
বিশ্বচরাচর ডেস্ক : প্রতিবেশী দেশ নেপাল সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরকে তিনি ’প্রতিবেশী আগে, পরদেশি পরে’ নীতির অংশ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তবে মোদির এ সফরকে নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কোন্নয়নের সফর হিসেবেই দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা। ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার নেপাল সফর করছেন মোদি।
কর্ণাটকের নির্বাচনী প্রচার যুদ্ধের পাট চুকিয়ে গত ১১ মে নেপালের জনকপুরে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদি। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে সঙ্গে নিয়ে তিনি জনকপুরের এক মন্দিরে প্রার্থনা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘নেপাল আমাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভ্যর্থনা জানিয়েছে। তবে নেপাল ও ভারতের সম্পর্ক হাজার বছরের ঐতিহ্য দিয়ে বাধা। এই অভ্যর্থনা সেই ঐতিহ্যের প্রতিই সম্মান।’ তিনি আরও বলেন, এই সম্পর্ক আমাদের দুই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভিত্তি, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক ও দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক মজবুত করতে কাজ করবে। তার দু’দিনের নেপাল সফরের শুরুতেই কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন জনকপুর-অযোধ্যা বাস রুট। এর মধ্য দিয়ে ‘সীতার জন্মস্থান’ হিসেবে খ্যাত জনকপুরের সঙ্গে ‘রামের জন্মস্থান’ অযোধ্যায় যোগাযোগ স্থাপিত হলো। দুই দেশের পর্যটকদের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ বলে জানা গেছে। বাস রুটের নাম দেয়া হয়েছে, ‘রামায়ণ সার্কিট বাস রুট’।
কেন তড়িঘড়ি করে এই বাস রুটের উদ্বোধন করলেন, তারও একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মোদি। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমার সরকারের ‘প্রতিবেশী আগে’ নীতিরই প্রতিফলন। যার মন্ত্র হলো, ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’ (সবাইকে নিয়ে সবার জন্য উন্নয়ন)। গত ১১ মে কাঠমান্ডুতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠকে করেন মোদি। নেপালের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গেও দেখা করবেন তিনি। এই সফরে পূর্ব নেপালের শঙ্কুভাসাবায় একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদি।
পাকিস্তান, শ্রীলংকা, বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতের নাকের ডগায় নেপালে এ অঞ্চলের বড় শক্তি চীনের প্রভাব ক্রমেই বাড়ছে। বেইজিংয়ের এ উপস্থিতিতে নয়াদিল্লি শঙ্কিত বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। বাণিজ্য ও সীমান্তে সামরিক উপস্থিতির মাধ্যমে প্রভাব বাড়াচ্ছে চীন। ২০১৭ সালে ভারতীয় কোম্পানিগুলোর মাত্র ৩১৭ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি ছাপিয়ে চীনের কোম্পানিগুলো দেশটিতে প্রায় ৮৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।