দেশে বন্ডে বিনিয়োগ করে লভ্যাংশ ও মূল টাকা ফেরত আনা যাবে বিদেশে

ঠিকানা রিপোর্ট : প্রবাসে যারা দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পথ খুঁজছেন, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন বন্ড কিনতে পারেন। এ জন্য তাদেরকে বাংলাদেশে যেতে হবে না। এখানে বসেই সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে এই বন্ড কিনতে পারবেন। এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সোনালী এক্সচেঞ্জ প্রবাসীদের বাংলাদেশের বিভিন্ন বন্ড কেনায় সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে ব্যাংকের বন্ডগুলো সোনালী ব্যাংকসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত, তফসিলি ব্যাংকসহ বিদেশে পরিচিত বিভিন্ন দেশি ব্যাংকের এক্সচেঞ্জ কোম্পানির মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। সোনালী এক্সচেঞ্জ থেকে বন্ড কিনলেও সেই বন্ডের মূল নথি ব্যাংক থেকেই সংগ্রহ করতে হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশে এখন এসব বন্ড ডিজিটালি কেনার কারণে ব্যাংক থেকেই অনলাইনের রিসিপ্ট দেওয়া হয়। চাইলে বন্ডের ক্রেতা অনলাইনে ইমেইলের মাধ্যমে এটি সংগ্রহ করতে পারেন। অথবা ব্যাংকের কাছে অনুরোধ করলে ব্যাংক ডিজিটাল রিসিপ্টের কপি মেইল করে প্রবাসী ক্রেতার ঠিকানায় পাঠাবে। পাশাপাশি একজন ক্রেতা তার মনোনীত প্রতিনিধির মাধ্যমে দেশে ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারবেন, সে ক্ষেত্রে ওই মনোনীত প্রতিনিধিকে অথরাইজেশন দিতে হবে।
এসব বন্ডে লাভজনক বিনিয়োগের কথা জানান সোনালী এক্সচেঞ্জের সিইও দেবশ্রী মিত্র। তিনি বলেন, আমরা বন্ড বিক্রি করি না। এই বন্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের। সোনালী ব্যাংক বিক্রি করে। সেই হিসেবে আমরা এসব বন্ড কেনার জন্য সব ধরনের প্রক্রিয়া, যেমন আবেদনপত্র সংগ্রহ, নথিপত্র সংগ্রহ ও যাচাই এবং আয়ের উৎসসহ সবকিছু দেখে এরপর দেশে সোনালী ব্যাংকে পাঠাই। সেখান থেকে বন্ড ইস্যু হয়। একজন ক্রেতা কোন ধরনের বন্ড কিনবেন, কত টাকার কিনবেন, কোন মেয়াদের জন্য কিনবেন, এর ওপর নির্ভর করে তিনি কী ধরনের বন্ড কিনছেন এবং কত টাকা ইন্টারেস্ট পাবেন। তিন ধরনের বন্ড রয়েছে, যেমন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড, ওয়েজ আর্নার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড ও ওয়েজ আর্নার প্রিমিয়াম বন্ড। একেকটির একেক রকম নিয়ম। তবে ওয়েজ আর্নার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের ক্ষেত্রে লিমিট নেই। আবার মেয়াদ শেষে একটি ভাঙানোর পর মূল টাকা যেমন প্রবাসে নেওয়া যায়, তেমনি লভ্যাংশও প্রবাসে নেওয়া যায়। অন্যগুলোতে মূল টাকা প্রবাসে নেওয়া গেলেও লভ্যাংশ দেশে ব্যাংক হিসাবে নিতে হবে। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে এক কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করা যাবে না। সঞ্চয়পত্র থাকলে তাসহ এটি এক কোটি টাকার মধ্যে কিনতে হবে।
বন্ড কেনার ক্ষেত্রে সাধারণত কমন যেসব নথিপত্র প্রয়োজন হয়, এর মধ্যে রয়েছে আবেদনকারীর পাসপোর্ট ও নমিনির পাসপোর্ট, এনআইডি (এনআইডি বাধ্যতামূলক), এখানকার আইডি, সোশ্যাল সিকিউরিটি কার্ড, প্রুভ অব অ্যাড্রেস ও প্রুভ অব ইনকাম। প্রুভ অব ইনকাম প্রমাণ করার জন্য যারা ডব্লিউ টুতে বেতন পান তাদের ডব্লিউ টু, যারা ১০৯৯ পান তাদের ট্যাক্স ফাইল ও আয়ের নথি, ব্যাংকে যদি কারো অর্থ থাকে সেই আয়ের উৎস। নগদ অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা হয়ে থাকলে এর সোর্স অব ফান্ড দেখাতে হবে। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় নথিপত্র দিতে হবে। দেশে একটি ব্যাংক হিসাব লাগবে, যে হিসাবে লভ্যাংশ যাবে। দেশে আরএফসিডি হিসাব থাকলে ওই হিসাবে লভ্যাংশের অর্থ নেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে ব্যাংক হিসাব লাগবে না। যাদের ব্যাংক হিসাব নেই, তাদেরকে তা খুলতে হবে।