ব্রাহ্মণবাড়িয়া : গত ১৯ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের ছাদ থেকে নবজাতককে ছুঁড়ে ফেলে সীমা আক্তার (২৫) নামে এক মা আত্মহত্যা করেছেন। সকাল পৌনে ৯টায শহরের পুরাতন জেলরোডস্থ দ্য ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সীমা সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা ফুলচং গ্রামের লেবানন প্রবাসী মনির মিয়ার স্ত্রী। এক বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১৬ অক্টোবর বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে সীমা জেলরোডের লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ৩০২ নম্বর বেডে ভর্তি হন। এ দিন সন্ধ্যায় সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন সীমা। গত ১৯ অক্টোবর সকাল ১০টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার কথা। বিল পরিশোধ নিয়ে গত ১৮ অক্টোবর রাত থেকে তাকে উদ্বিগ্ন দেখাচ্ছিল। বিল নিয়ে তার মা রেহেনা বেগমের সঙ্গে তর্কাতর্কিও হয়। সকাল পৌনে ৯টায় রহস্যজনকভাবে লাইফ কেয়ার হাসপাতালের পাশের ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালের ছাদ থেকে সীমা প্রথমে তার চার দিন বয়সী নবজাতককে ছুঁড়ে ফেলে দেন। এরপর তিনি নিজেও নিচে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেন। কিভাবে তিনি লাইফ কেয়ার হাসপাতাল থেকে ল্যাব এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্পেশালাইজড হাসপাতালে পৌঁছলেন সেটি পরিষ্কার নয়। হাসপাতালে উপস্থিত সীমার মা রেহানা বেগম এ বিষয়ে স্পষ্টভাবে কিছু বলতে পারেননি। কী কারণে তার মেয়ে নবজাতককে নিয়ে লাফিয়ে পড়েছেন সে বিষয়েও তিনি তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ১নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) উসমান গণি বলেন, স্বামীর সঙ্গে সীমার কোনো বিষয়ে কলহ চলছিল কি না সেটি আমরা এখনো জানতে পারিনি। কী কারণে তিনি ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েছেন সেটিও স্পষ্ট নয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম উদ্দিন জানান, প্রকৃত কারণ উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।