নরসিংদীতে বিএনপি নেতা খায়রুল কবীর খোকনের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। ২৬ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত নয়টার দিকে শহরের চিনিশপুর এলাকার বাসভবনে আগুন দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণার পর এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, অগ্নিসংযোগের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত নয়টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মশাল মিছিল নিয়ে চিনিশপুর এলাকায় খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবন তথা জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাসভবনের নিচতলার জানালার গ্লাস ভেঙে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে নরসিংদী দমকল বাহিনীর সদস্যরা আধা ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে বাসভবনের জানালা, গ্লাস ও চেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মনজুর এলাহী। এ সময় তিনি খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবনে আগুনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। মনজুর এলাহী বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। বৃহস্পতিবার জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দলীয় কোন্দলের জেরে এই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে কি না, সেটিও উড়িয়ে দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খায়রুল কবীর খোকনের বাসভবনের কেয়ারটেকার কাজল মিয়া বলেন, ‘একদল দুর্বৃত্ত মশাল মিছিল নিয়ে বাসভবনে ঢুকে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের চিনতে পারিনি। এ সময় আমাকে সামনে পেলে মারধর করতে পারে এমন আশঙ্কায় লুকিয়ে ছিলাম।’

নরসিংদী দমকল বাহিনীর সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল মান্নান আনসারী বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।’

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, ‘কে বা কারা আগুন দিয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ঘটনা তদন্ত করে জানা যাবে এ ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত।’

ঠিকানা/এনআই