ঠিকানা রিপোর্ট: গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাইমারি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্ক সিটির এই নির্বাচনে গভর্নর, লুথরেন গভর্নামেন্ট, এটর্নী জেনারেল, ৬৩টি স্টেট সিনেট এবং ১৫০টি এ্যাসেম্বলীম্যান পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এটি ছিলো নিউইয়র্ক সিটির সবচেয়ে বড় নির্বাচন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক ছিলো নির্বাচনের সিটি। সিটির প্রতিটি স্কুলে দিনব্যাপী ভোট গ্রহণ করা হয়। এ নির্বাচনের প্রতিটি পদেই প্রায় প্রত্যাশিত ফলাফলের প্রতিফলন ঘটে। তবে সবচেয়ে বড় অঘটন হচ্ছে জ্যাকসন হাইটস এলাকার স্টেট সিনেটর হোজে প্যারাল্টার পরাজয়। তাকে পরাজিত করেন নবগত জেসিকা রামোস। বাংলাদেশীদের বন্ধু হিসাবে পরিচিত এবং দক্ষিণ এশিয়ান প্রার্থী দীর্ঘদিন পর নির্বাচনে আ্সা জন ল্যুও জয়লাভ করেছেন। এই নির্বাচনে গভর্নর পদে এন্ড্রু কুমো, লুথরেন গভর্নর পদে ক্যাথি হুসাল, এটর্নী জেনারেল পদে ল্যাটিশিয়া জেমস জয় লাভ করেছেন। এই নির্বাচনে বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মত। বাংলাদেশীরা যাদের জন্য কাজ করেছেন তাদের মধ্যে জয় লাভ করেছেন স্টেট সিনেট পদে জেসিকা রামোস, জন ল্যু, লুইস স্যাপুলভেদা এবং এ্যাসেম্বলীম্যান পদে ডেভিড উইপ্রিন এলিসিয়া হাইডম্যান, মাইকেল ডেনডেকার, ব্র্য়ান ব্রাণওয়েল ও ক্যাটেলিনা ক্রুজ।
নির্বাচনে জয়লাভ করার পর গভর্নর এন্ড্রু কুমো, ক্যাথি ও ল্যাটিশিয়া জেমস নিউইয়র্কবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাদের নির্বাচিত করার জন্য। কুমো বলেন, নিউইয়র্ক সিটি হচ্ছে আমেরিকার মধ্যে সেরা সিটি। এই সিটির উন্নয়নে আমি কাজ করে যাবো।
ল্যাটিশিয়া জেমস বলেন, নিউইয়র্ক সিটির মানুষ প্রমাণ করেছে ধর্ম, বর্ণ কোন ব্যাপর নয়। তাদের কাছে বড় হচ্ছে মানবতা। যে কারণে তারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন।
এ্যাসেম্বলীম্যান ব্রায়ন ব্রার্ণওয়েলও বাংলাদেশীসহ তার সকল ভোটার এবং সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাকে পুনরায় নির্বাচিত করে তাদের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য।
গভর্নর পদে বর্তমান গভর্নর এন্ড্রু কুমো ৯৭৮১৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬৫.৬% পার্সেন্ট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সিনথিয়া নিক্সন পেয়েছেন ৫১২৫৮৫ ভোট (৩৪.৪%)। এ পদে রিপাবলিকান প্রার্থী হিসাবে জয়লাভ করেছেন মার্কো মালিনারো।
