পটিয়ায় হেলে পড়েছে পাঁচতলা ভবন

চট্টগ্রাম : পটিয়া সরকারি কলেজ গেট এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি পাঁচতলা ভবন হেলে পড়েছে। আইন অনুযায়ী রাস্তা থেকে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় না রেখে এবং বিল্ডিং কোড না মেনে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণের কারণে তিন বছরের মধ্যেই ভবনটির এই অবস্থা হয়েছে। ভবনটির অবস্থান ব্যস্ততম স্থানে হওয়ায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনায় প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
দোহাজারী সড়ক বিভাগ ও পটিয়া পৌরসভা জানায়, ভবনটি নির্মাণে বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। ফলে অল্পদিনের মধ্যে সেটি হেলে পড়েছে। এ ব্যাপারে গত ২৭ জুন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের পাশের ভবনটির মালিক মাহবুবুর রহমান পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পটিয়া পৌরসভা ও ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে পৌর কর্তৃপক্ষ হেলে পড়া ভবন মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয়। তবে উল্টো দাবি করেছেন ভবন মালিক। তারটি নয়, বরং পাশের ভবনটি হেলে পড়েছে বলে লিখিতভাবে পৌরসভাকে জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, এ ভবনের পাশ দিয়ে পটিয়া সরকারি কলেজ, পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, আবদুস সোবহান রাহাত আলী উচ্চবিদ্যালয়, আবদুর রহমান সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, খলিলুর রহমান ডিগ্রি কলেজ, খলিলুর রহমান উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী যাওয়া-আসা করে। যাতায়াত রয়েছে অসংখ্য সাধারণ মানুষের।
গত ১৬ জুলাই সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া সদরে পাঁচতলা ভবনটি উত্তর দিকে হেলে পড়েছে। ভবনটির নাম জে আলম মার্কেট। এটি হেলে একটি ছয়তলা ভবনের সঙ্গে ঠেকে আছে। ভবনের পূর্ব পাশে পুকুর এবং পশ্চিম পাশে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। ভবনটির নিচতলায় পাঁচটি দোকান ও ইসলামী ব্যাংকের একটি বুথ। দোতলায় কোচিং সেন্টার, তৃতীয় তলায় বিউটি পার্লার, চারতলায় কোচিং সেন্টার এবং পাঁচতলায় আবাসিক বাসা।
পটিয়া পৌরসভার প্রকৌশলী মিজানুর রহমান খন্দকার জানান, ভবনটি হেলে পড়ায় ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভবনে এখনও কোনো ফাটল দেখা যায়নি। ভবনটি নির্মাণে আইন মানা হয়নি। ভবন মালিক জাহাঙ্গীরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইল ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পাশের ভবনের মালিক মাহবুবুর রহমান বলেন, ভবনটি হেলে পড়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া বলেন, মহাসড়ক থেকে সাধারণত ১০ মিটার বা ৩৩ ফুট দূরত্বে ভবন নির্মাণের বিধান রয়েছে। কিন্তু এই ভবন নির্মাণে তা মানা হয়নি। পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, প্রাথমিকভাবে পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।