
ঠিকানা রিপোর্ট : বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গার নামে নিউইয়র্কে বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশিরাই এসব উদ্যোগ নিচ্ছেন এবং সফল হচ্ছেন। তাদের সহায়তা করছে কমিউনিটি বোর্ড ও নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিল। নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে বাংলাবাজার ওয়ে নামে প্রথম রাস্তার নামকরণ হয়েছিল ২০০৮ সালে। সে সময় ব্রঙ্কসের স্টার্লিং অ্যাভিনিউয়ের নামকরণ করা হয়েছিল বাংলাবাজার ওয়ে। গত বছর জ্যামাইকায় হয়েছে বাংলাদেশ ওয়ে এবং এখন জ্যাকসন হাইটসে হলো বাংলাদেশ স্ট্রিট। আস্তে আস্তে এর সংখ্যা বাড়ছে। আগামী দিনে তা আরও বাড়াতে বাংলাদেশি কমিউনিটি কাজ করছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে কমিউনিটি নেতা মোহাম্মদ এন মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের বাংলাবাজারের নামে ২০০৮ সালে প্রথম ব্রঙ্কসে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছিল বাংলাবাজার ওয়ে। রাস্তাটির পূর্ব নাম ছিল স্টার্লিং অ্যাভিনিউ। ওই সময়ে বাংলাবাজার নামকরণের প্রস্তাব করেছিলেন তখনকার কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার নুরুল ইয়াহিয়া। তিনি বাংলাদেশ সোসাইট ব্রঙ্কসের সভাপতি ছিলেন তখন। তার সঙ্গে গিয়াস উদ্দিন, আব্দুস শহিদসহ বিভিন্ন ব্যক্তি জড়িত ছিলেন।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ব্রঙ্কসে যখন ‘বাংলাবাজার’ নামকরণ করা হয়, তখন সেখানে দুইশ বাংলাদেশিও ছিলেন না। কিন্তু জ্যাকসন হাইটসে বাংলাদেশিরা অনেক আগে থেকেই অর্থাৎ এখানে আসার পর থেকে সব সময়ই আছেন। তারা অনেক দেরিতে এটা করলেন। আমার প্রশ্ন, কেন তারা আরও আগে করতে পারলেন না। তার পরও বলব, দেরিতে হলেও এটা অবশ্যই সফল উদ্যোগ।
রাস্তার নামকরণের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি কেউ কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান কিংবা নিজের নামে রাস্তার নামকরণ করতে চান, তাহলে নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে তার ১০ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ব্রঙ্কসে বেশ কয়েকটি রাস্তা পুলিশ অফিসারদের নামে হয়েছে। এ ছাড়া কেউ যদি কমিউনিটি বোর্ডে ১০ বছর দায়িত্ব পালন করেন, তার নামেও রাস্তার নামকরণ করা যায়। এ জন্য আগে কমিউনিটি বোর্ডের কাছে সবকিছু দিয়ে প্রস্তাব দিতে হবে। পরে তা পাস করাতে হবে। এরপর সিটি কাউন্সিলের বিষয়টি আসবে। সেখানে পাস করানোর জন্য স্থানীয় সিটি কাউন্সিলর কাজ করবেন। ব্রঙ্কসের বাংলাবাজার ওয়ের নামকরণ করতে কাজ করেন সিটি কাউন্সিলর অ্যানাবেল পালমা। তিনি এখন নিউইয়র্ক সিটির একটি কমিশনের কমিশনার ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।