লুথরেন গভর্নর পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছেন ক্যাথি হুসাল। তিনি ভোট পেয়েছেন ৭৩৩৫৯১ (৫৩.৩%)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ডি উইলিয়ামস পেয়েছেন ৬৪১৬৩১ (৪৬.৭%) ভোট। এ পদে রিপাবলিকান প্রার্থী জুলি কিলন।
এটর্নী জেনারেল পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান পাবলিক এডভোকেট ল্যাটিশিয়া জেমস। তিনি ভোট পেয়েছেন ৫৭৯৩৮২ (৪০.৬%)। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জিপাট পেয়েছেন ৪৪২৭৩৩ (৩১%)। এই পদে তৃতীয় হয়েছেন সেন প্যাট্রিক ম্যালোনি। তিনি পেয়েছেন ৩৫৭৬৬৫ (২৫%)। চুতর্থ হয়েছেন লিসিয়া ইভ। তিনি পেয়েছেন ৪৮৬৩৮ (৪.৪%)। এই পদেই সর্বাধিক ডেমক্র্যাট প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ পদে রিপাবলিকান প্রার্থী ক্যাথি ওয়াড্রফ।
অন্যান্যের মধ্যে স্টেট সিনেটে ডেমক্র্যাটিক পার্টি থেকে যারা জয়লাভ করেছেন (ড্রিস্ট্রিক্ট ক্রমানুসারে, ১ থেকে শুরু) তারা হলেন- জর্জে জন ফ্রেসার, ক্যাথলিন ক্লারি, মনিকা মার্টিনেজ, লুইস ডিমারো, জেমস গোথারেন, ক্যাভিন টমাস, এ্যানা ক্যাপলান, জন ব্রকস, টেড কামেস্কি, জেমস সেন্ড্রার্স, জন ল্যু, মাইকেল জিনারিস, জেসিকা রামোস, লরি কমরি, জোসেফ এ্যাডাবো, টবি এ্যান স্টাভিস্কি, সিমসা ফেল্ডার, জুলিয়া সালাজার, রোকসানি প্রিসুধ, জেলোনোর মারি, ক্যাভিন পার্কার, এন্ড্রু গুনাড্রেস, ডিনি সালভানো, ভিলমান্টি মন্টিগোমি, ব্রায়ান ক্যাভেঞ্জ, ব্রেড হোলম্যান, লিজ ক্রুজার, জো এম সিরানো, ব্রায়ান ব্যাঞ্জামিন, রাবার্ট জ্যাকসন, লুইস সুপারবাদা, গোস্টাবো র্যাভেরা, এ্যালেসান্ড্রা বাগি, এন্ড্রিয়া স্টুয়ার্ট, স্যালি মায়ার, ডেভিড কালুর্স, জেমস স্কোফি, পিটার হার্কহ্যাম, ক্যারন স্মিথ, জেন মার্টিঞ্জার, আর্নো গ্লাড, নিল বার্সিলিন, এ্যামিলি মার্টেজ, পিট স্ট্রং, মাইকহিলো অস্টারিস, জন ম্যাননি, জেসি এস জর্জ, রিচ্যাল মে, ক্যান বলড্রিজি, জেন লুনফোর্ড, জিমি ক্যানি, আমান্ডা কিসিঞ্জার, কার্মা ই বেলারি, জন সিয়ামেস, টিমোথি কেনেডি।
