নিউইয়র্ক : ৩ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় স্টার কাবাবের স্বত্বাধিকারী শিবলী নোমানী ও সাপ্তাহিক দেশকণ্ঠের সম্পাদক দর্পণ কবিরকে আঘাতের প্রতিবাদে ৩ জানুয়ারি জামাইকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকার স্থানীয় প্রেসিঙ্কট ও জ্যামাইকাবাসীর সহযোগিতায় এক নিন্দা ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন আহ্বায়ক জ্যামাইকার ব্যবসায়ী আমজাদ হোসাইন সেলিম। স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী, নেতৃবৃন্দসহ যোগ দেন বাংলাদেশ সোসাইটি, জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটি, মূলধারার এক্টিভিস্ট, কুইন্স বোরো অফিস, স্থানীয় কাউন্সিল ও বোরো অফিসের প্রতিনিধিরা এবং হিলসাইড এলাকার নিরাপত্তার সাথে সংশিষ্ট ১০৩ ও ১০৭ পুলিশ প্রিসিঙ্কট এবং অফিসার আলেকজান্দার নাদিয়া, সার্জেন্ট খাদিজা, সার্জেন্ট বেলাল প্রমুখ। নিউইয়র্ক সিটি কম্পট্রলার এর কুইন্স বোরো অফিস থেকে যোগ দেন উইলিয়াম গিরো, ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট সিনেট থেকে যোগ দেন জেসপার ডিয়াজ, স্থানীয় কাউন্সিলম্যান রোরি লাঞ্চম্যানের অফিস থেকে যোগ দেন রনি সিলভেইন, নিউইয়র্ক স্টেট উম্যান্স কমিটির টামি অসারভ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভার শুরুতে আহ্বায়ক আমজাদ হোসাইন সেলিম মুক্তিযোদ্ধা শরাফ সরকারকে সভাপতিত্ব করবার আহ্বান জানিয়ে পরিচয় করিয়ে দেন সাম্প্রতিক আক্রমণের ভিকটিম স্টার কাবাবের স্বত্বাধিকারী শিবলী নোমানিকে। মূলধারার একটিভিস্ট মুহম্মদ এন মজুমদার।
বক্তব্য রাখেন স্থানীয় কমিউনিটি বোর্ডের সদস্য ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও আমার ফার্মেসির রেজাউল করিম। আয়োজকদের প্রধান শরাফ সরকার, আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন সেলিম ও সদস্য সচিব জয় চৌধুরী সকলকে মূল বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখবার অনুরোধ করেন এবং ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার ও রেজাউল করিমকে সময় অভাবে জানানো হয় নাই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। এসময় মূলধারার প্রতিনিধিরা এবং দুটি পুলিশ প্রিসিঙ্কটের সার্জেন্ট ও অফিসাররা জ্যামাইকার নেতৃবৃন্দের অনৈক্য ও মূল বিষয় রেখে স্থুল বিষয় নিয়ে বাক-বিত-া দেখে বেশ বিব্রত হন। পরবর্তী বক্তাদের অনেকেই এই বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে জ্যামাইকার সকলকে নিয়ে কাজ করবার আহ্বান জানান।
আয়োজকদের প্রধান শরাফ সরকার সকলকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, জ্যামাইকা সকলের জন্য নিরাপদ হউকÑ এই লক্ষে। কাজ করা ও সচেতন থাকবার জন্য এই আয়োজন।
উল্লেখ্য, আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন সেলিম জানান, ২৬ ডিসেম্বর স্টার কাবাবে ঢুকে চার কৃষ্ণাঙ্গ তাদের টিপস বাক্স ছিনিয়ে নেয় ও ওই দিন ছিনতাইকারীরা দর্পণ কবির এবং শিবলী নোমানী’কে আঘাত করেন।
নিন্দা ও প্রতিবাদ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা মনির হোসাইন, ফার্মাসিস্ট আওয়াল সিদ্দিকী, বিশিষ্ট রিয়াল্টোর ওসমান গনি, মূলধারার একটিভিস্ট মহম্মদ সাবুল উদ্দিন, স্থানীয় কাউন্সিলম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ প্রবাসী মুসলেহ উদ্দিন সেলিম, বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল সিদ্দিকী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রাহিম হাওলাদার সহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।