ধর্ষিত হয়েছিলেন সিনেটর মার্থাও

ঠিকানা ডেস্ক : ধর্ষণের গুরুত্বর অভিযোগ এনেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর মার্থা ম্যাকস্যালি। বিমানবাহিনীতে দায়িত্ব পালনকালে তাকে শিকারে পরিণত করেন ওই বাহিনীর একজন সিনিয়র কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে তাকে ওই কর্মকর্তা ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ ম্যাকস্যালির। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

এতে বলা হয়েছে, সিনেটর মার্থা ম্যাকস্যালি সামরিক বাহিনীতে যৌন হয়রানির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট আর্মড সার্ভিসেস সাবকমিটিতে ৬ মার্চ বুধবার শুনানিতে বক্তব্য রাখছিলেন। তিনি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমানের প্রথম নারী পাইলট। আরিজোনা রাজ্য থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের সিনেটর তিনি। ওই শুনানিতে তিনি কেন ওই ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করেন নি বা রিপোর্ট করেন নি সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
তিনি বলেছেন, ধর্ষিত হওয়ার কারণে তিনি ভীষণ লজ্জিত ছিলেন এবং দ্বিধান্বিত ছিলেন।তিনি বলেন, অনেক বছর আমি এ বিষয়ে নীরব ছিলাম। কিন্তু আমার ক্যারিয়ারের শেষের দিকে, যখন দেখলাম স্ক্যান্ডাল জেঁকে ধরেছে সেনাবাহিনীকে এবং এসব কেলেঙ্কারিতে তারা পুরোপুরি অপর্যাপ্ত সাড়া দিচ্ছে, তখন আমার মনে হলো কিছু মানুষকে বিষয়টি জানানো দরকার। কিন্তু বিষয়টিতে অন্যদের জানানো নিয়ে আমি ছিলাম ভীতসঙ্কিত। বিমান বাহিনীতে সেবা দেয়ার পর আমি যেন আলাদা হয়ে পড়েছিলাম। অন্য অনেক ভিকটিমের মতো আমারও মনে হতো, সিস্টেমই যেন বার বার আমাকে ধর্ষণ করছে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীতে ২৬ বছর দায়িত্ব পালন করেন ম্যাকস্যালি। তিনি এ সময়ে কর্নেল পদে আসীন হন। ২০১০ সালে অবসরে যান। তারপর থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে দু’দফা নির্বাচিত হয়েছেন। গত বছর তিনি সিনেটর নির্বাচিত হন।
ম্যাকস্যালির এমন বক্তব্যের পর কমিটির ডেমক্রেট দলীয় শীর্ষ র‌্যাংকিং সিনেটর ক্রিস্টেন গিলিব্রান্ড বলেছেন, এমন বক্তব্যে তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।তবে যৌন নির্যাতনের শিকারে পরিণত হওয়ার বিষয়ে ম্যাকস্যালি এবারই প্রথম মুখ খুললেন এমন না। গত বছর তিনি যখন সিনেটর পদে নির্বাচন করছিলেন তখন ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে তিনি বলেছেন, তার বয়স যখন ১৭ বছর তখন তার হাইস্কুলের অ্যাথলেটিক কোচ তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন। এর আগেও তিনি অভিযোগ করেছেন, সেনাবাহিনীতে থাকা অবস্থায় যৌন নির্যাতনের শিকারে পরিণত হয়েছেন। জানুয়ারিতে আরেকজন নারী সিনেটর অভিযোগ করেছেন তিনিও ধর্ষিত হয়েছিলেন। তিনি হলেন সেনাবাহিনীর বর্ষীয়ান জোনি আর্নস্ট। তার অভিযোগ, যখন আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন তখন একজন বয়ফ্রেন্ড তাকে যৌন হয়রান করেন। আইওয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান দলের এই সিনেটর বলেছেন, তিনি ওই ঘটনা সম্পর্কে পুলিশে রিপোর্ট করেন নি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীতে যৌন হয়রানি বৃদ্ধি পায় শতকরা প্রায় ১০ ভাগ।