রাজনৈতিক ডেস্ক : সংবিধানের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে দেশের বিভিন্ন এলাকার নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এ জন্য যে সংশোধনী নির্বাচন কমিশন ছাপিয়েছে তা বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গত ৫ মে দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং রমজানের আগে তার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি’তে সভার আয়োজন করে নাগরিক আন্দোলন ফোরাম নামের একটি সংগঠন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সংবিধানের ক্ষমতা অপপ্রয়োগ করে সীমানা নির্ধারণের যে সংশোধনী তারা (ইসি) ছাপিয়েছে, এটা আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। আর এই নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ এই কমিশনের পক্ষে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এমনভাবে পরিকল্পনা করছে যাতে আমরা নির্বাচনে যেতে চাইলেও যেতে না পারি। সরকারি দলের লোকজনকে সুবিধা দেয়ার জন্য তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করছে। আমার নির্বাচনী এলাকা গেলে আপনারা অবাক হয়ে যাবেন। রাজনৈতিক কারণে আমার আসনটি কেটে নেয়া হয়েছে অন্য নির্বাচনী আসনে। আমাদের অনেক নেতার আসনের বেলায় এমন পক্ষপাতিত্ব করেছে নির্বাচন কমিশন।
খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সম্পর্কে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, এই দুই সিটিতে সরকারি দলের লোকজন আচারণবিধি লঙ্ঘন করছেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিয়ে একটা দৃষ্টান্তও স্থাপন করতে পারেনি। নির্বাচন কমিশন যতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে, সেগুলো সব সরকার সমর্থিত প্রার্থীদের জয়লাভ করানোর জন্য এবং আমরা যারা বিরোধী দলে আছি, তাদের জন্য সমস্ত অসুবিধা সৃষ্টি করার জন্য। এ জন্য একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন আনতে হবে। যারা দলীয় পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে একটি নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন করতে পারবে।
বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া ও দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে সীমানা এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে বিএনপি নির্বাচন করতে না পারে। এই ষড়যন্ত্র থেকে আমরা মুক্তি পেতে চাই। আগামী ডিসেম্বরে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনে দেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্র কাজ করতে দেবে না।
আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় এবং উপদেষ্টা হাজী মোহাম্মদ মাসুক মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেনÑ বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।