
সায়েরা সুলতানা রেজা। সংগীত জগতে পরিচিতি সায়েরা রেজা নামেই। সংগীত ক্যারিয়ার ২৫ বছরের। ১০ বছর বয়স থেকেই গানে হাতেখড়ি কিংবদন্তী শিল্পী নীনা হামিদ, পিলু মমতাজ এবং ওস্তাদ সমীর চক্রবর্তীর কাছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংগীতশিক্ষা নিয়েছেন, আব্বাসউদ্দিন একাডেমি ও দিনা লায়লা মিউজিক একাডেমি থেকে। রপ্ত করেছেন উচ্চাঙ্গ, লালন, রবীন্দ্র,আধুনিক, ফোক, সুফী, পপসহ সংগীতের নানা শাখা। বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভির তালিকাভুক্ত শিল্পী ছাড়াও চলচ্চিত্রেও প্লেব্যাক করে থাকেন তিনি। অডিওতে রয়েছে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যালবাম। তার কণ্ঠে রয়েছে অন্যরকম মাদকতা। তার এই অসাধারণ সুরেলা কণ্ঠ দিয়েই জয় করেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয়। স্বামী,সন্তান নিয়ে তিনি বসোবাস করছেন আমেরিকার নিউইর্য়কে।
দীর্ঘ প্রবাস জীবনের চাকচিক্যে থেকেও বাংলার মা, মাটি মানুষকে ভুলে যাননি। নিয়ত নিয়োজিত রয়েছেন বাংলা গানের মূল শেকড় নিয়ে। আমেরিকায় নিজ ফ্ল্যাটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে রয়েছে তার হোম থিয়েটার স্টুডিও। যেখানে গানের আসর বসে মাঝেমধ্যেই। সেখানে আমন্ত্রিত হন নানা শ্রেনীর নামিদামি মানুষ। এক উন্মাতালে আবহে তিনি গেয়ে চলেন তার হৃদয় নিংড়ানো সব গান। আমেরিকার বাঙালি কমিউনিটিতে তিনি সবার প্রিয় একজন হয়ে উঠেছেন অনেক আগেই।
আমেরিকারবাসীর কাছেও একজন পছন্দের শিল্পী তিনি। লন্ডন, বার্মিংহাম, সুইনডন, ব্রিগটন, পেরিস, ব্রাসেলস, ব্যাঙ্কক, ফ্লোরিডা, নিউইয়র্ক, নিউজার্সিসহ যেখানেই তিনি স্টেজ পারফর্ম করেছেন সেখানেই প্রিয় একজন হয়ে উঠেছেন। ভক্তরা প্রশংসার তীব্র তীর ছুড়েছেন সায়েরা রেজার প্রতি। বাংলাদেশ ও বাংলা গানকে ধ্যান-জ্ঞান করে সংগীতের সাথে মিশে আছেন তিনি। সায়েরা রেজার একমাত্র স্বপ্ন বাংলা গানকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা। কারণ, তিনি মনে করেন বাংলার মতো এত শেকড় সন্ধানী গান পৃথিবীর খুব কম দেশেই আছে। তার জনপ্রিয় অ্যালবামগুলোর মধ্যে অগ্নিবীনার ব্যানারে ‘সুখের অমিল’, লেজারভিশনের ব্যানারে ‘এক নিশিথে’ এবং গানচিলের ব্যানারে ‘আরবান ফোক’ অন্যতম। কমনজেন্ডার ছবিতে তার গাওয়া ‘ওরে সোনা’ গানটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। ইউটিউবসহ সোসাল মিডিয়ায় সায়েরা রেজার গানের ভিউয়ার্স কয়েক কোটি। তার গাওয়া জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে ধার ধারিনা, হলুদিয়া পাখি, ওরে সোনা, বাড়ির কাছে আরশীনগর, মান ভাঙ্গাবো বন্ধুরে আজ, তুই যদি আমার হইতিরে, না না না তা হবে না,এক নিশিথে, দে দে পাল তুলে দে মাঝি হেলা করিস না এবং মনে করি আসাম যাব, আসাম গেলে তোমায় পাব ইত্যাদি।