নিজস্ব প্রতিনিধি : দেশের দুই বরেণ্য ক্রিকেটার মাশরাফি-বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে আসছেন। দুজনই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল মাশরাফি ও সাকিব আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। মাশরাফি ও সাকিবের রাজনীতিতে আসা ও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে ক্রিকেটারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষাকারী মোস্তফা কামাল তাদের প্রভাবিত করে আসছেন। সামনে বিশ্বকাপ ক্রিকেট থাকায় তারা দুজনই বিশ্বকাপের আগে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের কাছে তাদের এই মানসিকতার কথা জানিয়েছিলেন।
সাকিব ও মাশরাফির মনোভাবেও পরিবর্তন এসেছে। আগামী বছরের জুনে একদিনের বিশ্বকাপ। চলবে জুলাই পর্যন্ত। ওয়ানডে খেলা হবে লন্ডনে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হবে আগামী ২০২০ সালে। সাকিব ও মাশরাফি একদিনের বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নিলে তাদের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়। দুজনকেই পারিবারিকভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রলুব্ধ করা হচ্ছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসার পরও সাকিব, মাশরাফি বিশ্ব প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন। সরকারের ওপর মহল থেকেও এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহিত করা হয়েছে। মাশরাফি এরই মধ্যে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাকিবকে তার স্ত্রীও উৎসাহ জোগাচ্ছেন। ক্রিকেট দলে তাদের স্থলাভিষিক্ত করা সহজসাধ্য না হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুন নতুন মুখের উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তি ঘটানো হচ্ছে। সাকিব ও মাশরাফি এরই মধ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে কথা বলেছেন। সাকিব মাগুরা ও মাশরাফি নড়াইল থেকে নির্বাচন করবেন। তাদেরসহ আরো কিছু বরেণ্য, খ্যাতনামা ব্যক্তিকে নির্বাচনী মাঠে আনার মাধ্যমে সরকার সামনের নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে আগ্রহ সৃষ্টি করতে চায়। গত নির্বাচনে একই উদ্দেশ্যে খ্যাতিমান খেলোয়াড় নাইমুর রহমানর দুর্জয়কে মানিকগঞ্জ থেকে এবং আরেকজন খেলোয়াড়কে কিশোরগঞ্জ থেকে নির্বাচিত করে আনা হয়। একজনকে মন্ত্রীও করা হয়। কিন্তু তারা দলকে, নির্বাচনী এলাকার মানুষকে হতাশ করেছেন দারুণভাবে।