নারায়ণগঞ্জে বিএনপির মিছিলে গুলি করা সেই ডিবি কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : নারায়ণগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষে চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মাহফুজুর রহমান কনককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা গোয়েন্দা শাখা থেকে তাকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক ফখরুদ্দিন ভুইয়া। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার পরপরই তাকে গোয়েন্দা শাখা থেকে প্রত্যাহার করা হয়।

জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক কনকের বিষয়ে নানা গুঞ্জন চলছিল। তবে সেসবের কোনো সত্যতা পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে জেলা পুলিশের একাধিক সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না।

গত ১ সেপ্টেম্বর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক বিএনপির সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ চলার সময় একটি চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়েন। যার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয় সর্বত্র। তবে সেই রাইফেলটি তার নামে ইস্যু করা নয় বলে জানায় পুলিশের একটি সূত্র। অন্য এক পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে থাকা রাইফেলটি নিয়ে নিজেই গুলি লোড করে ছোড়েন বিএনপির বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের দিকে।

বিএনপির নেতারা বলছেন, চায়নিজ রাইফেলের ছোড়া গুলিতেই মারা গেছেন যুবদল কর্মী শাওন। কারণ তার দেহের অন্য কোথাও ছররা গুলির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

গত ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র‍্যালিতে বাধা প্রদানকে কেন্দ্র করে সংঘাত শুরু হয় পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে। এতে বিএনপির নেতাকর্মী, সাংবাদিক, পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হন। নিহত হন যুবদল কর্মী শাওন প্রধান। বিএনপির নেতাকর্মীদের দাবি, পুলিশের ছোড়া গুলিতেই নিহত হন শাওন। এ ঘটনায় শাওনের ভাই মিলন পাঁচ হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা দায়ের করলেও আরেক ভাই ফরহাদ দাবি করেছেন, তারা কোনো মামলা দায়ের করেননি।

শাওনের মৃত্যুর পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং গণমাধ্যমে উঠে আসে উপপরিদর্শক মাহফুজের চায়নিজ রাইফেল থেকে গুলি ছোড়ার দৃশ্য। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গন। তার নামে রাইফেল ইস্যু করা না থাকলেও কীভাবে তিনি গুলি ছোড়ার অনুমতি পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে।

ঠিকানা/এনআই