ধূমপান বর্জনে করণীয়

ঠিকানা রিপোর্ট : ধূমপান বিষপান জেনেও অনেকেই এই বদ-অভ্যাস থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। কারণ তামাকজাত পণ্যের নিকোটিন মানুষকে মোহাবিষ্ট করে রাখে। এতদসত্ত্বেও সুস্থ জীবন যাপন করতে এবং দীর্ঘকাল বাঁচতে হলে যে কোন মূল্যে ধূমপান বর্জন করতেই হবে। ধূমপান বর্জনের সহায়ক কিছু উপায় এখানে বর্ণিত হল:
বেশি পরিমাণ পানি করতে হবে। পানি নিকোটিনের মোহমুক্তিতে খুব কাজে আসে। আবার ধূমপায়ীর দেহের অভ্যন্তরে নিকোটিনের মাত্রা কমতে থাকলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে সিগারেটের প্রতি আকর্ষণ ধীরে ধীরে কমে আসে এবং ধূমপান বর্জন সহজ হয়। আঙুরের রসও ধূমপান বর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখে। ধূমপান বর্জনে আদাও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। আদার অভ্যন্তরিণ উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে অবদমিত করে। নিয়মিত মরিচের গুঁড়া খেতে শুরু করলে ফুসফুসের সক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং ধূমপানের কারণে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়, তাও ধীরে ধীরে কমতে থাকে।
তবে ধূমপান বর্জনের ক্ষেত্রে চারিত্রিক দৃঢ়তাই সবচেয়ে কার্যকরী। ধূমপান বর্জনে গড়িমসি করলে আদৌ ধূমপান বর্জন সহজ হবেনা। তাই ধূমপান বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়া মাত্র তা যে কোন মূল্যে কার্যকর করার মানসিকতা গড়তে হবে।