পঞ্চাশে পা দিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা

ঠিকানা অনলাইন : ভারতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ৫০ বছরে পা রাখলেন। আজ ৭ নভেম্বর এ নায়িকার জন্মদিন। রাত ১২টার পর থেকেই ভক্ত ও কাছের মানুষদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো হয়ে উঠেছে ‘ঋতুময়’।

ঋতুপর্ণা কাজ করেছেন বাংলা ও হিন্দি সিনেমায়। দীর্ঘ তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মুগ্ধ করে রেখেছেন দর্শককে। তার অভিনয়ের মুগ্ধতার ঢেউ ভাসিয়েছে বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদেরও।

বর্তমানে সিঙ্গাপুরে রয়েছেন ঋতুপর্ণা। সেখানে স্বামী-সন্তান নিয়ে করোনার সময়টা কাটাচ্ছেন।

ঋতুপর্ণার জন্ম কলকাতায়। খুব অল্প বয়সেই চিত্রাংশু নামের একটি শিল্পবিদ্যালয় থেকে অঙ্কন, নৃত্য ও হাতের কাজে দক্ষতা অর্জন করেন। মাউন্ট কারমেল স্কুলে তার পড়াশোনা। পরে লেডি ব্রাবোর্ন কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতক হয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে ভর্তি হন। তবে অভিনয় পেশায় মনোযোগ দেওয়ার কারণে পড়াশোনায় ইতি টানতে হয় তাকে।

১৯৮৯ সালে কুশল চক্রবর্তীর বিপরীতে বাংলা ধারাবাহিক ‘শ্বেত কপোত’ দিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর অভিনয়জীবনের শুরু। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা প্রভাত রায়ের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ‘শ্বেতপাথরের থালা’। এটি মুক্তি পায় ১৯৯২ সালে। এরপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য সুপারহিট ও কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

আশির দশকের তাপস পাল থেকে শুরু করে বহু নায়কের বিপরীতেই কাজ করে সাফল্য পেয়েছেন ঋতু। তবে কলকাতার সিনেমার ‘বুম্বাদা’খ্যাত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দারুণ সফল জুটি গড়ে তুলেছিলেন ঋতুপর্ণা। সর্বশেষ তাদের ‘প্রাক্তন’ সিনেমাটিও দর্শকের হৃদয় ছুঁয়েছে।

ঋতুপর্ণা কাজ করেছেন বাংলাদেশি সিনেমাতেও। এখানে তিনি পেয়েছেন আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা। তার অভিনীত প্রথম বাংলাদেশি ছবি ‘স্বামী কেন আসামী’। ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৯৭ সালে। বাংলাদেশে তার সবচেয়ে আলোচিত সিনেমা হিসেবে অভিহিত করা হয় ‘সাগরিকা’ ও ‘রাঙাবউ’-কে।

বাংলাদেশে ঋতু অভিনয় করেছেন মান্না, ফেরদৌস, আমিন খান, হেলাল খান, রিয়াজ, আরিফিন শুভর মতো জনপ্রিয় নায়কদের বিপরীতে।

ঠিকানা/এনআই