ধূমপান বর্জনের উপকারিতা

ঠিকানা রিপোর্ট: ধূমপান বর্জনের ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস পাওয়া ছাড়াও বুড়ো বয়সের অনেকগুলো অবশ্যম্ভাবী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অনেক সময় ধূমপান বর্জনের পর দৈহিক ওজন বৃদ্ধিকে অনেকেই ভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি সংক্রমণ হিসেবে জ্ঞান করে থাকেন। মানুষের এই ধারণা ভুল বলে ঘোষণা করা হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনের এক গবেষণা প্রতিবেদনে।
হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ধূমপান বর্জনের পর কোন ব্যক্তির শারীরিক ওজন বাড়লেও একজন ধূমপায়ীর তুলনায় তার হৃদরোগ বা অন্যান্য কারণে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি ৫০% হ্রাস পায়। এ প্রসঙ্গে গবেষণার সাথে সম্পৃক্ত না থাকা জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ বিশেষজ্ঞ ডঃ উইলিয়াম ডিটজ বলেন, ধূমপান বর্জনের পর ওজন বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে অনেকে অলীক ধারণা পোষণ করেন। মূলত ধূমপান বর্জনের পর ওজন বাড়লেও সামগ্রিকভাবে ধূমপান বর্জনকারীর স্বাস্থ্যগত উন্নতি সাধিত হয়।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন উক্ত গবেষণা প্রতিবেদনের পাশাপাশি ধূমপান বর্জনের সুফল বিষয়ক সুইডেনের এক গবেষণা প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে গবেষকগণ বলেছেন, ধূমপান বর্জনের ফলে ডায়াবেটিসে অকাল মৃত্যুর ঝুঁকিও হ্রাস পায়। গবেষকগণ বলেন, সিগারেটের নিকোটিন ক্ষুধাকে অবদমিত করে এবং মেটাবলিজমকে উস্কে দেয়। গবেষকগণ বলেন, অনেক ধূমপান বর্জনকারী ব্যায়াম বা শরীর চর্চা না করায় অতিরিক্ত খায় ও তাদের ওজন ১০ পাউন্ডের মত এবং অনেক ক্ষেত্রে আর বেশি বাড়ে। তবে ওজন বেশি বাড়া সাধারণত ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ এবং ডায়াবেটিসের ফলে রক্তে সুগারের স্তর বৃদ্ধি পায়। আর ডায়াবেটিসের ফলে, অন্ধত্ব, পেশী ক্ষতিগ্রস্ত, হার্ট ও কিডনীর অসুখ এবং রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘিœত হয়। প্রতি ২ বছর পর পর আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ২০ বা তার চেয়ে বেশি বয়সী ১ লাখ ৭০ হাজার পুরুষ/মহিলার উপর গবেষণাকার্য পরিচালনা করে থাকে। গবেষকগণ বলেন, ধূমপান ত্যাগের ৬ বছর পর ধূমপান বর্জনকারীদের ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২২% বৃদ্ধি পেয়েছিল।