ঠিকানা রিপোর্ট : ইনফ্ল্যাশন ও জ্বালানির দাম বাড়ার কারণে নিউইয়র্কে ক্রমাগত সব জিনিসের দাম বাড়ছে। এই বাড়তি চাপ সামাল দিতে গিয়ে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে। বেশির ভাগ মানুষ বাড়তি খরচ কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। চেষ্টা করছেন নানা খরচ কমানোর। অনেকেই খরচ চালাতে হিমশিম খাওয়ায় সংসারের বাজেট কাট করেছেন। বাজেট কাট এবং সাময়িক কেনাকাটা কমিয়ে লাগাম টানার চেষ্টাও কাজে আসছে না। একটার পর একটা খরচ বাড়ায় মধ্যবিত্ত শ্রেণির সমস্যাই বেশি। স্বল্প আয়ের মানুষ বিভিন্ন সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও মধ্যম আয়ের মানুষেরা চেষ্টা করছেন বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলানোর।
এই কঠিন অবস্থার মধ্যে ২০২৩ সালের শুরুতে খরচের খাতায় যোগ হতে পারে নিউইয়র্কে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে বাড়তি ভাড়া। বর্তমানে বাসে ও সাবওয়েতে সিঙ্গেল রাইডের ভাড়া হচ্ছে ২.৭৫ ডলার। এটি নতুন বছরের জানুয়ারি থেকে ৫.৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে এমটিএ। এতে করে ২.৭৫ ডলারের ভাড়া দাঁড়াবে ২.৯০ ডলার। শুরুতে ৪ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পরিকল্পনা থাকলেও এখন তা ৫.৫ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এমটিএ সর্বশেষ বাজেট প্ল্যানে এটি করে।
গত ৩০ নভেম্বর এমটিএর বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এমটিএ ২০২৩ সালের জন্য ৫.৫ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির পরিকল্পনা করে। এমটিএর সিইও জ্যানো লিবার বলেন, ২০২৩ সালের বাজেট পরিকল্পনায় রাইডারদের আরও বেশি অর্থ খরচ হবে। রাইডাররা এখন ২.৭৫ ডলার দেন, নতুন সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে রাইডপ্রতি ২.৯০ ডলার দিতে হবে। এমটিএর সিইও গণমাধ্যমকে বলেছেন, ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি এড়ানোর একমাত্র উপায় হলো ফেডারেল সরকার, গভর্নমেন্ট ক্যাথি হোকুল এবং মেয়র এরিক অ্যাডামসের সহায়তা।
২০২৩ সালের বাজেট অনুমোদিত হলে প্রকৃতপক্ষে জানা যাবে শেষ পর্যন্ত কত ভাড়া কোন কোন খাতে বাড়ছে। কারণ বাস, ট্রেন, ট্রানজিট এবং ব্রিজ-এন্ড-টানেল সব ভাড়া সমান হারে বাড়বে না। যখন বাজেট চূড়ান্ত হবে, তখন রাইডার এবং গাড়িচালকরা বিস্তারিত জানতে পারবেন। জানা গেছে, বাজেট অনুমোদনের পর এমটিএ ভাড়া, টোল বৃদ্ধির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। আর সেটি হলে ২০২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে তা কার্যকর হবে। তবে এর আগে ভাড়া নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় গণশুনানি হবে।