নেতা, সাংবাদিক কাউকেই বিশ্বাস করে না জনগণ!

বিশ্বচরাচর ডেস্ক : কোনো নেতা, সাংবাদিক কিংবা কোনো বিজ্ঞানীর কথাই এখন আর জনগণ বিশ্বাস করে না বা সহজে বিশ্বাস করতে চায় না। এই তিন শ্রেণীর মানুষের প্রতি জনগণের আস্থাহীনতার মাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। এদের মধ্যে রাজনীতিকদেরকেই সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস করে মানুষ। আর এর পেছনে প্রধান যে কারণটি দায়ী সেটা হচ্ছে ভুয়া খবর। বর্তমানে ‘ভুয়া খবর’ ইস্যু নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে। গত সপ্তাহে হয়ে গেল ‘ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সাইন্স উইক’। ইইউ নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহে আগের এই আয়োজনেও উঠে আসে একই ইস্যু।

সেখানে ভুয়া খবর সম্পর্কে নানা তথ্য-উপাত্তের পাশাপাশি এর প্রতিকারের নানা উপায় ও করণীয় তুলে ধরা হয়।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইউরো নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজনীতি ও রাজনীতিকরাই ভুয়া খবরের সবচেয়ে বড় শিকার। আবার অনেক সময় তারাই ভুয়া খবর ছড়িয়ে থাকে। আর এ কারণেই তাদেরকে আর জনগণ বিশ্বাস করতে চায় না।

সাম্প্রতিক সকল জরিপে, জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে রাজনীতিকরাই সর্বনিম্নে অবস্থান করছে। ভুয়া খবর সম্পর্কে সতর্ক করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ‘প্যানেল ফর দ্য ফিউচার অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এসটিওএ) ভাইস চেয়ারম্যান ড. পল রুবিগ বলেন, ‘ভুয়া আর হাইব্রিড বহু গণমাধ্যম গড়ে উঠেছে। গড়ে উঠেছে বিদেশি শক্তি আর সামরিক বাহিনীর অর্থায়নে। এগুলোর হাত থেকে আমাদেরকে আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হবে।’

ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর নতুন শব্দ বা ধারণা নয়। ‘খবর’ ও ‘ভুয়া খবর’ অনেকটা ‘সত্য’ ও ‘মিথ্যা’র মতোই সমান্তরালভাবে ব্যবহƒত হয়ে আসছে বহু যুগ ধরে। তাহলে এতকাল পরে এসে কেন এই শব্দের ব্যবহার এমন অস্বাভাবিক মাত্রায় বেড়ে গেল?

জরিপকারীরা বলছেন, ২০১৫ সালের পর থেকে এর ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়তে শুরু করে। ২০১৬ সালে খুব বেশি বেড়ে যাওয়ার একটা কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ফেইক নিউজ কথাটা ট্রাম্পের মুখে কিংবা তার টুইটার বার্তায় খুব বেশি ব্যবহƒত হচ্ছে এবং এর বহুল পুনরুৎপাদন চলছে গোটা বিশ্বের সংবাদমাধ্যমে। ট্রাম্প একবার ফেইক নিউজ বললে বা লিখলে অনলাইন সংবাদমাধ্যমে এর পুনর্ব্যবহার হচ্ছে লাখ লাখবার। এভাবেই এই শব্দের ব্যবহার গত এক বছরে ৩৬৫ শতাংশ বেড়ে গেছে।