ঠিকানা রিপোর্ট : বর্ণাঢ্য ও জমকালো আয়োজনে অভিষিক্ত হলেন প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক সংগঠন নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির (২০২২-২০২৪) কর্মকর্তারা। এ উপলক্ষে গত ১৮ জুন রোববার সন্ধ্যায় উডসাইডের গুলশান টেরেসে অভিষেক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিপুলসংখ্যক নবাবগঞ্জবাসী ও বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজনেরা দলমত নির্বিশেষে উপস্থিত ছিলেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মূলধারার রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস আহমেদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন সংগঠনের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট রাজনীতিক গিয়াস উদ্দিন।
বিশেষ অতিথি হিসাবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন – বাংলাদেশ সোসাইটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফখরুল আলম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক ট্রাস্টি কাজী আজহারুল হক মিলন, বাংলাদেশি আমেরিকান সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী আমিন, ঢাকা জেলা অ্যাসোসিয়েশনের অন্যতম নেতা ও রাজনীতিক এম. বাসেত রহমান, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ছিল নতুন কমিটির শপথগ্রহণ এবং শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অভিষেক কমিটির আহ্বায়ক গোলাম এস. হায়দার মুকুটের সভাপতিত্বে অভিষেক অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির কর্মকর্তারা শপথ নেন। তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনসুর আলম। শপথ নেয়ার পর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ উজ্জ্বল বিপুল। পরিচালনা করেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক আসাদ জামান।
পুরো অনুষ্ঠান যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জনপ্রিয় উপস্থাপক ও সংস্কৃতিকর্মী মৃদুল আহমেদ। তাকে সহযোগিতা করেন অভিষেক অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব গণেশ কীর্ত্তনীয়া ও সমন্বয়কারী তানভীর করিম।
এ পর্বে অনুষ্ঠানের অতিথি ও নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা সংগঠনের বিভিন্ন দিক, বিশেষ করে সংগঠনকে গতিশীল ও কল্যাণমুখী করতে আলোচনা ও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ বলেন, ঢাকা জেলার ঐতিহ্যবাহী উপজেলা নবাবগঞ্জ। এই উপজেলার অনেক ইতিহাস ও ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ইতিহাস ও ঐতিহ্য প্রবাসে নতুন প্রজন্মের মাঝে তুলে ধরতে হবে। নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনকে কল্যাণমুখী কাজে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উজ্জ্বল বিপুল নবাবগঞ্জ অ্যাসোসিয়েশনকে এগিয়ে নিতে সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। অনুষ্ঠান সফল করায় তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করেন কৃষ্ণা তিথি, সেলিম ইব্রাহিম, রায়ান তাজ, প্রমি তাজ প্রমুখ।
অভিষিক্তরা হলেন- সভাপতি মোহাম্মদ উজ্জ্বল বিপুল, সাধারণ সম্পাদক আসাদ জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি, গোলাম এন হায়দার মুকুট, সহ-সভাপতি মো. আব্দুল মালেক, তানভীর এ মিলন, মো. ইউসুফ বিজু, সোহেলা পারভীন বেবি, আব্দুর রশীদ বাবু, মজিবর রহমান বাবু ও রুবেল চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণেশ কীর্ত্তনীয়া, সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম জিয়াউদ্দিন মুনিজ, গোলাম খান লিপন ও মেহেদী হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসহাক মিয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ জামান, কোষাধ্যক্ষ শফিক খান, নারী বিষয়ক সম্পাদক শিল্পী রানী মন্ডল, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক শাওন ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক মোয়াজাদ্দিন হোসেন খান নয়ন, দপ্তর সম্পাদক ইব্রাহিম খান, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মিঠু মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক মো. ওয়াজেদ মিয়া, আন্তরাষ্ট্রবিষয়ক সম্পাদক নেছার আহমেদ, সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মো. লিটন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কার্যনির্বাহী সম্পাদক গিয়াস উদ্দিস, সেলিম ইব্রাহিম, মো. মিলন মোল্লা, ইসরাত জাহান, নাসিম খান, মানিক ওয়াদুদ, মো. আলী. মো. শামীম আহমেদ, নিরঞ্জন শীল, আবুল কালাম কিরণ ও তানভীর করিম।
উপদেষ্টামণ্ডলী- প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মদ মনসুর আলম, উপদেষ্টা আব্দুস সাত্তার খান, হাজী শহীদুল ইসলাম, বদরুল ইসলাম খান, আমিন মেহেদী, মনিরুজ্জামান মনির, বদরুল দেওয়ান, আব্দুল কাইয়ুম, এম রহমান সাচ্চু, এস মিয়া তাওহীদ, বখতিয়ার খোকন, হাবিবুৃর রহমান ও মো. মাসুদ শাহ।