সবশেষে অতিথিদের সম্মানে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রসনার উপাদানের সমন্বয়ে এক নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

হাইকমিশনের এ উদ্যোগ স্থানীয় অতিথি এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।

নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশ উন্নয়ন মেলা
ঠিকানা রিপোর্ট: নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশন এর উদ্যোগে গত ৪ অক্টোবর ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ৪র্থ জাতীয় উন্নয়ন মেলা। স্থানীয় একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত মেলায় হলভর্তি দর্শকদের উপস্থিতিতে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মেলার সমাপ্তি ঘটে। মেলা চলে বিকেলে ৫টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। মেলার শুরুতে একটি সম্বর্ধনার আয়োজন করা হয় এবং হাই কমিশনার মোহাম্মদ শামীম আহসান এবং তার সহধর্মিনী মিসেস পেন্ডোরা চৌধুরী অতিথিদের স্বাগত: জানান। ঐতিহ্যবাহী নানা ধরণের দেশী পিঠা-পুলি দিয়ে অতিথিদের আপ্যায়িত করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্জনের উপরে দুটো প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়াদকালে অর্জিত নানাবিধ সাফল্যের সংক্ষিপ্ত বিবরণ সম্বলিত হাইকমিশন কর্তৃক প্রকাশিত বহুরঙের একটি পুস্তিকা অতিথিদের মাঝে বিতরণ করা হয়।
অতিথিদের মধ্যে নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর আর্ট এন্ড কালচার (এনসিএসি) এর মহাপরিচালক ওতুনবা সেগুন রুনসেয়ে, ঢাকাস্থ ন্যাশানাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) কোর্সে অংশগ্রহণকারী কমোডর (অব:) মারকুস ওডে এবং প্রবাসী উচ্চ পদস্থ ইউএন কর্মকর্তা ড. আনিস রহমান সিদ্দিকীও বক্তব্য রাখেন।
মেলায় প্রবাসী বাংলাদেশী ছাড়াও নাইজেরিয়া সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ, ঢাকাস্থ ন্যাশানাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)-এ অংশগ্রহণকারী উর্ধ্বতন নাইজেরিয়ার সামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, কূটনীতিক, সুশীল সমাজের সদস্যসহ বিপুল সংখ্যক নাইজেরীয়ার ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও চেম্বার সমূহের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে নাইজেরিয়ার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।