নিয়ম ভেঙে পার্টি : ছেলেকে বরখাস্ত করলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

ছবি সংগৃহীত

ঠিকানা অনলাইন : বিরোধীদের অব্যাহত সমালোচনার মধ্যেই রাজনৈতিক সচিবের পদ থেকে ছেলে শোতারো কিশিদাকে (৩২) সরিয়ে দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। ২৯ মে সোমবার সরকারি বাসভবনে ‘অনুচিত আচরণের’ অভিযোগে শোতারোর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে একটি সাপ্তাহিক ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়, শোতারো গত বছর প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এক পার্টিতে আত্মীয়দের দাওয়াত করেন। এ সময় তারা প্রেস কনফারেন্স করার মতো করে ছবি তোলেন এবং লাল-গালিচায় মোড়ানো সিঁড়িতে ছবির জন্য পোজ দেন।

সাধারণত লাল-গালিচায় মোড়ানো সিঁড়িতে ছবি তুলে জাপানের প্রধানমন্ত্রীরা ঐতিহ্যগতভাবে তাদের নতুন ক্যাবিনেট লাইনআপ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এভাবে ছবি তোলা অসম্মানজনক হিসেবে দেখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী কিশিদা বলেন, ‘একজন রাজনৈতিক সচিব হিসেবে তার এমন আচরণ করা উচিত হয়নি। আমরা তাকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শোতারো আগামী ১ জুন পদত্যাগ করবেন।’

এর আগে ছেলেকে তার কৃতকর্মের জন্য তিরস্কার করেছিলেন বাবা কিশিদা। কিন্তু বিরোধী দলগুলো শুধু সমালোচনা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা তার পদত্যাগ দাবি করে। অবশ্য এর আগেও ছেলের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন কিশিদা। যেহেতু তার ছেলে ইউরোপে মন্ত্রীদের জন্য স্যুভেনির কিনতে গিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের অক্টোবরে রাজনৈতিক সচিব পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে শোতারো প্রধানমন্ত্রীর জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ান। তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করা হয়। যদিও সচিব হিরোকাজু সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর বড় ছেলেকে তার ‘ব্যক্তিত্ব এবং অন্তর্দৃষ্টি’র ভিত্তিতে চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সূত্র : রয়টার্স, জাপান টাইমস

ঠিকানা/এনআই