নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির বিক্ষোভ

ঠিকানা রিপোর্ট : বর্তমান নব্য স্বৈরচারি সরকারের ফরমায়েসি মামলার রায় কেউ মেনে নেবেন না। সরকার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় রায়ে তারেক রহমানকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাজা দিয়েছে। এসব মামলা ও রায় ধুলিসাত হয়ে যাবে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের সরকার অধিষ্ঠিত হলেই। আর এমন সরকারের জন্যে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত। নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ সব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল লতিফ স¤্রাট।
গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে ডাইভার্সিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন আব্দুল লতিফ স¤্রাট। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক আন্তর্জাতিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতনের কবর রচিত হবে।’
বিশেষ অতিথি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল বলেন, ‘জনরোষে উচ্ছেদ হবে জুলুমবাজ সরকার এবং এরপরই বীরের বেশে লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরবেন বিএনপির অবিসংবাদিত নেতা তারেক রহমান।’
সমাবেশে যুবদলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন বলেন, ‘১/১১ পরবর্তী সময়ের চেতনায় প্রবাসীরা আজ ঐক্যবদ্ধ। কেয়ারটেকার সরকারের দাবি আদায়ের চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে মুক্ত করার পূর্বশর্ত হিসেবে।’
যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন বলেন, ‘বাংলাদেশে সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ। প্রবাস থেকে আমরাও সে আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের বলেন, ‘অত্যাচার-নির্যাতনে বাংলাদেশের মানুষ অতীষ্ঠ। তারা মুক্তি চান। বাংলাদেশের গণতন্ত্র আজ নব্য স্বৈরাচারের কাছে জিম্মি। এ অবস্থায় নব্বইয়ের স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনের ন্যায় আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটাতে হবে দুর্বার কর্মসূচির মধ্য দিয়ে।’
নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মাহফুজুল মাওলা নান্নুর সভাপতিত্বে এ সমাবেশ পরিচালনা করেন সহ-সভাপতি সোহরাব হোসেন।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সাধারণ সম্পাদক কাওসার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয়তাবাদি ফোরামের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি ড. নূরল আমিন পলাশ এবং নাসিম আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সেক্রেটারি মাজহারুল ইসলাম জনি, ব্রুকলীন বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি হুমায়ূন কবীর এবং সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির সোহরাওয়ার্দি, ওরল্যান্ডো বিএনপির নেতা নেসার উদ্দিন, স্টেট বিএনপির খলকুর রহমান প্রমুখ।
এ দিকে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আরেক গ্রুপ একই স্থানে গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে। নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাঈদের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া, যুব দলের সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন, দেওয়ান আশরাফ, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, তারেক রহমান আন্তর্জাতিক পরিষদের সদস্য সচিব ভিপি জসীম, মজিবুর রহমান, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায় শেখ হাসিনার ফরমায়েশি রায়। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা তার বইতে লিখেছেন বাংলাদেশের পুরো বিচার ব্যবস্থা শেখ হাসিনার নিয়ন্ত্রণে। তার নির্দেশেই রায় লেখা হয়। এই রায়টিও ফরমায়েসি রায়। তিনি বলেন, এ রায় আমরা মানি না।
জসীম ভূইয় বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে এবং ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য শেখ হাসিনা এই রায় দিয়েছেন।
মাওলানা অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যতদিন স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।