ধর্মীয় সংগঠনগুলোর জন্য ২০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি : ইসলামি সংগঠনগুলোকে আয়ত্তে রাখা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। ধর্মীয় সংগঠনসমূহ তাদের নেতাদের ও দেশের আলেম-ওলামাদের হাতে রাখার এ কৌশল সরকার ও সরকারি দলের পক্ষে ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে বলেই সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোট দেশের আলেম-ওলামা, ধর্মীয় সংগঠনসমূহকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছে অতীতে। নির্বাচনে ধর্মপ্রাণ মানুষ, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে প্রভাবিত করতে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। আওয়ামী লীগ ও বামপন্থী কমিউনিস্ট-বিরোধী মনোভাব তীব্র করতে তাদের বক্তব্য কার্যকর ভূমিকা রাখে। বিএনপি-জামায়াতের এই কৌশল এবার ধরাশায়ী হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক, নির্বাচনী স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা আর সফল না-ও হতে পারে। সরকার, সরকারি দলের পাল্টা ব্যবস্থা এ ক্ষেত্রে বিএনপি-জামায়াতকে দুর্বল করে ফেলেছে।
নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠনের সমন্বয়ে পৃথক ইসলামি জোট গঠন করতে যাচ্ছে। দেশের বরেণ্য আলেম-ওলামাদের এতে সম্পৃক্ত করা হবে। ধর্মীয় সংগঠনগুলো এবং আলেম-ওলামাদের সংগঠিত করা, দেশব্যাপী তাদের কর্মতৎপরতা সম্প্রসারিত করা, নিজেদের মধ্যে সমন্বয় সাধনসহ প্রাসঙ্গিক কাজসমূহ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ধর্মীয় সংগঠনগুলোর কয়েকজনকে নিয়ে এই কমিটি হবে। এদের মাধ্যমেই অর্থ ব্যয় করা হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যয়, ধর্মীয় সংগঠন ও আলেম-ওলামাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ২০ কোটি টাকার তহবিল গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। এই অর্থ দিয়েই সংগঠন পরিচালিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারিভাবে এ ফান্ড গঠন করা হবে নাকি বেসরকারিভাবে ফান্ড গঠন ও অর্থ ব্যয় করা হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। সরকারের শীর্ষ পর্যায় ধর্মীয় নেতা, আলেম-ওলামা ও সংগঠনগুলোকে অনাকাক্সিক্ষত কোনো বিতর্কে ফেলতে চান না। তাদেরকে নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করতেও আগ্রহী নন। ধর্মের নামে মিথ্যাচার, অপপ্রচার বন্ধ করে প্রকৃত ধর্ম ব্যাখ্যা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও উন্নয়ন করা, জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচার-প্রচারণা, মানুষকে ধর্মান্ধতামুক্ত করে ধর্মপ্রাণ করে তুলতে চান উচ্চতর পর্যায়। এ সংগঠনটি সরকারিভাবে গড়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার প্রস্তাবও বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আরও কিছুদিন পরে।