নিউইয়র্ক : সাহিত্য একাডেমিতে শান্তির দ্বিতীয় আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৭ এপ্রিল বিকেলে। ওই দিনটিতে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। ছিল মাসের শেষ শুক্রবার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আহমেদ হোসেইন লিখেছেন, দিনটির জন্য মন অপেক্ষায় থাকে, পরান প্রহর গুনতে থাকে মধুময় দিনটির জন্য। অবশেষে এলো কাক্সিক্ষত সাতাশে এপ্রিলের বিকেল! আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে রওনা দিলাম আসরে।
শান্তির জন্য এটি দ্বিতীয় আসর, আর ওর মার জন্য প্রথম। শান্তি স্কুল থেকে ঘরে ফিরেই বারবার ঘড়ির দিকে চোখ। এরিমধ্যে বার কয়েক জানতে চেয়েছে কখন আমরা সাহিত্য আসরে যাবো?
ঘরে তখন সাজ-সাজ রব! একদিকে ওর মা সাজে, অন্যদিকে মেয়ে! আমার প্রিয় পোশাাক পাজামা-পাঞ্জাবি আজ পরতে পারবো, ভেবেই মনটা আনন্দে নেচে-গেয়ে ঘরময় ছুটোছুটি !
ছাতা না নিয়েই বাইরে বেরুলাম। বারান্দায় দাঁড়িয়ে মেঘলা আকাশটা দেখে নিলাম আরো একবার।
ফেসবুকে তিনি আরো লেখেন, ‘এমন দিনেই শুধু তারে বলা যায় …’ মনে হলো তাঁর কথা। কবি গুরুর প্রতি হৃদয় অবনত হলো আবারো !
খোলা আকাশে নেমে মুখটা ঊর্র্ধ্বগগনে আরো একবার। বিন্দু বিন্দু বৃষ্টির কণাগুলো ছুঁয়ে গেল আমার চোখের পাতা! সৃষ্টিকর্তার কথাও হলো মনে, সেজদায় আবারও মাথা হলো নত!
তিনি লিখেছেন, মেয়ে আবারো তাগাদা দিয়ে ওঠে- বাবা তাড়াতাড়ি করো।
অবশেষে তাড়াতাড়ি করেই জ্যাকসন হাইট্স এর বাংলাদেশ প্লাজার প্রাণের আসরে! সাহিত্য একাডেমিতে শান্তি সবচেয়ে ছোট খুদে কবি!
সবার আদরের চোখের মনি ! এরিমধ্যে ওর কবিতা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। এমন একটি অসাধারণ জায়গাতে শান্তির কবিতা পড়ার সুযোগ করে দেয়াতে সংশ্লিষ্ট আয়োজকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
শান্তির ওহংরফব গব কবিতা আবারো মুগ্ধ করলো সকলকে। করতালির শব্দে হৃদয় ভরে উঠলো আমারও!
এভাবেই কবিতা-ছড়া-আবৃত্তিতে সংগঠনের পরিচালক মোশাররফ হোসেনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনে মুখরিত হলো হলরুমটি!
কবি পলি শাহিনার বর্র্ণনায় এবং কবি উইলি মুক্তির ফটোগ্রাফিতে (সংযুক্ত ছবিগুলি তারই ক্যামেরার) অনুষ্ঠানমালার বিভিন্ন কার্যক্রমের দারুণ একটি চিত্র আপনারা ইতিমধ্যেই পেয়েছেন।
এই অসাধারণ কাজের জন্য তাঁদেরকে আবারো আন্তরিক অভিনন্দন !
জয় হোক কবিতার মাসের!
জয় হোক কবিতার!
জয় হোক সাহিত্য একাডেমির!