চট্টগ্রাম : নতুন করে সাজছে চট্টগ্রাম নগরী। এরই মধ্যে কিছু কিছু সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। বাকিগুলোর কাজও চলছে। সব শেষে নতুন রূপে দেখা যাবে নগরীকে। সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নান্দনিক এ কাজ করছে।
সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা জানান, নগরীর চেরাগী মোড় থেকে জামালখান মোড়, কাজীরদেউরি থেকে ইস্পাহানি মোড়, কোতোয়ালি থেকে লালদীঘি, কোতোয়ালি থেকে সদরঘাট, নিউমার্কেট এলাকা, টাইগারপাস মোড় থেকে ইস্পাহানি মোড় পর্যন্ত সবুজায়ন ও সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। এ ছাড়া গোলপাহাড় মোড় থেকে প্রবর্তক মোড়, চটেশ্বরী মোড়, ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন মোড়, টাইগারপাস থেকে দেওয়ানহাট ওভারব্রিজ ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়কসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় কাজ চলছে। এসব প্রকল্পে হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।
সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘নগরীকে ‘গ্রিন ও ক্লিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। এরই মধ্যে জামালখান, কাজীরদেউরি, আন্দরকিল্লা, প্রবর্তক মোড়, টাইগারপাসসহ নগরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প দৃশ্যমান হয়েছে। সড়ক ও ফুটপাথের উন্নয়নকাজও চলছে।’ চসিকের গৃহীত প্রকল্পের আওতায় এই পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কাজ হয়েছে জামালখান ওয়ার্ডে। এরই মধ্যে সেখানে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য ‘বরেণ্য বাঙালি’ শিরোনামের টাইলস ম্যুরাল স্থাপন করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও প্রীতিলতাসহ দেশবরেণ্য ২০ ব্যক্তির প্রতিকৃতি এবং উদ্ধৃতি স্থান পেয়েছে সেখানে। এ বিষয়ে শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য বলেন, ‘এ উদ্যোগে আমি যে ভূমিকা রাখতে পারছি, এটা গৌরবের। এ ক্ষেত্রে আমার শিল্পী মন ও আবেগটাই বেশি কাজ করেছে।’
নান্দনিক স্থাপত্যশৈলীতে সাজানো হচ্ছে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর সড়ক। শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে সড়কে উঠতেই আগন্তুকরা দেখা পাবেন অপরূপ সৌন্দর্যের পাহাড়, নদী আর সমুদ্রঘেরা চট্টগ্রামের। চসিকের অধীনে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে নেভাল একাডেমি সড়ক অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। নগরীর সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের মধ্যে এটিই বৃহৎ।