ডেমক্র্যাটিক পার্টির এ্যাসেম্বলীম্যান পদে যারা জয়লাভ করেছেন তারা হলেন- ফ্রেড থিলি, রোনা স্মিথ, কø্যাডি পার্কার, স্টিভেন এ্যাংলিবাইড, টিমোথি হল, ফিলিপ রামোস, টমাস ম্যারি, ডেভিড মরিসে, ক্রিস্টিনি পিলিগিনো, স্টিভ স্ট্রার্ন, ক্যাম্বিলিলি জন প্যারি, মাইকেল মার্ককন্টিনো, ক্লার্স ল্যাভিন, মাইকল রিড, এ্যালেন পলি, এ্যান্থনি ডি-ইউসো, ক্যাভার্লি ¯েœা, টেইলর রেনোর, ইউলিয়াম ক্যার, জন ভিডিস, জুডি গ্রিফিন, মাইকেল স্লোজেস, স্টেসি পি আমাটো, ডেভিড ইউপ্রিন, নীল রোজিখ, এ্যাডওয়ার্ড ব্রাস্ট্রাইন, ড্যানিয়েল রোজনেথেল, এন্ড্রু হ্যাভিসি, এলিসিয়া হাইডম্যান, বার্ন বার্নওয়েল, মাইকেল টিটোস, ভিভিয়ান ক্লার্ক, ক্ল্যাডি ভ্যানেল, মাইকেল ডেনডেকার, জেফার্নো অব্রি, আরভেলা সিমোটাস, ক্যাথরিনি নোলান, মাইকেল মিলার, ক্যাটেলিনা ক্রুজ, রন কিম, হ্যালেনি ইউস্টিন, রোডেন্সি বিচোটি, ডিনা রিচার্সন, রাবার্ট কার্লোল, স্টিভেন ক্যাম্বোটিজ, ইউলিয়াম ক্লোটন, সিমসিয়া এরিখস্টাইন, পিটার আবার্টি, জোসেফ লিন্টোল, ফ্লিক্স ওটিজ, জো এ্যানি সিমন, মার্টিজা ডেভিলা, এরিখ ডিলান, ল্যাট্রিক ওয়ার্কার, টার্মানি ওয়েট, ওয়ালটার মোসলি, নিক প্যারি, জেমি উইলিয়ামস, কøার্স ব্রানো, ক্লার্স ফল, মাইকেল কুসিক, এডাম বুমেল, ইয়া লি নিউ, ডিব্রোথ গিল্ক, লিন্ডা রোচনাথেল, রবার্ট রডরিগার্স, ড্যানিয়েল ও. ড্যানিয়েল, ইনেজ ডিকিন্স, এ টেইলর, কারম্যান ডি রোসা, ড্যান কোয়ার্ট, হ্যারভে ইফস্টাইন, রিচার্ড গ্যাফ্রিডি, ল্যাটায়া জেনার, হোজে র্যাভেরা, মাইকল ব্ল্যাক, ন্যাথেনিয়া ফার্নান্ডেজ, জ্যাফরি ডিনইউজ, মাইকেল ভেনেডিটো, ক্লার্ল হিস্টি, ক্যারম্যান এ্যারো, মার্কোস ক্রিসপো, ভিক্টর প্রিসিডিও, কার্নিস রেইস, এ্যামি পলিন, জে গ্যারি প্রেট্রো, নাদের সেগেথ, স্টিভেন ওটিজ, থমাস অবন্তি, ডেভিড ব্রসওয়ার্ড, ভেডেট গাসি, সেন্ড্রা গিলফ, ক্যানেথ জোবিস্কি, এ্যালেন জ্যাফি, স্কট মার্টেন্স, ম্যাথুউ র্যাটিজ, এ্যালেন গ্রোথার, এ্যাডিন ও কর্নার, ক্যাভিন চিল, জনথন জ্যাকবসন, ল্যুরেথ গ্রিডানো, ডিডি ব্যরিট, টিসট্রে হ্যাকথিন, জন ম্যাকডোনাল্ড, প্যাট্রিকা ফে, ফিলিপ স্টিক, এ্যাঞ্জোলো সান্তবারবারা, ক্যারি ওয়ার্নার, ভ্যালি জোন্স, এ্যাডি জেইন, ক্যাথি রুবিও, মার্নি বুসটানো, গিল টোস, ভিল ম্যাগি, ডোনা লুফারডো, বিল বার্টরনি, বারবারা লিপটন, ক্যাথি ব্যাটম্যান, আলবার্ট স্ট্রিপ, পালমা হান্টার, উইলিয়াম ম্যাকনার্ল, স্টক কোমিজ, বারবারা বে, এন্ড্রু গিলক্রিস্ট, জেমি রেমো, ডেভিট গ্র্যান্ট, হ্যারি ব্রুসন, রবিন সিসিমগার, ক্রিস্টাল পিপলস, প্যাট্রিক ব্রুক, মনিকা ওয়ালস, জোসেফ ডি পাসকুয়েল, ক্যারন ম্যাকমাথন, লুক ওয়াস্কি, সেন রেইন ও জুডিথ ইনস।